নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই মিথ্যে শহরে আমি থাকবনা তোমাদের মত

আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই।

ইমতিয়াজ ইমন

কবিতায় শুরু কবিতা শেষ

ইমতিয়াজ ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিমু এবং এইসব নিঃসঙ্গ গল্পেরা -১

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৪

কলা যে কেউ খোসা সুদ্ধ খেতে পারে সেটা প্রথম দেখছি।

আমি বসে আছি মোহাম্মদপুর থানার ওসির সামনে। ওসি হারুনুর রশীদ, বুক পকেটে শুধু রশীদ লেখা নেমপ্লেট। ওসি সাহেব একমন খোসা সুদ্ধ কলা খেয়ে যাচ্ছেন।

-বুঝলেন হিমু সাহেব, কলায় যতটুকু ভিটামিন, তার ছোলাতে এর চেয়ে বেশী আছে।

-জী স্যার।

-কিন্তু তোমার জন্য এইসব ভিটামিন প্রয়োজণ নাই, তোমার জন্য প্রয়োজণ মাইর। কয়েকটা ডলা পরলেই তুমি একদম সোজা হয়ে যাবে।

-জ্বী স্যার।

সম্বোধন নিচের দিকে নামছে। এখন কথা না বলে চুপ থাকাই ভালো কিংবা তাকে রাগিয়ে দেয়া যায়। তবে রাগানোর আগে আকবরের চা টা খেয়ে নেই। এই থানায় আসার একটা আনন্দ হলো আকবরের হাতের চা খাওয়া যায়। চা বানানোও যে একটা শিল্প তা এই চা খেলে বুঝা যায়।

ওসি সাহেবের কলা খাওয়া শেষ হয়েছে, এখন তিনি চা খাচ্ছেন।

-এই নিয়ে কতবার থানায় এসেছেন?

-হিসেব রাখিনি, হিসাব রাখলে ভালো হতো, একশ তম বার থানায় আসা উপলক্ষ্যে একটা কেক কাটতে পারতাম।

-সিদ্ধ ডিম চিনিস? ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় এটা এখন ব্যবহার করিনা। এখন বিভিন্ন সাইজের রাবারের কিছু ডিম তৈরী করে নিয়েছি। বারবার ব্যবহার করা যায়।

-খুবই ভালো বুদ্ধি স্যার।



হারুণুর রশীদ অনেকখন ধরে হাংকি পাংকি করছে, তাকে একটু শিক্ষা দেয়া উচিত। সবার জন্য শিক্ষা।



-হারুণ সাহেব, আপনার এখন একটা দুঃসংবাদ শুনবেন।

-চুপ! হলুদ পান্জাবী পরে নিজেকে কি ভাবিস?



হারুণুর রশীদের কথা শেষ হওয়ার আগেই তার ফোন বেজে উঠলো।

হারুণুর রশীদ অবহেলার সাথে ফোনটি তুললেন।

-জ্বী স্যার। কিন্তু কেনো স্যার।

-না স্যার, আচ্ছা স্যার।

হারুণুর রশীদের পুরো মুখ ঘামে ভিজে যাচ্ছে। তার ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেছে।

-হিমু সাহেব, আপনি এখন যেতে পারেন।

-স্যার এক দুইদিন হাজতে থাকতে ইচ্ছে করছিলো।

-আপনি যান তো। আর শুনুন এইমাত্র ফোনে একটা খারাপ খবর পেয়েছি। খবরটা কি জানতে চান।

-না, জানতে চাইনা। মানুষের ভালো খবর শোনায় আনন্দ আছে, খারাপ খবর শুনলে খারাপ লাগাটা নিজের মাঝে ছড়িয়ে পরে।

-আমার এই কার্ডটা রাখুন। আর যদি একদিন আমার বাসায় আসেন, তাহলে অনেক খুশি হবো।



আমি মাথা থেকে দুটো চুল ছিড়ে ওসির দিকে বাড়িয়ে দিলাম।

-এই চুল দুটো একটি মাদুলীতে ভরে সঙ্গে রাখবেন। বিপদ কেটে যাবে।

ওসি রশীদ বিনয়ের সাথে চুল নিলেন। কয়েকদিন পর হয়তো দেখা যাবে আমার নাম চুল বাবা হয়ে গেছে। মাথার সব চুল ভক্তরা এসে নিয়ে যাচ্ছে। মাথা খালি হতে তাহলে দুদিন সময় লাগবে।



আমি থানা থেকে বের হয়ে আসলাম। প্রচন্ড রোদ, এই রোদ দেখলেই প্রচন্ড তেষ্টা পায়। ইচ্ছে করে কোন এক রেশমী চুড়ি পরা হাতে বাড়িয়ে দেয়া বরফ কুচি ভাসা একগ্লাস পানি পান করতে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.