নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফামের্সীর ঔষুধ বিক্রেতা একজন বড় ডাক্তার।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪২



আমি নানার বাড়ি থেকেই এসএসসি এইচএসসি এবং স্নাতক পাশ করেছি। আমার নানী পরিবার পরিকল্পনার চাকরি করতেন। হাম রুবেলা টিকা দেয়া, ভিটামিন এ ক্যাপসোল দেয়াম জন্ম বিরতিকরন পিল এবং কনডম বিতরন ছিলো আমার নানীর প্রধান পেশা। গ্রামের মহিলাদের ছোট খাটো যাবতীয় সমস্যা তিনি সমাধান করতেন। ছোটদের নানা রকম টিকা দিতো। আপনাদের কি মনে আছে? আপনাদের যে বিনা কারণে যে ইনজেকসান দিতো, আমার নানী সেই ইনজেকসান দিতো। এই ইনজেকসানে মূলত হাম-রুবেলা, ধনুষ্ঠংকার জাতীয় টিকা থাকতো। আবার মহিলাদের প্রায় সময় ইনজেকসান দেয়া লাগে। যা জন্ম নিয়ন্ত্রন করে। সেই ইনজেকসান আমার নানী পুশ করতেন।

যাই হউক। সেটা বলার জন্য আমি আসি নাই। আমার নানী কে মাইন্সে এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার মনে করতেন।

একদিন এক মহিলা আমার কাছে আসে। সে সময় আমার নানী বাড়িতে ছিলেন না।

মহিলা: আপনার মা কই? (বেডি আমার নানী কে আমার মা বলে ভুল করিয়াছেন।)

আমি: আমার মা এখানে থাকে না।

মহিলা: ঐ যে ডাক্তারনী আপায় কই?

আমি: এখানে কোন ডাক্তার ও থাকে না। (আমার দৃষ্টিতে যে এমবিবিএস পাশ করেছে সে ডাক্তার।)

মহিলা: ঐ যে ইনজেকসান যে দেয় উনি কই?

আমি: কে হালিমা আফায়?

মহিলা: হ, হ। হালিমা আফায়।

পরে তাকে জানিয়ে দিলাম উনি বাসায় নাই। এই নম্বারে ফোন দিয়ে আসবেন।







আরেকটি প্রেক্ষাপট
আমাদের এলাকাতে একজনের ফার্মেসী আছে। নাম মতিন ডাক্তার। উনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (সরকারি হাসপাতাল) এর Receptionist ছিলেন। আজ সেই মতিন সাহেবের ফার্মেসী আছে বলে উনি ডাক্তার। আর আরেকজন ৪ বছর কষ্ট করে এমবিবিএস পাশ করে, এক বছর ইন্টানি করে এবং বিসিএস টিকে সরকারি ডাক্তার হয়। সেই সরকারি ডাক্তার কতই বোকা। এত কষ্ট করতে তাকে কে বলেছে। ফার্মেসী দিলেই তো গ্রামের লোকজন তাকে ডাক্তার বলতো।

যাই হউক। পেটে সমস্যা হলে মেট্রো ট্যাবল্যট, সর্দি লাগলে হিসটাসিন, জ্বর আনলে প্যারাসিটামল খেতে হয়। এটা সবাই জানে। সেটা মতিন ডাক্তার ও জানতো। এই কেরামতি দেখে গ্রামের লোকজন তাকে ডাক্তার উপাদি দিয়েছে।

এই ধরনের মূর্খ লোকদের কর্মকান্ড।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৬

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: গ্রামের মানুষ মূর্খ।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:২৬

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: হুম

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩৯

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.