![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমার সুন্দর মুখ দেখেছিল, ভুবন ভোলানো হাসিও দেখেছিল। কিন্তু সেটা কাছ থেকে নয় আবার দূর থেকেও নয়। ঠিক যেন একটি সরল রেখার এক মাথায় তুমি অন্য মাথায় সে। কিন্তু সরলরেখা বরাবর অসংখ্য মুখ। কখনো তোমার চুল, কখনো বা তোমার মুখের একপাশটা আর মাঝসাঝে শুধু মায়াবী চোখদুটো দৃশ্যমান।সম্পুর্ন তুমি তাতে নেই। ঠিক এভাবে তোমাকে আর কে খেয়াল করেছিল! ছোটবেলায় হয়ত বাবা খেয়াল করত। বড় বেলায় বাবার খেয়ালটা ফোন আর টুকটাক কথোপকথনে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মা ব্যপারটাই হয়ত বড় অদ্ভুত। মেয়েকে নিয়ে খুব ভাবে। তোমাকে একাও থাকতে দেয়।কিন্তু তোমার একা একা কান্না করাটাও তার নজর এড়ায় না, যতই তুমি লুকাতে চেষ্টা কর না কেন। মা বাবার এই নির্ভেজাল ভালবাসার পাশাপাশি তার বিশেষ ভালবাসাও যে তোমার দরকার ছিল। কতজনেই তো তোমাকে চেয়েছিল। কিন্তু তোমার খানিকটা আগ্রহই কি ওকে তোমার কাছাকাছি থাকার অনুমতি ছিল? কি এক খেয়ালি সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে। ওর পাশে সবসময় তুমি কিন্তু এন্ড অফ দ্যা ডে তোমার পাশে শুধু তোমার ছায়া। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে দুঃস্বপ্নটা ১ দিন ২ দিন ৩ দিন প্রতিদিন নিত্য তোমার সঙ্গের সঙ্গী হল। সব পাওয়ার মাঝেও কিসের যেন শুন্যতা পূরন করতে চেয়েছিলে? কিন্তু সে না হল ডাক্তার না হল ভালোবাসা না হল ঘৃনা।এর বাইরেও কিছু থাকতে পারে কিন্তু সেটা এখনো অভিধানে আসে নি। আজ তারও অবসান হল। কাল ওর বিয়ে। হটাতই। চারিদিকে খূশি আর আনন্দের বাচ্চারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তুমিও নিমন্ত্রিত। কিন্তু তুমি যে যাবে না তা সে ঘুনাক্ষরেও বোঝেনি আর বোঝেনি বলেই তোমার অনুপুস্থিতিও সে টের পাবে না। আজ আবার তোমার কান্নার রাত। তোমার কান্নার প্রতিটা শব্দ বলছে সে যেন সুখী হয়। কিন্তু কান্নাটা সাবধানে করো যেন মা কোনভাবেই টের না পায়।
©somewhere in net ltd.