নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
২০০১ সালে আমি ১ম শ্রেনীতে পড়তাম। তখন মনে করতাম গুন্ডারা হোন্ডা চলায়। তখন রাজনৈতিক অবস্থা, সন্ত্রাস, উগ্রপন্থির উস্থান, কিডন্যাপিং সব মিলিয়ে আইন শৃঙ্খলা অবস্থা খুব খারাপ ছিলো। আমি মনে করতাম যারা হোন্ডা চালায় তারাই আইন শৃঙ্খলা বঙ্গকারী।
যাই হউক এখন আইনশৃঙ্খলা ২০০১ সালের মত এত খারাপ না। এখন আইন শৃঙ্খলা বেশ ভালো।
যারা ইন্টার লেভেলে পড়ে তাদের মধ্যে বাইকের প্রতি জোক/দৃষ্টি/লোভ থাকে। তাদের দৃষ্টিতে একটি বাইক থাকা একটি ক্রেডিট। বিসিএস ক্যাডার হবার চেয়ে বাইক ক্রয় করা বাহাদুরির বিষয়। আর ইয়ং পোলাপাইন হোন্ডা পাইলে মনে হয় মাথা নষ্ট হয়ে যায়। তারা এত জোরে হোন্ডা চালায় যে যা বলার বাহিরে। মনে হয় ৮০ বা ৯০ কিলোঃ প্রতি মিনিটে হয়। হাইওয়ে বা গলি তাদের ব্যাপার না। এত করে কিন্তু দুর্ঘটনা হয়। এই দুর্ঘটনাতে হোন্ডা ওয়ালা আর পথচারী উভয়ই চরম ব্যাথা পেতে পারে। ব্যাথার জ্বালায় পথচারী মরেও যেতে পারে।
আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফালতু কাজে হোন্ডা ক্রয় করা হয়। এবং তাহা ফালতু কাজেও এটার ব্যাবহার বেশী। একদিন দেখি আমার এক পরিচিত ছেলে হোন্ডা দিয়ে বাজারে যাচ্ছে। সে কিন্তু চাইলে পারতো তার ছোট বোন কে স্কুলে দিয়ে আসতে। সেই স্কুলটা বাজার থেকে বেশী দূর না। ধরেন জিপিও থেকে গোলাপশার মাজার।
বড় ভাই এর হোন্ডা থাকতে ছোট বোনের পায়ে হেটে স্কুলে যাওয়া লাগ তাহলে বড় ভাইয়ের হোন্ডা পরিবারের কি কাজে লাগলো?
হোন্ডা ওয়ালা যদি জরুরি কাজ, চাকরির কাজে, ব্যাবসার কাজে হোন্ডা চালা্য় সে ক্ষেত্রে আমার কোন সমস্যা নাই।
ছোট ছোট চেংরারা ফালতু কাজে বাইকের জন্য তেল অপচয় করছে সেই ক্ষেত্রে আমার চরম আপত্তি আছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য্
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০৪
বংগল কক বলেছেন: হোন্ডা চইড়া গোন্ডা যায়।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর ও মজার কমেন্ট।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরে যারা বাইক চালায় তাঁরা দুষ্টলোক। এরা কোনো নিয়ম কানুন মানে না।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
নাহল তরকারি বলেছেন: তাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২০
জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: আমার কাছে হোন্ডা একটি প্রয়োজনীয় বাহন। ঢাকাতে চাকুরি করার সময় কিনেছিলাম। মফস্বলের ছেলে বলে ঢাকার বাসে গুতোগুতি করতে কষ্ট হত। ঈদেও বাস-ট্রেনের টিকিটের ঝামেলা না করে তিনশ কিমি পাড়ি দিয়ে বাড়ি আসতাম। তবে আপনার কথা ঠিক। অপরিপক্ক্ব ছেলেদের হাতে বাইক দেয়া রীতিমত অপরাধ। মফস্বলে এই ট্রেন্ডটা বেশি দেখা যায়। আমার এক দুলাভাই মেডিকেলের এক্স-রে ডিপার্টমেন্টে চাকুরি করেন। ঈদের দুইদিন তার ওখানে গেলে দেখা যায় সারা বছরে যত না বাইক এক্সিডেন্ট হয় তার চেয়ে বেশি হয় ঈদের তিনদিন, এবং বেশির ভাগই লাইসেন্সবিহীন আন্ডারএজ ছেলেদের। আমি ঈদের তিনদিন পারতপক্ষে বাইক বের করি না এইসব জাতহীন বাইকারদের ভয়ে।