নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই মিথ্যে শহরে আমি থাকবনা তোমাদের মত

আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই।

ইমতিয়াজ ইমন

কবিতায় শুরু কবিতা শেষ

ইমতিয়াজ ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবাক জলপানঃ এরশাদের এক অনবদ্য নাটক

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

"পানি, পানি নিয়া যান, জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে পানি. ....।"



প্রচণ্ড গরমে হাঁপিয়ে উঠছে সবাই। একটু ঠাণ্ডা পানি পেলে মন্দ হতনা। এই গরমে এতদূর হেটে আসা কি সম্ভব। হাঁটার অভ্যাস এখন আর নাই। তারপরও আসতে হল, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত। হুজুরদের কথা শুনতেই হয়। যাই হোক অনেক কষ্টে এসে পৌছালাম। টিভি চ্যানেল আর পত্রিকার সাংবাদিকরা চারদিকে ঘুরঘুর করছে।

হুজুর বলে দিয়েছেন, যাতে কেউ উল্টাপাল্টা কিছু না বলে।



" ভাই পানি নিয়ে যান, পানি। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে পানি নিয়ে যান। একদম ঠাণ্ডা পানি।"

একজন চেঁচিয়ে বলছে। পিছনে তাদের দলের ব্যানার লাগানো।

টাকা নিবে কিনা বুঝা যাচ্ছেনা। এক বোতল পানি নিয়ে টাকা দিতে গেলাম। একজন বলল যে টাকা লাগবেনা। সে প্রত্যেককে এক বোতল পানি দিল। আরেকজন এসে দিল শশা , লবণ সহ। আমরা সবাই পানি খেলাম, একদম ঠাণ্ডা হয়ে গেল শরীর। জাতীয় পার্টির ব্যাবহারে আমরা মুগ্ধ।



কে বলে এরশাদ খারাপ। উনি নাকি স্বৈরাচার। মুক্তিযুদ্ধের সময় নাকি উনি পাকিস্তান চলে গিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় এরশাদ ছুটিতে রংপুর ছিলেন। কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে তিনি পাকিস্তান চলে যান। পাকিস্তান থেকে আটকে পড়া বাঙালিরা যখন ১৯৭৩ সালে দেশে ফিরে আসে তখন তিনিও প্রত্যাবর্তন করেন। আহ দেশের প্রতি তার কি মমতা, নাহলে কি তিনি আর দেশে ফিরতেন।



দেশের উন্নয়নের জন্য তাই তিনি কষ্ট করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। ৩০ মে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হবার পর, এরশাদের রাজনৈতিক অভিলাষ প্রকাশ হয়ে পড়ে। ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সাল নাগাদ তিনি প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন। ঐ দিন তিনি দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ.এফ.এম আহসানুদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে নিজের অধিকারে নেন। আহ কি দেশপ্রেম।



মন্দ লোক তার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে টানা হেঁচড়া করে। উনি একটু নারীবাদী, এতে তো দোষের কিছু নাই। ঐদিন বিদিশা তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বলেন, ২০০০ সালে এরশাদ আমাকে বিয়ে করেন। অনেকের কথায় আমাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। তিনি এরশাদের সমালোচনা করে বলেন, যে মানুষ নিজের ঘর সামলাতে পারেন না, তিনি কী করে পার্টি চালাবেন? জাপা বর্তমানে মনোনয়ন বাণিজ্যের দলে পরিণত হয়েছে।



কি বাজে কথা। উনার মত একজন কামেল মানুষের নামে এমন বদনাম। যাই হোক আমরা পানি খেয়ে আবার এগিয়ে চললাম। হুজুরের বক্তব্য দেয়ার সময় হয়ে গেছে।



এরশাদের দেয়া পানি খেলে পাপের পরিমাণ বাড়বে না কমবে, সেটা চিন্তা করার দায়িত্ব যে পানি খাবে তার।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২২

ক্লোরোফিল বলেছেন: অন্যরকম কষ্টের /পাশবিকতার কথা - Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.