![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতায় শুরু কবিতা শেষ
যেকোন একটি দেশ যখন আন্তর্জাতিক কোন ক্রীড়া অনুষ্ঠাণের আয়োজন করে তখন সে দেশ চেষ্টা করে তাঁর নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশই বোধহয় একমাত্র ব্যাতিক্রম। দেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতির চেয়ে এখানে অনুষ্ঠাণ থেকে কি পরিমাণ অর্থ উপার্জণ করা যাবে সেটাই মূখ্য হয়ে দাড়ায় আয়োজকদের কাছে। তাই আয়োজকেরা দর্শক মণোরঞ্জণের জন্য বিদেশী সংস্কৃতিকে প্রাধাণ্য দেন দেশীয় সংস্কৃতির উপরে। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হল দেশীয় শিল্পীদেরকে এইসব অণুষ্ঠাণে বারবার খাটো করা হচ্ছে। এমনকি দেশীয় কিংবদন্তি শিল্পীরা তাঁদের প্রাপ্য মর্যাদাটুকুও পান না।
আজ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠাণেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দেশীয় সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের চেয়ে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিটাই বেশী ফুটে উঠেছে এই অনুষ্ঠাণে। তাই আইয়ুব বাচ্চুকে অবহেলা কিংবা মাইলস্ কে স্টেজে উঠতে না দেয়া এটা অস্বাভাবিক কিচ্ছু নয়।
অন্য দেশের শিল্পীদের আনা হবেনা তা নয়। অনুষ্ঠাণের আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য আনা যেতে পারে, কিন্তু সেটাকেই যদি শুধু ফোকাস করা হয়, তাহলে সেটা কতটুকু যৌক্তিক সেটা আয়োজকেরাই ভালো জানেন।
শুধু আয়োজকদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের দর্শকেরাই এর জন্য বেশী দায়ী। পঁচাত্তর হাজার টাকা দিয়ে এদেশের দর্শকরা যায় এ আর রহমানের জন্য , তাই আইয়ুব বাচ্চুর গানে হাততালি দিতে তারা হীণমন্যতায় ভোগে। একটি দেশের বেশীরভাগ মানুষ যেখানে দরিদ্র, সেখানেই এই ধনী দর্শকেরাই তো আমাদের সংস্কৃতির ধারক বাহক। আমরা হরিদাস পাল। টিভি পর্দায় অনুষ্ঠাণ দেখি আর চীৎকার করি, আমাদের সংস্কৃতি গেল বলে। এ ছাড়া যে আমাদের আর কোন পথ জানা নেই।
©somewhere in net ltd.