নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাদা কালো ছবি থেকে রঙ্গিন ছবি।

১১ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২



কোন এক স্কুলের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে পুরাতন ও নতুন প্রায় সকল ছাত্র ছাত্রী এসেছেন। পুরাতন ছাত্র ছাত্রীরা তাদের বন্ধুদের পেয়ে অনেক খুসি। খুসির ঠেলায় কান্না করছে। কেউ আবার কৈশর জীবনের স্মৃতির কথা স্মরণ করছেন।

এমন কোন এক ফ্রেন্ড সার্কেল কথা বলছে।

শফিক: বন্ধু। দেখতে দেখতে আমাদের বয়স তো ৬২।

আরিফ: হ বন্ধু। তুদের দেখে খুব ভালো লাগলো।

সালাউদ্দিন: এখানে বসে না থেকে, চলো কোথাও ঘুরে আসি। এই বলে এই গ্রুপ তাদের ছোট বেলার ঘুরে বেড়ানোর স্থানে চলে গেলো।

শফিক একজন উকিল। সে তার বন্ধুদের বলিলেন। “বন্ধুগণ। ইন্টার পরীক্ষার পর আমার বাপ মারা যায়। সংসারের হাল ধরার জন্য কোর্টের সামনে টাইপ রাইটারের কাজ করতাম। হাতের গতিও ছিলো ভালো। আমার মত দ্রুত ও নির্ভুল কাজ এই তল্লাটে কম লোকই করতেন। এক উকিল আমার কাজে খুসি হয়ে আমাকে ইন্টার পর্যন্ত পড়ায়। পরে আমি ঢাকা চলে যাই। কোর্ট এর দোকান ভাড়া করি। ও জগন্নার্থ বিশ্ববিদ্যালয় এ আইন বিভাগে চান্স পাই। এর পরে আর পিছনে তাকাতে হয় নি। বড় ছেলে যুগের চাহিদা বুঝেছিলো। তাই সে টাইপ রাইটার বদ দিয়ে কম্পিউটার শিখে। আর আমার নাতি কম্পিউটার ইজ্ঞিনিয়ার| IBM এ বসে বসে কম্পিউটার বানায়। এসি রুমে বসে বসে। আর আমাকে দেখ। প্রথমে রৌদ্র পুরেছি।”

আরিফও তার স্মৃতি চারন করিলেন। আমার আব্বুর স্টুডিও ছিলো। মেট্রিক পরীক্ষার ফরম ফিলাপের সময়, তুদের ছবি তো আমি ওয়াস করেছিলাম। একদম সাদা কালো ছবি। এ সময় সবাই বলে উঠলো। সেই রেজিষ্ট্রেশন কপি আজও আছে। বন্ধুর স্মৃতি বলে কথা।

পরে আমার ছেলে বায়না করেছে। তাকে ভিডিও ক্যামেরা কিনে দিতে হবে। প্রথম প্রথম সে এই ক্যামেরা দিয়ে ফালতু কাজ করতো। পরে কোন মেয়ের পাল্লায় পড়ে ইনকামের দিকে মনোযোগ দেয়। কোন খতনা, বিয়ে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাকে ভিডিও করার জন্য ঢাকা হতো। এখন স্টুডিও সে চালায়। ভাগ্যেস ভিডিও ক্যামেরা কিনে দিয়ে ছিলাম। এখন ছবি প্রিন্ট করতে কেউ আসে না। সবাই ভিডিও করতে আসে।

এখন। মেশিন খারাপ না। বরং আমাদের যুগের চাহিদা বুঝতে হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ইফতার মাহফিল থেকে পার্টিতে রুপান্তর হয়েছে ; পুণর্মিলনী বাদ থাকবে কেন?

১২ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

নাহল তরকারি বলেছেন: পুর্ণমিলনী এখন ডিজে পার্টি হয়ে গেছে।

২| ১২ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছু বদলে যায়।

১২ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.