নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই মিথ্যে শহরে আমি থাকবনা তোমাদের মত

আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই।

ইমতিয়াজ ইমন

কবিতায় শুরু কবিতা শেষ

ইমতিয়াজ ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতীয় ঈশ্বরদের অরণ্যে রোদন

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

চীনে ডাক্তারদের পড়ালেখার পাশাপাশি কুংফু শেখাচ্ছে। রোগীদের আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা। আমাদের দেশেও বোধহয় এটা চালু করা উচিত। আমাদের দেশের অবস্থা তো আরো ভয়াবহ। গতকাল আমার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে একজনের মন্তব্য,

'কসাইগুলো মাংস খেয়ে খেয়ে মোটা হচ্ছে। মেরে ওদের চর্বি কমানো দরকার।'

কি ভয়াবহ চিন্তা ভাবনা!!

ডাক্তার পেঠানোকে তারা প্রায় মহৎ কর্মের পর্যায়ে ফেলে দিয়েছে।



গত কয়েকদিনে ফেইসবুক এবং ব্লগে ডাক্তার বিরোধী অনেকগুলো পোস্ট এবং মন্তব্য পড়লাম। কারো বাবা, কারো ভাই, কারো কাজের বুয়া কিভাবে ডাক্তারদের অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে তার বিশদ বর্ণনা উঠে এসেছে সবার লেখায়। সবাই ডাক্তার কি ভুল করেছে , ডাক্তারের কি করা উচিত ছিল সেই ব্যাপারেও কিঞ্চিত জ্ঞানের প্রদর্শণ করেছেন।

সরকারি টাকায় পড়াশোনা করা ডাক্তাররা একটু কিল ঘুষিতেই কর্মবিরতিতে যাওয়ার দুঃসাহস কিভাবে দেখায়, সেই বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।



যারা লিখেছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ , আপনারা একটা দিন কোন একটি সরকারি হাসপাতালে কাটান। একজন ডাক্তার কি করছেন তা চব্বিশ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করুন। আমার বিশ্বাস , ডাক্তারদের প্রতি আপনার মনোভাব পাল্টাবে।



ডাক্তাররা যখন আন্দোলনে নামেন , তখন তাঁরা নিশ্চয়ই আশা করেন যে, তাঁরা যাদের জন্য কাজ করেন সেই মানুষগুলো তাঁদের সমর্থণ দিবে। তাঁদের জন্য দুই কলম লিখবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটনাটা ভিন্ন। কোন এক বিচিত্র কারণ ডাক্তারদের অপমানে এদেশের মানুষ বিমলানন্দ ভোগ করে। এই বিমলানন্দের উৎস কোথায় সেটা এ দেশের মানুষই ভালো জানে।



ডাক্তারদের আপনারা দ্বিতীয় ঈশ্বর বলেন। প্রথম ঈশ্বরের কাছে আপনার অনেক কিছুই চান , সব আশা নিশ্চয়ই পূরণ হয়না। তারপরও কিন্তু আপনারা ঈশ্বরকে ভালোবাসেন। আর দ্বিতীয় ঈশ্বর যখন একটা ভুল করে, তখন আপনারা তাঁকে ক্ষমা করতে পারেন না। আপনার ভুলে যান এই মানুষটিই হাজার হাজার রোগীকে সুস্থ করেছেন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

সাকীম বলেছেন: halara dakait.takar bag na dile bole ekn na pore asen

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। নেক্সট টাইম মনে করে টাকার ব্যাগ নিয়ে যাবেন।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

কখনো আমি হালুম হালুম করি বলেছেন:
@ লেখকের সাথে সহমত

আর সাকীমের মতো কিছু বেজন্মা কি বললো, তাতে নিবেদিত প্রাণ মানুষগুলোর কিছু যায় আসা ঠিক হবে না

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

মুহাই বলেছেন: ডাক্তাররা সব ফেরেস্তা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: আপাতত মানুষ মনে করুন

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

মুহাই বলেছেন: করি। আমি সাধারণীকরণ করতে চাইনা। ভাল খারাপ সব পেশায়িই আছে। এটা স্বীকার করলেই ল্যাঠা চুকে যায়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: ল্যাঠা তখনি চুকে যাবে, যখন এ দেশের মানুষ ডাক্তারদের প্রতিপক্ষ ভাববে না।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: সব পেশায়ই খারাপ লোক এবং ভালো লোক (প্রয়োজন এবং অনুপাত মোতাবেক) আছে... B-)

সেবামূলক পেশায় যারা থাকেন, ডাক্তার হোক কিংবা পুলিশ, তাদের অপরাধটুকু বেশি দেখা যায়...

চিন্তা করে দেখুন মিলিটারিগো অপরাধ কিন্তু খুব একটা দেখা যায় না...
অবশ্য আমার ধারণা ভুলও হতে পারে... দেখা যাবে যে তাদের ভুলই হয় না। ;)

তবে ভারসাম্য থাকা দরকার...
আপনার লেখায় মজা পেয়ে দু’টি কথা লিখে দিলাম। :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: লোকজন ডাক্তারদের অপরাধটাই বোধহয় বেশী দেখে। খালি চোখে দেখা না গেলে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখে। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা রোগীও সুস্থ হয়ে ডাক্তারকে কসাই বলে। :-)

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মাশুক আরেফিন প্রাঞ্জল বলেছেন: হুম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.