নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই মিথ্যে শহরে আমি থাকবনা তোমাদের মত

আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই।

ইমতিয়াজ ইমন

কবিতায় শুরু কবিতা শেষ

ইমতিয়াজ ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ নিয়ে প্রথম আলো এবং ইত্তেফাকের গাঁজাখুরি রিপোর্ট

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

অল্প একটু সত্যের

সাথে অসংখ্য

মিথ্যে ঢুকিয়ে দিলে কি হতে পারে

সেটা দেখালো প্রথম

আলো।

ভুল তথ্য আর

গাজাখুরী গল্পে তারা মশলাদার

গল্প উপহার

দিয়েছে পাঠককে।

আর পাঠকও দেখলাম

ব্যাপক বিনুদিত হয়েছে।

১. যেখানে আমাদের

৭৫% উপস্থিতি নিশ্চিত

করতে হয় প্রফে বসার

জন্য,

সেখানে তারা লিখলো যে আমাদের

স্যারেরা নাকি ক্লাশ

নেন না।

২. একজন ডাক্তার যে শুধু

ছাত্রদের কাছেই নয়,

রোগীদের কাছেও

দায়বদ্ধ

সেটা হয়তো সাংবাদিক

বুঝতে পারেনি।

৩.কোন রাজনৈতিক

সংঘর্ষের কারণে এ

পর্যন্ত একদিনও

দিনাজপুর মেডিকেল

কলেজ বন্ধ হয়নি।

৪. প্রফ শেষ হওয়ার পর

অন্যান্য

মেডিকেলে যেখানে ছুটি দেয়

আর

সেখানে পরীক্ষা শেষ

হওয়ার একদিন পরেই

আমাদের ক্লাশ

এবং ওয়ার্ড শুরু

হয়ে গেছে।

৫. লাস্ট এফসিপিএস

পরীক্ষায় ১৫ তম

ব্যাচের ৫০ জন ছাত্রের

মধ্যে চান্স পেয়েছে ১৪

জন।

জনাব সাংঘাতিক

লিখবেন

ভালো কথা,লিখেন,

১. কেন সারা মাস

খাটিয়ে সরকার

ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের

দশ হাজার টাকা বেতন

দেয়।

২. কেন এমবিবিএস পাশ

করার পরও আকবরের

বাবা কে জেনে সরকারী চাকুরী পেতে হয়।

৩. যেখানে একজন

ডাক্তার

একটা বিভাগীয়

শহরে থাকলে সহজেই

ভালো টাকা ইনকাম

করতে পারেন,

সেখানে কেন ২০ হাজার

টাকার জন্য

গ্রামে পরে থাকবেন?

জনাব সাংঘাতিক,

লিখবেন ভালো কথা,

এইগুলো নিয়ে লিখেন।

আর প্রথমালু,

অন্যকে বদলানোর

আগে এই হলুদ

সাংবাদিকতার

নীতি বর্জণ কর। এইসব

হলুদ সাংবাদিকদের

জন্য তীব্র নিন্দা।



ইত্তেফাক:

দিনাজপুর মেডিকেল

কলেজ থেকে যারা পাশ

করবে তারা ভবিষ্যতে

দূর্নীতিবাজ হবে এ

ব্যাপারে ভবিষ্যৎ

বাণী করেছেন

ইত্তেফাক পত্রিকার

সম্পাদক। সম্পাদক

সাহেব আপনি জানেন

কি যাদের নিয়ে এই

ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন

তারা বাংলাদেশের

সেরা দুইহাজার

ছাত্রদের

মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

ডাক্তারদের

নিয়ে আপনাদের মত আম

পাবলিকের

চুলাকানো থাকতেই

পারে, কিন্তু

একটা মেডিকেল

কলেজের

শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে

মন্তব্য করার মত

যোগ্যতা আছে কি?

আপনি বলেছেন

ডাক্তারদের

মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত

থাকার

প্রবণতাটা বেশী,

ভালোই বলেছেন।

তবে এটা হয়তো আপনার

কাছে অজানা যে সাস্থ্যে খাতে সল্প

বাজেট থাকা সত্ত্বেও এ

দেশের

চিকিৎসা ব্যাবস্থা দক্ষিণ

এশিয়ার

মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে গেছে।

সাধু ভাষায় সম্পাদকীয়

লেখেন ভালো,

তবে আগে নিজেও সাধু

হন। যে দল

সরকারে আসে সেই দলের

পা চেটে পত্রিকা চালান

এটা সবাই জানে।

সম্পাদক সাহেব

দিনাজপুর মেডিকেল

কলেজ থাকার

প্রয়োজণীয়তা নিয়ে উদ্বেগ

প্রকাশ করে বলেন, এই

রকম মেডিকেল কলেজ

থাকার প্রয়োজণ

আছে কি?

না, আসলেই প্রয়োজণ

নাই। পা চাটা টাকায়

বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিবেন

এ দেশে মেডিকেল কলেজ

থাকার দরকার কি?

ডাক্তারদের

মধ্যে একতা নেই বলেই

দুই পয়সার

সাংবাদিকেরা আজ

এতো কথা বলার সুযোগ

পাচ্ছে। যারা নিজের

স্বার্থ রক্ষার জন্য

ডাক্তারদের বিভক্ত

করেছেন তাদের

প্রতি অনুরোধ,

আপনারা পেশার

স্বার্থে এক হোন। আর

না হয় এভাবেই বাঁশ

খেতে হবে, আজ

দিনাজপুর মেডিকেল

কলেজ, আগামীকাল

হবে আপনার মেডিকেল

কলেজ।

ইত্তেফাক এর শেষ

দুইটি বর্ণ ইত্তেফাকের

সম্পাদকের উদ্দ্যেশ্যে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.