![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতায় শুরু কবিতা শেষ
২.
ঈশ্বরে বিশ্বাস অনেকগুলো শর্তের উপর নির্ভর করে, অনেকগুলো যুক্তির উপর নির্ভর করে। কিছু মানুষ আবার সব যুক্তির উর্ধ্বে উঠে একমনে বিশ্বাস করে ঈশ্বরকে। আমার বন্ধু আনিস অনেকটা এরকম বিশ্বাসী। তার কাছে বিশ্বাস মানে বিশ্বাস , সেখানে অন্যকিছু থাকতে পারে না। আনিস ভাবে , এ দেশে ধর্মের আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার ভাবনার বেশীরভাগ অংশই আমার সাথে শেয়ার করে। আমি মন দিয়ে শুনি, মাঝে মাঝে যুক্তি দিয়ে তার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দেই।
মানুষ কেন ধর্মে বিশ্বাসী হয়? উত্তর অনেক কিংবা অসংখ্য। সেই লোকের মত , যে কিনা ঝড়ের কবলে পড়েছিল। তারপর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থণা করলো। বললো, আমার নৌকাটা তীরে পৌছে দাও, আমি তোমার নামে একটা ছাগল জবেহ করবো। তারপর লোকটি নিরাপদে তীরে পৌছাল। তীরে পৌছানোর পর সে বললো, 'ঈশ্বর তুমি আমাকে ভয় দেখিয়েছিলে, আমি তোমাকে লোভ দেখিয়েছি। সুতরাং কাটাকুটি হয়ে গেল।' মানুষের ঈশ্বরে বিশ্বাসটাও অনেকটা এই রকম। মানুষ দুর্বল বলেই, একটি পরম শক্তির আশ্রয় খুঁজে।
সেদিন আনিস বলছিলো,
-জানিস এ দেশে মানুষ ধর্মীয় আইন কেন চায় না?
-কেন?
-নিজের স্বার্থে আঘাত লাগবে বলে। ওরা নামাজ পড়বে, কিন্তু চুরির দায়ে হাতকাটা যাবে, সেটা মানবে না। যাকাত দেয়া বাধ্যতামূলক করা হলে, এরা মানবে না।
-তাহলে কি করবি?
-কিছুই করার নেই। কারণ এ দেশের মানুষ ধর্মকে নিজের মত করে পরিবর্তণ করে নিয়েছে। তারা ধর্মে ঠিক ততটুকুই বিশ্বাস করে , যতটুকু করলে নিজের স্বার্থে আঘাত লাগবে না।
আমি ভেবে দেখলাম আনিসের কথাই সত্য। মানুষ ধর্ম এবং ঈশ্বরকে নিজের মত করে বদলে নিয়েছে। তাদের ধর্ম বোধ তখনই জেগে উঠে, যখন অন্য কেউ তাদের ধর্মে আঘাত করে । অথচ তারাই যে নিজের ধর্মকে প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত করছে , সে ব্যাপার তাদের দৃষ্টি নেই । (চলবে...)
©somewhere in net ltd.