নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
ছবিটি শ্রি-মঙ্গল এর লাউয়ের ছগা বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে তুলেছিলাম। সেই ২০১১ সালে। নকিয়া ৫১৩০ দিয়ে।
আমার আব্বু জেলখানায় চাকরি করেন। এটা বলে রাখা দরকার।
আমি এসএসসি পরীক্ষা দেই ২০১১ সালে। এসএসসি পরীক্ষার পর যে অবসর সময়টি আছে সে সময় আমার আব্বু হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে জেলার পদে ছিলেন। জেলার এর কোয়ার্টার ছিলো একদম সুপার হিট। আমি প্রায় ১০ টা জেলাখানা দেখেছি। স্থাপত্য শৈলী ও সামগ্রিক আবহাওয়া হবিগঞ্জ জেলখানা সবার সেরা বলে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি।
এসএসসি পরীক্ষার সেলামী দিয়ে আমি নকিয়া ৫১৩০ মোবাইল কিনি। সেটা দিয়েই আমি প্রথম ফেসবুক চালাই। হবিগঞ্জের নানান প্রাকৃতি সৌন্দর্য ছবি তুলতাম আর ফেসবুকে ছাড়তাম। আমার প্রথম ফেসবুক আইডি ২০১৩ সালে ফটোভেরিকেশন এর থাবায় হারিয়ে গেছে।
সকালে ও বিকালে আমি পুরাটা জেলখানা ১০ থেকে ১২ বার রাউন্ড দিতাম। হবিগঞ্জ এর প্রাকৃতিক নৈর্গরিক সৌন্দর্য সব কিছু কে হার মানায়। কেউ যদি ছ্যাকা খায়, বউ মারা যায়, বউ চলে গেছে; তাকে হবিগঞ্জ এ নিয়ে যান। সে মানষিক প্রশান্তি অনুভব করবে। মনে একটি পবিত্রতা অনুভব করবে।
আমি ব্যায়াম করতাম। সকাল ১০ টায় ব্যায়ামাগার এ গিয়ে ব্যায়াম করতাম। ক্লান্ত শরীলে বাসায় এসে গোছল করতাম। শুয়ে ফেসবুক চালতাম। আর গান শুনতাম। ঐ মোবাইল দিয়ে গান শুনা ও ফেসবুক চালানো দুইটা একসাথে করা যাইতো।
২০১১ সালে হাতে গুনা কয়েকজন ফেসবুক চালাতো। তারমধ্যে আমি একজন। আমি, রাফসান ও কয়েজন বাংলা অক্ষরে ফেসবুকে পোস্ট দিতাম। বাংলা অক্ষরে চ্যাটিং করতাম। সে সময় ফেসবুক বস্তি ছিলো না। এখন ফেসবুক নোংড়া ও বস্তি হয়ে গেছে।
২০১১ সালে তিশমার খান নামক এক হিন্দী চলচিত্র মুক্তি চায়। ঐ সিনেমার একটি গান “শিলাকী জওয়ানী” খুব জনপ্রিয় হয়। এই গান যে কয়টা রিমিক্স হয়েছে সেটার কোন হিসাব নাই। এই গান মুক্তি হওয়ার পর কতবার যে সপ্নে ক্যাটরিনা কাইফ কে দেখেছি, তার কোন হিসাব নাই।
===========================================================
আমি এই অবসরে আব্বুর সাথে সিলেটের হযরত শাহজালাল এর মাজারে গিয়েছিলাম। তারিখ টি ছিলো ২০-০৫-২০১১।
তারপর মনে করেন ২৯-০৪-২০১১ ইং তারিখে রাখি আন্টির বিয়ে খাই।
০৮-০৬-২০১১ ইং তারিখে মামা আসে। এবং মামা, মামী ও আমরা দুই ভাই শ্রি-মঙ্গল, লাউএর ছগা, পরী বিবির খাল গিয়েছিলাম।
========================================================================
আরো একটি পর্ব লিখে স্মৃতিচারন শেষ করবো।
২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০১
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
২| ২৩ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: শ্রি-মঙ্গল এর লাউয়ের ছগা বোটানিক্যাল গার্ডেন ~ জায়গাটা চেনা চেনা লাগছে।
কেউ যদি ছ্যাকা খায়, বউ মারা যায়, বউ চলে গেছে; তাকে হবিগঞ্জ এ নিয়ে যান। সে মানষিক প্রশান্তি অনুভব করবে। ~ ব্যক্তিগত প্রশ্নঃ আপনার বউ চলে যাবার পরে আপনি কি হবিগঞ্জে গিয়েছিলেন?
২০১১ সালে হাতে গুনা কয়েকজন ফেসবুক চালাতো। তারমধ্যে আমি একজন। ~ জানা ছিল না - সিক্রেট একটা সংবাদ দিলেন।
শিলাকি জওয়ানি রূপী ক্যাটরিনা আপনার মাথা খেয়েছে।
স্মৃতিকথা পরে মজা পাচ্ছি।
২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০৬
নাহল তরকারি বলেছেন: [link|https://goo.gl/maps/t5WckmntRqekvEWw5|মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার লাউয়ের ছগা এর গুগল ম্যাপ লিংক।
ডির্ভোস এর পর হবিগঞ্জ বা শ্রীমঙ্গল যাওয়া হয়নি। আমার স্মৃতি কথাগুলো পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:২৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লাউয়ের ছগা !!! এইসব কি লেখেন গুরু?
৪| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০১
রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো লেখা। ভাষা সুন্দর নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫
মোগল সম্রাট বলেছেন:
লেখা খ্রাপ হয় নাই ।