নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই মিথ্যে শহরে আমি থাকবনা তোমাদের মত

আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই।

ইমতিয়াজ ইমন

কবিতায় শুরু কবিতা শেষ

ইমতিয়াজ ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্ত দিন, জীবন বাঁচান। রক্তের অভাবে প্রতিটি মৃত্যুর কিছুটা দায় কিন্তু আপনার উপরও বর্তায়।

০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

আপনার বয়স যদি ১৮-৫৭ বছরের মধ্যে এবং আপনার ওজন যদি ১০০ পাউণ্ডের বেশী হয়, তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় চার মাস পর পর রক্ত দিতে পারেন। আর যদি না দেন, তাহলে আপনি অপরাধ করছেন। রক্তের অভাবে যতটা মৃত্যু হবে, তার কিছুটা দায় আপনার উপরও বর্তাবে।



রক্ত দানে আপনি শুধু মানুষের উপকারই করছেন না , এতে আপনারও কিছু উপকার হচ্ছে। হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিটিস সি , এইডস, সিফিলিস এবং ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা পাচ্ছেন বিনামূল্যে। আপনি আপনার রক্তের গ্রুপ জানতে পারছেন। নিয়মিত রক্তদান উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়াও আপনি একটি ডোনার কার্ড পাবেন, যেটা দিয়ে আপনি পরবর্তীতে আপনার প্রয়োজণে রক্ত পাবেন। সবচেয়ে বড় যেটা, সেটা হলো মানুষের সেবা করার মানসিক শান্তি পাবেন।



জরুরী রক্ত চেয়ে ফেইসবুক ব্লগে যত মানুষ পোস্ট দেয় এবং শেয়ার করে, তারা যদি নিয়মিত রক্ত দিত তাহলে কোনদিন রক্তের অভাবে কেউ মারা যেত না। বাংলাদেশে বর্তমানে রক্তের চাহিদা রয়েছে মাত্র সাড়ে চার লাখ ব্যাগ, তার

মধ্যে যোগান রয়েছে মাত্র তিন লাখ ব্যাগের মতো। আর প্রায় দেড় লাখ

ব্যাগের মতো রক্তের

ঘাটতি রয়েছে। যদি আর মাত্র পঞ্চাশ হাজার মানুষ নিয়মিত রক্ত দেয়, তাহলেই রক্তের

অভাবে কেউ মারা যাবে না।



বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম শুরু করেছিল 'সন্ধানী'। তারপর রেড ক্রিসেন্ট, মেডিসিন ক্লাব, বাঁধন , কোয়ান্টামের মত সংগঠণগুলোও এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সরকারি সহযোগীতা ছাড়াই এই সংগঠণগুলো তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি এই কাজে সহায়তা করতো , তাহলো কার্যক্রম আরো গতিশীল হতো।



সন্ধানীতে কাজ করতে গিয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। যেখানে বাবার জন্য সন্তান রক্ত

দিতে চায় না , স্ত্রীর জন্য

স্বামী রক্ত দিতে চায় না।

রক্তদানের প্রতি সবারই একটা ভীতি কাজ করে।

তবে অনেকেই আছেন

যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আসেন এবং নিজের ফোন

নাম্বার দিয়ে বলেন, 'প্রয়োজণ হলে ফোন দিবেন।'



এভাবেই পরিবর্তণ আসবে। সবাই 'রক্ত দিন, জীবন বাঁচান' শ্লোগাণে উদ্বুদ্ধ হবে। রক্তের অভাবে যেনো আর একটি মৃত্যুও না হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

আমি সাজিদ বলেছেন: অসাধারন গঠনমূলক পোস্ট।

২| ১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:




পোষ্ট গুরুত্বপূর্ণ !


সবাই 'রক্ত দিন, জীবন বাঁচান' শ্লোগাণে উদ্বুদ্ধ হবে। রক্তের অভাবে যেনো আর একটি মৃত্যুও না হয়।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.