নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩


মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি।

মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই অদ্ভুত। কোন পুলিশ অফিসারের সন্তান যদি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয় তাহলে লোকজন বলবে “পুলিশটা ঘুস খায়। তাই তার প্রতিবন্ধী বাচ্চা হয়েছে।“

আর এই প্রতিবন্ধী বাচ্চা যদি ইমাম সাহেবের হয় তাহলে লোকে মতব্য করবে “আল্লায় ইমাম সাব কে প্রতিবন্ধী বাচ্চা দিলো?? আল্লাহ ভালো মাইন্সেরে কতই না পরীক্ষা করে।“

তারপর মনে করেন। কোন চেয়ারম্যান যদি সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার হয় তাহলে লোকে বলবে “বেটায় আমাগো চাইল মাইরা খাইছে। একসিডেন্ট হইছে ভালাই হইছে। আল্লাহ উচিৎ বিচার করেছে।“

আর কোন ইমাম যদি রাস্তায় দুর্ঘটনায় শিকার হয় তাহলে লোকে বলবে “আল্লাহ ভালা মাইন্সেরে কত বিপদ দেয়।“



আমার এক আঙ্কেল আছে। নাম তাজুল আঙ্কেল। নিয়মিত নামায কালাম পড়েন। তিনি হোন্ডা ও গাড়ি চালানোর ওস্তাদ। আমি মজা করে তাকে বলতাম "আপনি বিদেশ জন্ম গ্রহন করলে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতায় ফাস্ট হতেন।"

একদিন তিনি একটি সাইডে দাড়িয়ে ছিলেন। একটা হোন্ডা তাকে একসিডেন্ট করে। তাজুল আঙ্কেলের এই এক্সিডেন্ট দেখে সবাই বলাবলি করতে ছিলো "আহারে ভালা মাইন্সে আল্লায় এত কষ্ট দেয়।" অতছ সকলের উচিত ছিলো তাকে ধরে হাসপাতালে নেওয়ার।

তিনি যখন এক্সিডেন্ট করেন, এই ফাকে কে যেন তার মানি ব্যাগ আর মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯

সোবুজ বলেছেন: আল্লাহ যাই করুক সেটাই তার বান্ধা ভালোর দিকে নিবে।আল্লাহর কাছে তার বিবেক বুদ্ধি বান্ধা।সে স্বাধীন ভাবে চিন্তা করতে পারে না।তার চিন্তার মুক্তি হয় নাই।যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে শিখে নাই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬

নাহল তরকারি বলেছেন: Yes

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

নতুন বলেছেন: যারা এই কথা গুলি বলে তাদের জ্ঞান কম।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬

নাহল তরকারি বলেছেন: Yes

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৫৮

বিটপি বলেছেন: আমার জেনারেল অবজার্ভেশন হল, খারাপ মানুষ খুব বেশি দৈব দুর্বিপাকে পড়েনা। একজন চোর চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনি খেলে সেটা বিপদ নয় - কর্মফল। কিন্তু সে যদি রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় - সেটা বিপদ। আমি ভালো মানুষদেরকেই বেশি বেশি বিপদে পড়তে দেখেছি। এর ব্যখ্যা ইসলামে দেওয়া হয় এইভাবে - কিয়ামতে তার গুনাহের বার্ডেন কমানোর জন্য আল্লাহ তাকে দুনিয়াতেই অনেক পরীক্ষা করে নেন। তিনি যদি সবর করেন -আল্লাহ তাঁকে উপযুক্ত প্রতিদান দেবেন। এটাই ইসলামের সৌন্দর্য।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৭

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: একটা গল্প শুনুন-

“আনিস সাহেব রাতের বেলায় এক যুবতী নারীর বাসায় গেলেন। নারীটি তখন বাড়িতে একা ছিল।”

এই দুই লাইন পড়ে প্রায় সবাই ই মনে করবে আনিস সাহেব খুবই বাজে লোক। সে রাতের বেলায় যুবতী মেয়ের সাথে মজা লুটে। কিন্তু কেউ ভালোমত খোঁজখবর নিয়ে গল্পের প্রসঙ্গটা জানতে পারল। গল্পটা তখন এমন হলো-

“আনিস সাহেব একজন দয়ালু লোক। পাশের বাড়ীর এক যুবতী মেয়ে সদ্যই বিধবা হয়েছে। তাকে দেখাশুনার কেউ নেই। আনিস সাহেব তাই রাতের বেলায় মেয়েটিকে কিছু অর্থ দান করতে গেলেন।”

দেখলেন তো! প্রসঙ্গটা জানার পর পুরো গল্পটাই কেমন বদলে গেল! এখন এই গল্প পড়ে সমালোচকরা হয়তো বলতে পারে, ‘আনিস সাহেব কেন রাতের বেলায় যাবেন? তিনি কি দিনের বেলায় যেতে পারতেন না?’ আপনি দেখলেন অপরপক্ষ বলছে, ‘আনিস সাহেব সপ্তাহে সাত দিনই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করেন। তার নিশ্বাস ফেলার ও সময় থাকে না। তাই রাতে যাওয়া ছাড়া তার উপায় নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.