![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতায় শুরু কবিতা শেষ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিসর কাছে দেয়া সাক্ষাতকারে বর্তমান চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, হেফাজতের দাবী, ব্লগারদের গ্রেপ্তার ও বিচার এবং সেনাবাহিনীর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলেন।
ব্লাসফেমি আইনের আদলে নতুন কোন আইন প্রণয়নের হেফাজত ইসলামের দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেন,
"বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ প্রচলিত অনেক আইনেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।"
হেফাজতের ১৩ দফা দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন,
"নতুন আইন না করলেও হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো নিয়ে সরকার আলোচনা করে দেখবে। হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলোর মধ্যে কিছু গ্রহণযোগ্য হলে, তা গ্রহণ করবো। আর যেগুলো গ্রহণযোগ্য হবে না, সে গুলো গ্রহণ করবো না।"
হেফাজতের ১৩ টা দাবির একটাও গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার যদি এখন মৌলবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করে তাহলে তার অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠবে।
ব্লগারদের ব্যাপারে তিনি অনেকটা হেফাজতের পক্ষেই বলেছেন। শাহবাগ আন্দোলন থেকে পুরো সুবিধা সরকার গ্রহণ করলেও এখন তারা পরিস্থিতি বুঝে পাল উল্টে দিয়েছেন। ব্লগারদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন ।
"ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মত কোন কথা যদি লেখায় থাকে, অবশ্যই আমাদের তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা খুব স্বাভাবিক। আমি একজন মুসলমান। এখন নবী করিম সা: সম্পর্কে কেউ যদি আজেবাজে কথা লেখে, আমরাতো চুপ করে বসে থাকতে পারি না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেউ হয়তো ধর্ম না মানতে পারে, তার মানে এই না যে তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কথা বলবে। নোংরা কথা লিখবে। নবী করিম সা: সম্পর্কে কেউ যদি আজে বাজে কথা লেখে,তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমি অন্যের কথা শুনলাম, মোটেই না। আমি নিজেও ধর্মে বিশ্বাস করি। কাজেই আমার নিজেরও অনুভূতিতে আঘাত লাগে। কেউ যদি বাজে কথা লেখে। "
সরকার একদিকে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলছে। অন্যদিকে, ইসলামপন্থীরা যখন দাবি তুলছে, তখন সরকার নমনীয় অবস্থান দেখাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী গ্রেপ্তারকৃত ব্লগারদের বিচারের ব্যাপারে বলেন,
" প্রচলিত আইনে গ্রেফতার করেছি, সেই আইনেই বিচার করা যাবে। তবে এখন সবাই সবার মৃত্যুদণ্ড চায়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মালিকতো আর আমি না। দেশে কোট-কাছারি রয়েছে। তারাই ঠিক করবে, কার মৃত্যুদণ্ড হবে বা কার হবে না। সেটা আমরা করবো কিভাবে? এটা সরকার করবে না, সরকারের দায়িত্ব নয়।"
হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ কর্মসূচি নিয়ে সরকারের দিক থেকে এর আগে জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্র শিবিরকে জড়িয়ে নানান আশংকার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। সে প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,
''ইতিমধ্যেই দেখেছেন, ১৮-দলের পক্ষ থেকে মঞ্চে গিয়ে সমর্থন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আশংকা অমূলক ছিল না। তবে আমি ধন্যবাদ জানাবো যে, হেফাজতে ইসলাম কিছু কর্মসূচি নিলেও তারা যথারীতি তাদের সমাবেশ শেষে ফিরে গেছে। জামায়াতের ফাঁদে পা দেয়নি।''
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখে হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,
''উনি যদি আশা করে থাকেন যে কিছু মানুষ খুন করলেই একেবারে আর্মি ঝাঁপিয়ে পড়বে। আর ওনাকে ক্ষমতায় নেবে। বর্তমান আর্মি তা করবে না।''
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: হেফাজতের ব্যাপারে এতটা নমনীয় ভাব না দেখালেও পারতেন
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০০
শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেছেন: ব্লগারদের নিয়ে শেখ হাসিনা যে কথা বলেছেন এটা ঠিক আছে। ব্ল্যাসফেমি আইন নিয়েওে ভালো কথা বলেছেন।