![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতায় শুরু কবিতা শেষ
প্রায় প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে কোথাও না কোথাও ডাক্তারদের উপর হামলা হচ্ছে, হাসপাতাল ভাংচুর করা হচ্ছে। অভিযোগ হল, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু কিংবা কোন সম্মাণিত ব্যাক্তির সাথে যথার্থ আচরণ না করা।
এই ভাংচুর কিংবা মারধর খেয়ে ডাক্তাররা যদি এক আধটু প্রতিবাদ কিংবা কর্মবিরতিতে যান , সাথে সাথে তা মিডিয়াতে চলে আসবে। কর্মবিরতির কারণে রোগীদের ভোগান্তির অমানবিক চিত্র টিভি চ্যানেলগুলো লাইভ সম্প্রচার করা শুরু করবে। আর মূল ঘটনা আড়ালেই রয়ে যাবে।
রোগীকে কি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, তা রোগীর আত্মীয় স্বজনের বুঝার কথা নয় । তাই সেটা ভুল হচ্ছে না শুদ্ধ হচ্ছে তাও তাদের বুঝার কথা নয়। তারপরও যদি তাদের মনে হয় যে ডাক্তার ভুল চিকিৎসা দিয়েছে, তাহলে তার আইনের আশ্রয় নিতে পারে। তা না করে তারা ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলা কিংবা হাসপাতাল ভাংচুরে জড়িয়ে পরে। এই কাজগুলো যারা করছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হচ্ছেনা। যার কারণে ডাক্তারদের সাথে দুর্ব্যাবহার করার সংখ্যাটাও বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে অন্যান্য রোগীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই ঘটনাগুলোর পেছনে সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা কাজ করে, সেটা হলো সাংবাদিকদের উসকানিমূলক রিপোর্ট। চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান না নিয়েই এরা এক একজন হেলথ রিপোর্টার সেজে যায়। তাই তাদের ভুল সংবাদ সাধারণ জনগণকে উসকে দিচ্ছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিনে সাংবাদিকদের অতি রঞ্জিত খবর পরিবেশণের হার বেড়ে যাওয়ায়, হাসপাতালগুলোতে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কয়েকদিন পর প্রতিটা হাসপাতালেই একটি করে প্রেস থাকবে, যেখান থেকে সাংবাদিকরা ডাক্তারদের অনিয়মের খবর নিয়ে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করবেন। রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার সময়, টিভি চ্যানেলগুলো তা লাইভ দেখাবে। চিকিৎসা দেয়ার পূর্বে ডাক্তাররা সাংবাদিকদের কাছে লিখিত আকারে চিকিৎসা পদ্ধতি বর্ণনা করবেন। কারণ এই মুহুর্তে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের চেয়ে জ্ঞানী কেউ নেই।
তাই এইসব হলুদ সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য এবং রোগীর আত্মীয় স্বজনদের অসংযত আচরণ বন্ধ করতে না পারলে, স্বাস্থ্যখাতে অস্থিরতা থামানো যাবেনা।
১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০
ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: ডাক্তারদের অবশ্যই পিটাবেন। আপনাদের মত মানুষদের চিকিৎসা করছে, এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কি হতে পারে?
২| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫১
মোস্তাফিজ বলেছেন: fb তে শেয়ার করলাম।
রোগীকে কি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, তা রোগীর আত্মীয় স্বজনের বুঝার কথা নয় । তাই সেটা ভুল হচ্ছে না শুদ্ধ হচ্ছে তাও তাদের বুঝার কথা নয়। তারপরও যদি তাদের মনে হয় যে ডাক্তার ভুল চিকিৎসা দিয়েছে, তাহলে তার আইনের আশ্রয় নিতে পারে। তা না করে তারা ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলা কিংবা হাসপাতাল ভাংচুরে জড়িয়ে পরে। এই কাজগুলো যারা করছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হচ্ছেনা। যার কারণে ডাক্তারদের সাথে দুর্ব্যাবহার করার সংখ্যাটাও বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে অন্যান্য রোগীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:১৮
ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০২
মুদ্দাকির বলেছেন: " এই মুহুর্তে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের চেয়ে জ্ঞানী কেউ নেই। "
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:১৯
ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: :-):-)
৪| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:০৪
মেমননীয় বলেছেন: @ মুদ্দাকির,
যাহাদের সকল বিষয়ে বিশেষ জ্ঞ্যান আছে (আরাফাত বাদে) তাহারাই সাংবাদিক (হলুদ)।
৫| ১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যে যার পেশাগত অবস্থানে সৎ থাকলেই ঝামেলা মিটে যায়। সব পেশাতেই হলুদ, লাল, নীল, বেগুনী, সাদা, কালো ইত্যাদি রঙ আছে। দরকার শুধু সব মিলে রংধনু হওয়ার।
১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: এ জিনিসটা যখন সবাই বুঝতে পারবে , তখন সমস্যা হবে না।
৬| ১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভুল চিকিৎসা কেন্দ্র হচ্ছে,
পিসিএমকে = প্রেস ক্লাব মেডিক্যাল কলেজ
কিন্তু আরেকটা কথা, এক হাতে তালি বাজে না।
সো খালি তাদের দোষ, তারা বলবে খালি ওদের দোষ, তাহলে হবে না কিছুই
১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: সবাই তার নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু যখন উদ্দ্যেশ্যমূলক ভাবে কেউ একটি নির্দিষ্ট পেশার লোকজনকে কোণঠাসা করতে চায় , তখন সেটা কারো জন্যই ভালো ফল বয়ে আনে না।
৭| ১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
দখিনা বাতাস বলেছেন: " রোগীকে কি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, তা রোগীর আত্মীয় স্বজনের বুঝার কথা নয় । তাই সেটা ভুল হচ্ছে না শুদ্ধ হচ্ছে তাও তাদের বুঝার কথা নয়। "--- এই সুযোগটা নিয়েই তো আপনারা বদমাইসি গুলা করেন। আর ভুল যে করছেন ঐটা রোগির আত্নীয় বা সাংবাদিকরা ধরে না, ধরা পরে ারেকজন ডাক্তারের কাছে গেলে। তার পরে যখন ভুল করাটারে পিটানো হয়, সুরু হয় আপনাদের বদমাইসি। একটু বলেনতো, কেস করে কয়জন পাইছে বিচার?
নিজের কাছের বন্দুর ঘটনা বলি, বাবাকে নিয়ে হসপিটাল গেছে রাত ১টা্য়, ইমার্জেন্সির ডাক্তার রোগি দেখে বলে, ভর্তি করান, ২জন ইমার্জেন্সির দরজা দিয়ে বের হচ্চে ভর্তি করানোর টাকা জমা দিতে, এই সময় বন্দুর খালু খবর পেয়ে বাসা থেকে আসলো, নিজেই ডাক্তার তবে ঐ হাসপাতালের না, উনি চেক করেই বলেন, রোগটি তো আড়ো আগেই মারা গেছে, ভর্তি করাবে কেন? টাকার লোভে মরে যাও্য়া রোগি ভর্তি করান- এই ডাক্তারের কি করা উচিত??
১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: টাকার জন্য নয় আপনাদের মার খাওয়ার ভয়েই বলেছেন। কারণ হাসপাতালের ত্রিসীমানায় রোগীর মৃত্যু মানেই ডাক্তারদের দোষ। এমনকি আপনারা যদি মৃত রোগী নিয়ে যান তাহলেও। তাই আপনাদের শান্ত রাখার জন্যই ডাক্তারদের অভিনয় করতে হয় যে, তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
৮| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
দখিনা বাতাস বলেছেন: যেই উত্তর দিলেন, পড়ার পরেই মনে হইলো, আপনারা মনে হয় সবাইরে ছোট নাদান বাচচা মনে করেন। আমরা কিছু বুজি না, আপানরা ফেরেশতা একেকটা। দুনিয়াতে এক মাত্র বাংলাদেশেই কিছু ডাক্তার নামের প্রানি আছে আর বাকি সবাই পশু। চালাইয়া যান, কিছু দিন পরে এমনেই মরবেন। কুমিল্লায় সরকারি ডাক্তার এক বড়ভাই, ঢাকায় তার নিজের কিডনী অপারশন করাইয়া মরতে নিসিল, এখন দিন রাত নিজেই বাংলাডএশের ডাক্তার গুলারে গালি মারে। আমরাও ভাল মজা পাই কথায়
১৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: আপনার মত যারা ডাক্তার বিদ্বেষী , তাদের জন্যই কিন্তু এই লেখার শিরোনামটা ,
'নিজের চিকিৎসা নিজেই করুন। নিজে বাঁচুন , ডাক্তারদের বাঁচান।'
৯| ১৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
আপেক্ষিক বলেছেন: @দখিনা বাতাস আমি একটা জিনিস বুঝলাম না খালু ডাক্তার সেখানে এরকম একটা মুহুর্তে তাকে রোগী না দেখিয়ে টাকা জমা দেওয়ার আগেই কেন তার আগমন ঘটল? সে কেন আগে দেখলেন না? নিজের ঘরেই যখন ডাক্তার তো তার প্রেয়রিটি আগে দেওয়াই তো স্বাভাবিক। নাকি ঘটনা বানানো। ঠিক টাকা জমার আগেই আসলেন??? এটা কেমন সত্যি মনে হচ্ছে না।
২য় ব্যাপার হল রোগীকে যখন ডাক্তার দেখেছেন সে সময় হয়ত তিনি জীবিত ছিলেন,ভর্তি করানোর আগে আগে তিনি মারা গেছেন ঠিক সেই সময়টায় খালুর প্রবেশ হতে পারে। এটা ফেলে দেওয়ার মত কারণ না।
আমার এক খালু আছেন,যিনি ডাক্তার দু চোখেই দেখতে পারেন না। তার ধারনা হাত ধরেই নাকি ৫০০টাকা নেওয়ার কোন যুক্তি নেই। উনি একজন ডাক্তার বিদ্বেষী মানুষ। তার ছোট বোনটা যেবার ডেঙ্গু হয়ে মরতে বসেছিলেন তখন তার সাথে বেশ কিছু ডাক্তারের পরিচয় হয় যাদের দেখে সেই অসুস্থের সময়টা পুরাই ডাক্তার বিদ্বেষী কথা একবারের জন্যও বলেননি। যেই সুস্থ্য হয়ে গেলেন অমনি কিছুদিন পর আবার তার ডাক্তার বিদ্বেষীতা। কিছু মানুষ এরকমই। কুত্তার লেজ যেমন সোজা হয় না তেমনি এরাও ডাক্তার দু চোখে দেখতে পারে না। বাট অসুস্থ হলে ঠিকই দৌড়ায়। এসব টাইপের মানুষগুলার জন্য কারো কোনকিছু ছেড়া যায় নাই কখনও বুঝলেন। আর সাংবাদিকদের রিপোর্ট আর সত্য ঘটনা কোনটা সেটাও আমরা দেখি। সারা দেশ পড়ে ওই খবর,সেটা সত্য না মিথ্যা যাচাই করি না। এক বাক্যেই বিশ্বাস করে নেই। আসল ঘটনা কেউই জানেনা। আপনারা দেখেন না একটা রোগীর পেছনে ডাক্তাররা কি করেন। হ্যা এটা অস্বীকার করব না যে পাচ আঙ্গুল সমান হবে না কখনও। সে জন্য বুড়া আঙুলের জন্য পুরা হাতটাকে দোষারোপ করা বুদ্ধিমানের কাজ না। ভুল চিকিৎসায় মারা যায় ব্যাপারটা সত্য না মিথ্যা সেটা ও আমরা বুঝি না। দেখছেন তো বিশ্বজিৎ এর মৃত্যু। ফরেনসিক ড়িপোর্ট সম্পর্কে ধারণা নাই এরকম এক সাংবাদিকের রিপোর্টও আমরা দেখলাম। সবচেয়ে বড় ব্যাপার এদের লেখাপড়াও অধিকাংশের এতই কম,যে তারা কি লেখে তা তারা নিজেরাও বোঝে না। ভাল সাংবাদিক আছে এটাও যেমন সত্যি তেমনি ডাক্তাররাও সব তুলসি পাতা না। হুদাই এক পক্ষকে দোষারোপ করে যা খুশি তাই বলার পক্ষপাতি না। কারো মনে দুঃখ দিলে দুঃখিত।
রোগীকে বাঁচাতে একজন ডাক্তার সাধ্যমতই চেষ্টা করেন। এই রোগীই তার সব। কারো মৃত্যু হলে তার পুরো দায় ডাক্তারের উপর চাপিয়ে মারতে হবে এটা কোন কথা না। স্রষ্টা মানুষের আয়ু শেষ হয়ে গেলে তুলে নেন। তাকে কি একবারও মারার কথা ভাবি কখনও????
১০| ১৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩
দখিনা বাতাস বলেছেন: @ আপেক্ষিক, খালু আগে আসে নাই কারন তার বাসা কলাবাগানে আর রোগির বাসা মালিবাগে। হাসপাতাল ছিল মগবাজারে। কিছু বুজলেন? আপনার মতই আরো একজন এই ব্লগে বলছিল সব ঘটনা বানানো। আমার মোবাইল নাম্বার দিলাম, কথা বললো, ২০মিনিট কথা বলার পরে তার শেষ কথা ছিল, ভাই আমার কিছুই বলার নাই, আমরা তাও চেস্টা করছি ামারা যারা নতুন ডাক্তারি পড়তেছি, এইসব সমস্যা সমাধানের। এখন বলবেন কথা আমার সাথে? এমন কয়েটা ভিক্টিমের সাথে দেখা করাবো যারা ভুল চিকৎসার শিকার হয়ে পরে বিদেস গিয়ে বুজছে। চাইলো যোগাযোগ করতএ পারেন।
১১| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
আপেক্ষিক বলেছেন: @দখিনা বাতাস না ভাই কথা বলার দরকার নাই।আমি তো বলেছিই হাতের ৫ আঙুল সমান হয় না তার উপর ভুল মানুষেরই হয়। তাই বলে হাত বিদ্বেষী ব্যাপারটার সাথে সহমত নই। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
এন ইউ এমিল বলেছেন: সাংবাদিকতাই শুধু হলুদ হয়না, ডাক্তারিও হলুদ হয়, আর ডাক্তারদের যে কত প্রকার এবং কিপ্রকার অভিনব হলুদ কীর্তি আছে সেটা সবাই যানে।
আর ডক্তারদের দুর্ব্যবহার ডাক্তারদের পিটানোর একটা অন্যতম কারণ, যার প্রমান আমি নিজে একজন মহিলা ডাক্তার যে এমন ছোটলোকী আচরন করতে পারে নিজের সাথে না হলে বিশ্যাসই করতাম না, আমার যায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো একটা কিছু করে বসতো,
সাংবাদিকরাও কম যায়না, দুই দলের কাছেই প্রচুর ক্ষমতা তাই তারা তাদের ক্ষমতা অপব্যাবহার করে যাচ্ছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের উপর।