নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
=> ২০০১ সাল। আমার নানা বাড়ি মুন্সিগজ্ঞ জেলার, গজারিয়া উপজেলা, ভবেরচর ইউনিয়নে।
আমার নানা হাট থেকে গরু আনে। গরু যখন আমাদের গোরস্হান এখানে আনে গরু দেয় এক দৌড়। এক দৌড়ে মালিকের বাসা (হোগলাকান্দি গ্রাম) গরুর পেছনে নানা, সোহেল মামা শাহীন মামা অথবা জুয়েল মামা দৌড়াচ্ছিলো।
সেদিন আর নানা গরু আনে নাই। মালিকের বাসায় রেখে আসে। মালিক ঈদের দিন গরু দিয়ে যায়।
=> ২০০৭ সাল। তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। কুরবানী ঈদে নানার বাড়িতে আসি। ডিসেম্বর মাস ছিলো সম্ভবত। সে সময় আমাদের উপজেলা তে পাইপ গ্যাস আসে নাই। ছাদের উপর মাটির চুলার ব্যাবস্থা করে খালা আর নানী পিঠার ব্যাবস্থা করে। কুরবানীর গোস্ত দিয়ে পিঠা, খেতে ভারী মজা।
এই পযর্ন্ত আমাদের ভবেরচর ইউনিয়ন কিছুটা গ্রাম গ্রাম ভাব ছিলো। খোলা মাঠ। চারদিকে গরু পালন করার অভিজ্ঞ লোক। কুরবানী পশু পালনে কোন সমস্যা হতো না।
এখন আমাদের ভবেরচর ইউনিয়ন এতটাই নগরায়ন হয়েছে যে আমাদের ভবেরচর ইউনিয়ন কে পৌরসভা বানানো সময়ের দাবি। এখন চারদিকে বিল্ডিং। গরু ছাগল চড়ানোর মত মাঠ নাই। আবর পশু রাখার জন্য গোয়াল ঘর ও নাই। পশু পালনের অভিজ্ঞ লোক ও নাই। তাছাড় আমরা পশু পালনে তেমন অভিজ্ঞ না। যার কারনে বাড়িতে আনলে পশু অনেক খানি শুকিয়ে যায়।
সামনে এমন দিন আসবে “গরু আপনার, পালন করার দায়িত্ব আমাদের।” এই শ্লোগান নিয়ে ব্যাবসায়ীরা ব্যাবসায় নামতে পারে। কারন মানুষ এতটাই কর্পোরেট হয়ে গেছে যে গবাদি পশু পালনে তাদের সময় নাই।
চাইনিজরা এক ধরনের জুতা আবিষ্কার করেছে। যা তৈরি করতে পশুর চামড়া লাগে না। মাদ্রাসাদের এই চামড়ার নির্ভশীলতা এখন থেকেই কমাতে হবে। কারন চাইনিজ সেই জুতা বাজার পায় তাহলে কেউ চামড়া দিয়ে জুতা বানাবে না। তখন চামড়ার বাজার বিলুপ্ত হবে।
যাই হউক। ঈদ মোবারক।
২| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: চামড়া দিয়ে শুধু জুতা নয় আরো অনেক কিছুই বানানো হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মুন্সিগজ্ঞ আর মুন্সিগঞ্জ এর মধ্যে কোনো তফাত কি আপনার জানা আছে?