নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুল হাতে ভোট, শয়তানের আসন দখল

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫



ভুল হাতে ভোট, শয়তানের আসন দখল
ভোট একটি পবিত্র দায়িত্ব, কিন্তু যখন অসৎ ও লোভী মানুষ নেতৃত্বের আসনে বসে, তখন সেই দায়িত্ব কলঙ্কিত হয়। আমাদের সমাজে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হলেও, যদি তাদের মধ্যে অসততা থাকে—সিন্ডিকেট লোভ, পণ্যে ভেজাল, ওজনে কারচুপি—তাহলে বাজার ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। আর যদি এমন অসৎ ব্যবসায়ীই আমাদের আইনসভায় যায়, তাহলে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে কিভাবে? বরং তারা নিজেদের স্বার্থেই আইন তৈরি করবে, যেখানে সাধারণ মানুষের কোনো সুবিধা থাকবে না।

একটি নির্বাচনী এলাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসততা বেশি ছিল। সেই এলাকার নেতা বুঝতে পারল, যদি সে অসৎ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে সে সহজেই নির্বাচিত হতে পারবে। তাই সে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিল, “আমাকে ভোট দিন, আমি আপনাদের অসৎ কাজ বন্ধ করতে বাধা দেব না।” ফলাফল? যোগ্য ও সৎ প্রার্থী থাকলেও, জনগণ তাকে বেছে নিল না। কারণ, যারা অসততায় অভ্যস্ত, তারা কখনোই সৎ নেতৃত্ব চায় না।


অন্যদিকে, আরেক এলাকায় ভোটে জয়ী হলো এক নারী লোভী, ধর্ষক এবং পশুসুলভ চরিত্রের ব্যক্তি। আরেক জায়গায় নির্বাচিত হলো এক ভূমিদস্যু। এখন প্রশ্ন হলো, ধর্ষক যদি আইনসভায় যায়, তাহলে সে নারীদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করবে কিভাবে? ভূমিদস্যু যদি সংসদ সদস্য হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের জমি দখলমুক্ত থাকবে কীভাবে?

আমাদের দেশে ভালো মানুষ ভোট দিতে পারে না। কেন? কারণ তারা জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়, দূরে থাকে। যেমন, আমার দাদার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ, কিন্তু সেখানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ ভাড়া থাকে। একজন পুলিশ সদস্য যদি বরিশালের হয়, আর তার নির্বাচনী ডিউটি যদি মানিকগঞ্জে পড়ে, তাহলে সে কি নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে? পারবে না! এইভাবেই সৎ ও শিক্ষিত মানুষ ভোট দিতে পারে না, আর খারাপ লোকেরা ঠিকই সময়মতো ভোট দিয়ে শয়তানদের আইনসভায় পাঠায়।

ফলাফল?



আমরা এমন একটি আইনসভা পাই, যেখানে নীতিহীন ব্যবসায়ী বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, ধর্ষক নারীদের নিরাপত্তার আইন প্রণয়ন করে, ভূমিদস্যু সাধারণ মানুষের জমি নিয়ে নেয়। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভবিষ্যতে আমাদের সমাজ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?

সততা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে ভোটের মূল্য থাকবে না। যারা আইনসভায় যাওয়ার যোগ্য, তাদের সুযোগ দিতে হবে, আর অসৎ, লোভী, অপরাধীদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। তা না হলে, দেশ শয়তানের হাতে চলে যাবে, আর সাধারণ জনগণ শুধুই শোষিত হবে।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ভোট এবার মার্কা নয় প্রার্থী দেখে দেবেন

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.