নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাজের সময় কাজী। কাজ ফুরালে পাজি।

ইমরোজ৭৫

আমি একজন সাধারন মধ্যবিত্ত ছেলে।

ইমরোজ৭৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বউ আজ আছে কাল নাই। আব্বু আম্মু সারা জীবন থাকিবে।

২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৭



এই গল্পটি কাল্পনিক। কোন চরিত্র, সাম্প্রদায় কে ছোট করার জন্য এই গল্প না। যদি এই গল্পের সাথে কারো জীবনের মিল খুজে পান তাহলে এটা আমার দায় না।

পার্ট ০১।
আজ ইলিয়াস বাসার ছাদে ওঠেছে। সে একজন সরকারি চাকরিজীবী। যখন তার তালক হয় সে ছিলো বেকার। ইলিয়াস থাকে গাইবান্ধাতে। চাকরি করে প্রাইমারি স্কুলে। আজ শুক্রবার। আজ সে অনেকদিন পর ছাদে ওঠে। ছাদে ওঠার পর তার সাবেক বউ এর কথা মনে করে। আর মন খারাপ করে। ইলিয়াসের বউ এর নাম আছমা। বাড়ি কুমিল্লা। দাউদকান্দি উপজেলা। ঠিক দাউদকান্দি ব্রীজ সংলগ্ন নছরুদ্দি গ্রামে।

ইলিয়াস তার বিয়ের খবর জানতে পারে বিয়র আগের দিন। ইলিয়াস তার বিয়ে খবর জানতে পারার পর তার মা কে বলে এই বিয়ে সে করবে না। কারন সে এখন বেকার। এবং দেখতে ও হেব্বি মোটা। এমন মোটা ছেলের ভাগ্য ভালো হয় না। কে শুনে কার কথা। বিয়ে হয়ে গেলো।

পার্ট ০২।
আছমা ইলিয়াস কে পছন্দ করিতেন না। কারন ইলিয়াস খুব মোটা। কুমিল্লা থেকে গাইবন্ধা বেশী দূর হওয়াতে শ্বশুর বাড়িতে তার মন বসছিলো না। সব মিলেয়ে আছমার মন খারাপ থাকতো। এই মন খারাপ থাকাটা ইলিয়াস এর মনে খুব পিড়া দিতো। ইলিয়াস তার বউ কে খুসি করার জন্য যথা সম্ভব চেষ্টা করে। যদিও আছমা তার ইলিয়াসের সাথে খুব বাজে ব্যাবহার করিতো। আছমা থেকে এই বাজে ব্যাবহার পেতে পেতে ইলিয়াস ও হাপিয়ে উঠেছিলো। এবং আসমার প্রতি বিরক্ত হতে থাকে।

পার্ট ৩।
বিয়ের ১৫ দিন। শীত পড়তে শুরু করেছে। আসমা তার বাপের বাড়ি কুমিল্লা চলে যায়। এক সপ্তাহ পর ইলিয়াস তার বউ কে আনতে যায়। কিন্তু তার বউ তার সাখে যাবে না। ইলিয়াস কে অপমান করার জন্য আছমা তার পাড়া প্রতিবেশী কে আনতে শুরু করে।

পাড়া প্রতিবেশীরাও ইলিয়াস কে অপমান করতে শুরু করে। এ তো মোটা জামাই। আছমার জন্য ভালো ভালো কাজ আসতেছিলো। এই মোটা ছেলের সাথে বিয়ে দিলেন কেন? ইত্যাদি বলে অপমান করা শুরু করে দিয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে ইলিয়াস একা একা চলে আসে।

পার্ট ০৪।
বিয়ের এক মাস পর। আনুমানিক ডিসেম্বর মাস। আছমা ও তার মা ও বাপ কে নিয়ে গাইবান্ধা চলে আসে। আছমা এর মুখ দেখলে বুঝা যায় তার মন খারাপ। ইলিয়াস আছমার আচরনে খুব দুঃচিন্তায় থাকিতেন। তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে সে অনিরাপদে থাকতেন।

একবার তো ইরিয়াস বলেই ফেলে “তুমাকে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। তুমি আজ আছো কাল নাই। আমার আব্বু আম্মু আমার সাথে সারা জীবন থাকবে।” ইরিযাস আরো বলে “তুমার ব্যাবহারে আমি বিরক্ত। তুমি কিন্তু বিশ্ব সুন্দরী না যে এত অহংকার করবে।”

পার্ট ০৫।
জানুয়ারি মাস। আছমার খালাত্বো বোন নাদিয়া এর বিয়ে। নাদিয়ার বিয়ে হয়েছে ইলিয়াসের ক্লাসমেট আরেফিস শুভ এর সাথে। প্রথম দেখাতেই আছমা শুভ কে পছন্দ করে ফেলে। শুভ আবার আছমার শরীলে নানান অজুহাতে স্পর্ষ করতে থাকে। যা দেখে ইলিয়াস এর খুব হিংসে হতো। এই ব্যাপারে ইলিয়াস তার বন্ধু শুভ কে সতর্ক করে। ইলিয়াসের এই আচরন খালাত্বো বোন নাদিরার পছন্দ হয় নি। নাদিরা আছমা কে এই ব্যাপারে অভিযোগ দেয়। এবং নাদিরার বড় ভাই সাইফুল এই ব্যাপারে ক্ষদ্ধ।

পার্ট ০৬।
ফেব্রুয়ািরি মাস। আছমা ইলিয়াস কে পছন্দ করা শুরু করেছে। কিন্তু ইলিয়াস এখন আছমা কে বিশ্বাস করতে পারছে না। সে এখনো তার দাম্পত্য জীবন নিয়ে অনিরাপদ এ ভুগছে। আজ আছমা তার স্বামী ইলিয়াসের জন্য নুডুস বানিয়ে ছে। তা খেয়ে ইলিয়াস খুব তৃপ্তি পেয়েছে।

ইলিয়াসের আম্মু তার নানীর বাড়িতে গেছে। ইলিয়াস আর আছমা ঘরে একা। ইলিয়াসের আব্বু অফিসে থাকে। এই সুযোগে একে অপর কে বুঝতে শুরু করেছে। আছমাও আস্তে আস্তে সংসার সামলানো শিখে গেছে। ইলিয়াস এবং আছমা একে অপরের প্রতি অনেক খানি কমফোর্ট অনুভব শুরু করেছে।

পার্ট ০৬।
মার্চ মাস। ইলিয়াসের ২য় বার শ্বশুর বাড়ি যাওয়া। করোনা ভাইরাসের টীকা দেওয়ার জন্য সে কুমিল্লা যায়। আছমা এর আম্মু ইলিয়াস কে বলে “সামনে তো রোযা। আছমা ঈদের পর চলে যাবে। তুমি চলে যাও।” ইলিয়াস গাইবান্ধা চলে যাবার পর আছমা মোবাইল বন্ধ করে ফেলে। এই ব্যাপারে ইলিয়াস তার শ্বশুর কে প্রশ্ন করে। কিন্তু তার শ্বশুর এই ব্যাপারটি এরিয়ে যায়। রোযা চলে যায়। ঈদ চলে আসে। আছমা এর মোবাইল বন্ধ থাকার করেণে ইলিয়াস তার বউ কে “ঈদ মোবারক” এ বলতে পারে নি।

পার্ট ৭।
ইলিয়াস এর মাষ্টার্স পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। শেষ ও হয়ে গেছে। ইলিয়াস এর মোবাইলে একটি হুমকি কল আসে। “তুই আমার কলিজার মধ্যে হাত দিয়েছো। তুকে ছাড়ব না।” ইত্যাদি।
এই ব্যাপারে ইলিয়াস থানায় যায়। এই ব্যাপারে থানায় জিডি করে।
এর মাঝখানে ইলিয়াসের শ্বশুর ইলিয়াসের আম্মু কে বলে আছমা আর আপনাদের সাথে থাকবে না। তারপর একদিন তাদের মধ্যে তালাক হয়ে গেলো।

পার্ট ০৮।
ইলিয়াসের আজ চাকরি আছে। সুখ আছে। সব আছে। শুধু আছমা নাই। আজ ছাদে ওঠে আছমা এর কথা স্মরণ করিলো ইলিয়াস। “আছমা তাকে কেন তালাক দিলো?” সেটা ইলিয়াসের কাছে আজও অজানা।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গবেষণায় দেখা গেছে "বিয়ে" হচ্ছে তালাকের অন্যতম কারণ।

২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৮

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: যেখানে বিয়ে নাই। সেখানে তালাক ও নাই।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: ইলিয়াস মিয়ার গল্প পড়ে খুবই কষ্ট পেলাম । চোখে পানি চলে আসলো !

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:২৭

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩৫

পোড়া বেগুন বলেছেন:
আপনি গল্পে খেই হারিয়ে ফেলেছেন। গল্পে ইলিয়াসকে টেনে আনলেও রিয়াকে লুকাতে পারেন নি। পার্ট-৪ ও পার্ট-৬ অযাচিত ভাবে রিয়া চলে এসেছে যে কিনা
আপনার বউ ছিলো কিন্তু আপনাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে।

লেখায় ল
চলিত ও সাধু রীতির দূষণ ইষ্টিকুটুম ঠেকেছে।
অপু তানভীরের মন্তব্যে আমার চোখেও জল এসে
ভিজিয়ে দিলো!
থাক ভাই দুঃখ কইরেন না, বউ গেলে বউ পাবেন,
মা বাবা গেলে তাদের আর পাবেন না। মা বাবার
যত্ন নিন।

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:২৭

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২৫

কামাল৮০ বলেছেন: কয়টা বিয়ে করার ইচ্ছা আছে?

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৯

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: এটা গল্পের নায়কের উপর নির্ভর করে।

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার ঘটনাটা এতবার কেন শেয়ার করছেন ব্লগে ?

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৮

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: এটা পড়ুন।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো হয়েছে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ওয়েলকাম।

৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: “আছমা তাকে কেন তালাক দিলো?” সেটা ইলিয়াসের কাছে আজও অজানা।

আমি তো দেখছি নায়ক নিজেই জানে। গল্পেই বলে দেওয়া আছে।
অফটপিক: দাবা খেলতে পছন্দ করেন?

২৪ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৭

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: জ্বি। আমি দাবা খেলতে পছন্দ করি। কিন্তু তেমন পাকা খেলোয়ার না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.