নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই মিথ্যে শহরে আমি থাকবনা তোমাদের মত

আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই।

ইমতিয়াজ ইমন

কবিতায় শুরু কবিতা শেষ

ইমতিয়াজ ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের পাপ

০১ লা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

একটা বাঘ এসে একটা মানুষের বাচ্চা নিয়ে গেছে। এই ধরণের ঘটনা এই এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। সবার মধ্যে তাই চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাশের বনে অন্যান্য প্রাণী থাকলেও বাঘ থাকতে পারে এমন ধারনা কেউ করেনি। যার বাচ্চা নিয়ে গেছে, সে কাঁদতে কাঁদতে এখন নিশ্চুপ হয়ে গেছে।



প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা অবশ্য এত সহজে ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়। তারা বাঘ শিকারের আয়োজন করতে লাগলেন। শহরে থাকা এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তিরাও তুলে রাখা বন্দুক পরিষ্কার করে বাঘ শিকারে নামলেন।



মানুষের বাচ্চা নিয়ে যাওয়া এখন আর মুখ্য বিষয় নয়। এখন মুখ্য বিষয় হল বাঘ শিকার। যেভাবেই হোক বাঘটাকে ধরতেই হবে। বাঘ শিকারের জন্য আরামদায়ক ব্যাবস্থা করা হল।



হরিণ শাবক গুলো মাত্র কয়েকদিন হল জন্মলাভ করেছে। সারাদিন মনের আনন্দে তারা ছুটাছুটি করে। তাদের আনন্দময় জীবনে কোন বাধা নেই। মা হরিণী দূরে বসে তার সন্তানদের আনন্দ দেখে। ছোট বাচ্চাটা বেশী লাফঝাপ দিচ্ছে। তার আনন্দটাই সবচেয়ে বেশী।



শিকারীর দল বনের গভীর থেকে গভীরতর অংশে যাচ্ছে। হঠাৎ একজনের চোখ আনন্দে ঝকমক করে উঠলো। সে সবাইকে সাবধান করে দিয়ে সতর্ক ভঙ্গীতে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের নির্ভুল নিশানা হরিণ শাবক গুলোকে লক্ষ্য করে স্থির হচ্ছে। আঙ্গুলের চাপে বিশাল শব্দ হল। হরিণ শাবকগুলো লুটিয়ে পড়লো। মা হরিণটা ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়াচ্ছে, তার চোখে জলধারা।



হরিণের মাংস দিয়ে সবাই রাতের খাবার সেরে নিল। সবাই মাংসটার তারিফ করছে। এ নিয়ে বিশাল আলোচনা চলতে লাগলো। মানুষের বাচ্চা হারানোর কথা চাপা পরে গিয়েছে।

বাঘ শিকার বন্ধ করে সবাই বাড়ি ফিরে এলো। সাথে নিয়ে এলো সুস্বাদু মাংস খাওয়ার তৃপ্তি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আমাদের জাতীয় জীবনে ও এমন ঘটনা ঘটছে প্রতি নিয়ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.