নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিনা টিকেটে রেল ভ্রমন রোধ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এটি একটি দুঃখের খবর। ইদানিং আমার ট্রেনের যাত্রা একটুও ভালো লাগে না। আমার কাছে বাসের যাত্রা ভালো লাগে। আব্বুর চাকরির সুবাধে চুয়াডাঙ্গা ও গাইবান্ধা থেকেছি। কমলাপুর স্টেশন থেকে চুয়াডাঙ্গা ও গাইবান্ধা স্টেশনে ভ্রমন করেছি। আমার কিছু কিছু অভিজ্ঞতা আছে এই রেল ভ্রমনে।
বিনা টিকেটে রেল ভ্রমন রোধ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। কেন কতৃপক্ষ পারে না এই কাজ করতে? আমাদের রেল কর্তৃপক্ষ কি আকামের? চলেন, দেখে আসি কেন রেলে মানুষ বিনা টিকেটে ওঠে।
০১। টিকেট না পাওয়া: অনেক লোক টিকেট পায় না। কিন্তু একটি লোকের গাইবান্ধা থেকে ঢাকা যাওয়া খুব জরুরী। বাসে গেলে জ্যাম। তাই লোকেরা বাধ্য হয়ে বিনা টিকেটে ভ্রমন করে। ওদের মানষিকতা এমন থাকে যে “লাগলে জরিমানা দিমু, তার পরেও ট্রেনে ভ্রমন করিবো।
০২। চাহিদা তুলনায় যাত্রীর আধিক্য: মনে করেন। গাইবান্ধা থেকে ঢাকার যাত্রী ১০০ জন। বগুরা, টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর মানে লোকাল যাত্রী আরো ১০০ জন। মোট চাহিদা ২০০। গাইবান্ধা থেকে ঢাকা পর্যন্ত মোট সিট আছে ৪০ টি। বাকি ১৬০ জন লোক বিনা টিকেটে ভ্রমন করে।
০৩। টিকেটের কালোবাজারি: অনলাইনের টিকেট যখন CNS এর হাতে ছিলো তখন আমি লেপটপ নিয়ে টিকেট কাটতে বসলাম। দেখলাম সার্ভার থেকে একটি ম্যাসেজ আসলো, সকাল ৮টা এর আগে টিকেট কাটা যাবে না। ৮ টা ১। সার্ভার স্লো হয়ে গেলো। ৮ টা ৬ এ সার্ভার কাজ করা শুরু করে। তখন দেখি সব টিকেট শেষ। স্টেশন এ গিয়ে কোন মতে টিকেট পাই।
বিনা টিকেটে রেল ভ্রমন রোধ করতে পারবেন যেভাবে:
০১। জনসংখ্যা তুলনায় ট্রেনের সিট বাড়াতে হবে।
০২। ট্রেনের টিকেট সহজলভ্য করতে হবে।
০৩। লোকাল যাত্রী যেমন গাইবান্ধা থেকে টাঙ্গাইল যাবে এমন যাত্রীদের জন্য আলাদা বগি রাখতে হবে।
০৪। কালো বাজারি বন্ধ করতে হবে।
০৫। প্রধান কথা দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
©somewhere in net ltd.