নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এবার আমার নানী বাড়িতে ওঠেছিলাম প্রায় ২৬ জুলাই। ২৮ জুলাই আমাদের মু্ন্সীগঞ্জ শহরে একটি কাজ ছিলো। তারপর ১১ আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে মাষ্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার ভাইবা ছিলো। আজ ১২ আগষ্ট। রোজ শুক্রবার। আমাদের নানী বাড়ি; সাতকাহনিয়াতে এলাকার এক ছোট বোনের বিয়ে হয়ে গোলো।
এই বিয়ে দেখে আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছোট বেলা বলতে নাইন বা টেইনের ঘটনা। আগে আমি বিয়ের দাওয়াত পেলে খুসি হতাম। মুরগির রোস্ট, পোলাও, সবজি ইত্যাদি খেতে খুব ভালো লাগতো।
আজ রিযার কথা মনে পড়ে গোলো। প্রায় দুই দিন আগে আমি মাত্র ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দাড়িয়েছি। দেখলাম রিয়া বাসের ভিতরে। কই যেন যাচ্ছে? আমাদের চোখা চোখি হয়ে গেলো। উল্লেখ রিয়ার বাপের বাড়ি আমাদের পাশের উপজেলা (দাউদকান্দি, কুমিল্লা।)
পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে পদ্মা নদী যেমন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে। ঠিক তেমনি ঢাকা চট্টগ্রাম মহা সড়ক আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। আমার এই নানী বাড়ি ঢাকা চট্টগ্রাম মহা সড়ক এর এত কাছে যে গাড়ির হর্নে আমার ঘুম ভাঙ্গে। গাড়ির হর্নে আমার ঘুম ধরে। অনার্সে পড়তাম সোনারগাওঁ সরকারি কলেজ, নারায়নগঞ্জ। এই ঢাকা চট্টগ্রাম রাস্তা ব্যাবহার করেই কলেজে যেতাম। আমাদের অনার্স পরীক্ষার হল পড়তো সকারি তোলারাম কলেজে। এই ঢাকা চট্টগ্রাম রাস্তা ব্যাবহার করেই তোলারাম কলেজে যেতাম। ১১ আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে মাষ্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার ভাইবা দিয়ে আমার ছাত্র জীবনের ইতি টানলাম। এ এক বিশেষ অনুভূতি। যা আমি ভাষায় বুঝাতে পারবো না।
একটি হচ্ছে ছাত্র জীবনের স্মৃতি, নানী বাড়িতে লম্বা সময় থাকার স্মৃতি, হঠাত রিয়াকে দেখার অনুভূতি আমাকে এখন ইমোশনা করে ফেলেছে।
ক্লাস নাইন থেকে নানী বাড়িতে। মাষ্টার্স পরীক্ষা দিলাম নানী বাড়ি থেকে। একটি স্মৃতি বিজারিত নানী বাড়ি। ২০১৯ সালের কিছু কারেন্ট বিল দেখলাম, যেগুলা আমি বিদুৎ অফিসে গিয়ে পরিশোধ করেছিলাম।
আগামী শুক্রবার গাইবান্ধ থাকতে পারি। গাইবান্ধা রেল স্টেশন থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন ছিলো রিয়ার সাথে আমার শেষ ট্রেন যাত্রা। সেই টিকেট আমি যত্ন করে রেখে দিয়েছি। গাইবান্ধা তে আমার আব্বু সরকারি চাকরি করে। থাকে সরকারি কোয়াটারে। আমি আর আমার বউ রিয়া সেই কোয়াটারে থাকতাম। মাষ্টার্স পরীক্ষার পর, ব্যাবসা ধরার কথা ছিলো। পিতা মাতা আর আমাদের চুলা ভিন্ন হবার কথা ছিলো। মাষ্টার্স এর পরীক্ষার মাঝেই আমাদের তালাক হয়ে যায়।
রিয়া টম এন্ড জেরি, মটু পাতলু, ওগি কার্টুন পছন্দ করিতেন। আমিও টম এন্ড জেরি ও ওগি কাটুর্ন পছন্দ করিতাম। গাইবান্ধা থাকতে আমরা লেপটপে একসাথে নাটক দেখতাম। একপ্রকার বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ছিলো। রোজার আগে আমি শ্বশুড়বাড়িতে যাই। ওর আম্মু বললো “রিয়া রোযার পরে আপনাদের এখানে যাবে।” ঈদের পর পরেই আমাদের মাষ্টার্স পরীক্ষা এর লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। আর রিয়ার আব্বু তালাকের প্রস্তাব আনে। সবাই যখন পরীক্ষা শেষ হবার আনন্দে ছিলো তখন আমি বিচ্ছেদের আগুনে পুরছিলাম। বউ উদ্ধারের জন্য কোর্টে মামলাও করেছিলাম। কোন লাভ হয় নি। কে বা কারা আমার বউ এর অন্তরে বিষ ঢুকাইছে; সৃষ্টিকর্ত ভালো জানে।
যাই হউক। খুব শিঘ্রী নানী বাড়ি (গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ) ছেড়ে গাইবান্ধা এর দিকে ছুটবো। অনলাইনে আয় করার চেষ্টা করিবো। আমি গ্রাফিক্স এবং এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট এর কাজ পারি। কেউ যদি ওয়েব সাইডের লিংক দিতেন তাহলে খুব মেহেরবানী হতো।
১৩ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৫২
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: দুই লাইন পড়ে, মত্যব করেছেন মনে হয়।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: গ্রামবাংলার মাটির এমন রাস্তা বেশ লাগে।
১৩ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৫২
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: লোন দুই লাইন- প্রথম, মাঝের না শেষের?
~গাইবান্ধা রেল স্টেশন থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন ছিলো রিয়ার সাথে আমার শেষ ট্রেন যাত্রা। সেই টিকেট আমি যত্ন করে রেখে দিয়েছি।- ১ নং
~সবাই যখন পরীক্ষা শেষ হবার আনন্দে ছিলো তখন আমি বিচ্ছেদের আগুনে পুরছিলাম। বউ উদ্ধারের জন্য কোর্টে মামলাও করেছিলাম।- ২ নং
শুধু এই কাহিনীটুকু আপনি বহুবার করেছেন। রাগ করবেন না।
~যাই হউক। খুব শিঘ্রী নানী বাড়ি (গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ) ছেড়ে গাইবান্ধা এর দিকে ছুটবো। অনলাইনে আয় করার চেষ্টা করিবো। ৩ নং
এইটা বুদ্ধিমানের মত কোন কাজ নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: আফসোস- আপনি সাবালক হবেন কবে