নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়ালেখা তো সাবাই করে। এর মধ্যে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কয় কয়জনে? কয়জনে বা নোবেলে পুরস্কার পায়। আমাদের এলাকায় একজন দর্জি আছে। সে তার আয় দিয়ে গ্রামে পাঁচ তালা বাড়ি বানিয়েছে। আমি কম্পিউটার চালাতে পারি সেই ১৯৯৯ সাল থেকে। তখন উইন্ডোস ৯৮ চলতো। জাস্ট সার্টিফিকেট এর জন্য ২০১১ সালে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হই। আমার যে ট্রেইনার সে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এর পাশাপাশি বিবাহ ও অন্যান অনুষ্ঠানে ভিডিও করন ও ভিডিও এডিটিং করে থাকে। ইদানিং তিনি ব্যানার ও অন্যান প্রিন্টিং করে থাকে। বলতে পারেন সেও তার ব্যাবসায় এগিয়ে যাচ্ছে। আমার এলাকার বড় ভাই কনফেশনারি, প্রিন্ট, ফটোকপি এর দোকান দিয়ে বেশ লাভ জনক পজিশনে আছে। এখন মাইকা চিপায় আছে এমন দর্জি ও কনফেশনারি দোকানের মালিকও আমাদের এলাকাতে রয়েছে।
সেদিন জাতীয় টিভি চ্যানেলে ফ্রিলেন্সিং নিয়ে একটি প্রতিবেদন বানিয়েছে। প্রতিবেদনটি মসলা দিয়ে বানানো হয়েছে সেটা আমি বুঝেছি।
মসলদার প্রতিবেদন না বানিয়ে পরিসংখ্যান করা উচিৎ ছিলো যে কত পারসেন্ট লোক ফ্রিলেন্সিং করে সফল হয়েছে। আর সফল হয় নি কত পারসেন্ট। আমার কাছে ঐ প্রতিবেদন টি “একটি গরিব ঘরের সন্তান এসএসসি তে A+ পেয়েছে।” এমন মার্কা প্রতিবেদন হয়েছে।
তাছাড়া শুধু যে ফ্রিলেন্সিং করেই যে টাকা কামানো তে স্মার্টনেস সেটা কিন্তু না। আপনি কম্পিউটার সার্ভিসিং করতে পারেন। যেমন আমি আমার লেপটপ সার্ভিসিং করাই আগারগাওঁ আইডিবি কম্পিউটার মার্কেট এর এক বড় ভাই থেকে। সেও তো সেখানে মিনিমাম ৫০ লাখের মত ইনকাম হয়। মাসে ৫০ লাখ না কামালে সেখানে টিকে থাকা অসম্ভব।
এখন সেই প্রতিবেদন একটি মিথ্যে মিরীচিকা। এই কাজে হয়তো সফল ২ থেকে ৩ % লোক। বাকিরা কি করবে? যেহেতু পরিসংখ্যান নাই। সেহেতু রেফারেন্স ও দিতে পারছি না।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: বিসিএস পরীক্ষার কথা চিন্তা করেন । সেখানে প্রতিবছর ৪ লাখ পরীক্ষা দেয় কিন্তু চাকরি হয় দুই হাজার ক্যাডার আর তিন/চার হাজার নন ক্যাডার । ফ্রিলান্সিংয়ের ব্যাপারটাও ঠিক একই রকম । ২ থেকে ৫ পার্সেন্ট আসলেই ভাল কাজ করতে পারে । তবে ৭০ ভাগই কোন অর্থই আর ছাড়াই মার্কেট ত্যাগ করে । আর বাকিটা একটা ডিসেন্ট টাকা আয় করে ।
আমার স্কুল বন্ধু একজন । ২০১১/১২ সাল থেকে এই লাইনে আছে । ওয়েব ডেভোলাপার । মাসে ওর আয় এক দেড় হাজার ডলার !
প্রতিটা কাজে ডেডিকেশন লাগে । কঠিন পরিশ্রম এবং ধৈর্য ধরে যেমন বিসিএস পাশ করতে হয়, ব্যবসা দাড় করাতে যেমন কঠিন পরিশ্রম করতে হয় এখানেও তাই। কিন্তু আমাদের বলদ সাংবাদিকেরা এমন ভাবে এই প্রতিবেদন করে যেন গেলাম আর হয়ে গেল ! টাকা আয় করা এতো সোজা !
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সমগ্র বাংলা মিলে কত কোটি ডলার কামিয়েছে এখন পর্যন্ত, ডাটা আছে?
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অনেকে পারে, অনেকে পারে না।
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দক্ষ প্রোগ্রামার বা ডেভেলপার হলে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে থেকেও ভালো আয় করতে পারা কথা।
পেশাগতভাবে আমি নিজেও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট-এর সাথে জড়িত। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমেরিকায় একজন দক্ষ ডেভেলপার, যার অন্তত ব্যাচেলর ডিগ্রী ও মোটামুটিভাবে ৫/৭ বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের বেতন বাৎসরিক এক লক্ষ ডলারেরও অনেক বেশী হওয়ার কথা। আমি কাজ করছি দশ বছরেরও অধিক সময় ধরে।
এখানে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে, কমিউনিকেশন, প্রফেশনালিজম, ক্রিয়েটিভিটি ও এফিশিয়েন্সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন প্রকৃত অর্থে প্রোগ্রামার বা ডেভেলপার উইনিক সমস্যার সমাধানও সহজে করতে পারেন। তবে মুখস্ত বিদ্যা বা অল্প ব্যবহারিক জ্ঞান নিয়ে বেশীরভাগ প্রোগ্রামার বা ডেভেলপার দাবী করা লোকজনের পক্ষে ঐ পর্যায়ে কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। কাজ করতে গিয়ে এদেরকে খুব সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব। ইন্টারভিউতে আমি এমন অনেক লোকজন পেয়েছি ও দেখেছি।
দুঃখজনক হলেও সত্য, আমার অভিজ্ঞতা বলে বাংলাদেশী ডেভেলপারদের কাজের মান ততটা সন্তোষজনক নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছুদিন আগেই একটা প্রজেক্টের জন্য বাংলাদেশে ডেভেলপার খুঁজেছিলাম, বলতে পারেন হতাশ হতে হয়েছে। ভালো মানের কাজ জানা থাকলে বাংলাদেশে বসেই লাখ-খানেক টাকা আয় করা সম্ভব। ধন্যবাদ।
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজন ব্যর্থ মানুষ।
অথচ অনেক প্রতিভা নিয়ে জন্মেছিলাম।
৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫২
সোহানী বলেছেন: ইফতেখার ভূইয়া কথায় সহমত।
দরকার দক্ষতা। কাজ জানলে কাজ আসবে। দেশের বাইরে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে মামা-চাচা না, নিজের কাজের ফিরিস্তিই বলে দিবে কাজ পাবে কিনা। আমার অভিজ্ঞতা একই। একবার দেশে অফিসিয়াল সফটওয়ারের জন্য ১০টা কোমাপানীর টেন্ডারে ৯টাই ভারতীয় ছিল। এবং সত্য যে সেটা এখনো চলছে। দেশের বাইরে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের বড় অংশই ভারতীয়রা পায় কারন তাদের যোগ্যতাই তাদের কাজ দেয়।
৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার এক আত্মীয়ার বয়স ৬৪ বছর। উনি মাসে ৫ লাখ টাকা বা তারচেয়ে বেশী আয় করেন। উনি গত প্রায় ১৫ বছর ধরে এই পেশায় আছেন।
৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
দেখতেব কে কি মন্তব্য করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমিও এ ব্যপারে একমত। তবে সাফল্য অনেকে পাচ্ছে সেটা ঠিক আছে এবং তা ঈর্ষণীয়ও বটে। কিন্তু কতজন ব্যর্থ হচ্ছে তা নিয়ে কেউ কথা বলে না। সবাইকে এমনভাবে বলা হয়, যেন খুব সহজ একটা ব্যপার এবং লাখ লাখ কোন ব্যপারই নয়...