![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতায় শুরু কবিতা শেষ
-বাদল, রক্ত দিতে পারবি?
-হিমুদা, তুমি বললে শরীরের সব রক্ত দিয়ে দিব।
-সব রক্ত লাগবে না। আপাতত এক ব্যাগ লাগবে, তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়।
যে বাচ্চাটির রক্ত লাগবে, তার মা আমার দিকে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে আছেন। আমার জায়গায়
রবীন্দ্রনাথ হলে এই অশ্রুসিক্ত নয়ন নিয়ে কোন কবিতা লিখে ফেলতেন। কিংবা সত্যজিত রায় এই
দৃশ্যটা দেখলে খুশি হতেন, পিছনে মৃত্যুপথযাত্রী শিশু,
সামনে অশ্রুসিক্ত মা। কিন্তু আমি সামান্য হিমু , যে কিনা এইসব অশ্রুর উৎস খুঁজে বেড়াচ্ছে আজীবন।
-ভাই, আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো , ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা।
-আপনার হাতে অনেক সময় আছে , ভাষা খুঁজতে থাকুন।
বাদল আর আমি 'সন্ধানীতে' পাশাপাশি দুটি বেডে রক্ত দেয়ার জন্য
শুয়ে আছি।
-হিমুদা , সুই দেখে তো ভয়
লাগছে, ব্যাথা পাবো না তো?
-ব্যাথা অবশ্যই পাবি, কিন্তু এটা সুখের মত ব্যাথা।
আমার বাবা তার উপদেশমালায় রক্ত দানের
ব্যাপারে কিছু বলেন নি। হয়তো এই বিষয়টা তার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। তা না হলে তিনি লিখতেন,
'প্রিয় পুত্র, প্রতি চার মাস অন্তর অবশ্যই রক্ত দান করিবে। তোমার শরীরের
একটা অংশে অন্য আরেকজন বাঁচিয়া উঠিবে এর চেয়ে মহৎ কাজ আর কি হইতে পারে?'
বাদল আর আমি বাচ্চাটির বেডের পাশে দাড়িয়ে আছি।
-বাদল, তোর দেয়া রক্তে শিশুটি বেঁচে উঠবে, এটার জন্য কি তোর আনন্দ হচ্ছেনা।
-হিমুদা, এই আনন্দের
কাছে রক্তদানের কষ্ট কিছুই নয়।
গরম এবং রোদ একসাথে ঝাপিয়ে পড়ছে। তারপরও
হাটতে ভালোই লাগছে। জীবনে আসলে খারাপ লাগার মতো জিনিসের পরিমাণ খুবই কম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দারুণ +++