![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই জগৎ এর খুব নগণ্য মানুষ, চাই ভাল থাকতে কিন্তু পিছন থেকে মনে হয় কেও ঠেলে ধরে। জীবনে হাসি বা কান্না থাকবে, কিন্তু সবসময় চেষ্টা করি খুশি থাকতে, এই খুশি থাকাটা মনে হয় অভিনয়।
অনার্স লাইফটা হচ্ছে মানুষকে চিনে উঠার সবচেয়ে বড় জায়গা। ভালোবাসাৱ জায়গা , বন্ধুত্বের জায়গা শত্ৰুতার জায়গা , ব্যক্তিত্ববোধ গড়ে উঠার জায়গা ।
..এইখানেই আমরা আমাদের পরবর্তী
দিনগুলোতে চলার বন্ধু পাই। যে বন্ধুরা
শত বিপদে আপদে সাথে থাকে । আর এই
অনার্স লাইফে বন্ধুরা খুব গুৱুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে । অনেকটা দাবার ঘুটির মত।
.
.
...বন্ধুরা সাধারণত কয়েক ধৱণ ও ধাঁচের হয়।
যেমন --দীর্ঘ ৪ বছরে এই বন্ধুত্বের সম্পর্কের
অনেক উত্ত্থান পতন হয় । বির্বতনের সুত্ৰের
মত সম্পর্কগুলো বদলাতে থাকে।
***ফার্স্ট ইয়ারে"কেমন আছো , ভালো
আছো" টাইপের সহপাঠি। আবার আজকে যার
সাথে গলায় গলায় ভাব কয়েক ইয়ার পর
পরিণত হতে পাৱে সবচেয়ে বড় শত্ৰুতে। এই
বন্ধুত্ব কখনো জোড়া লাগে, কখনো লাগে
না ।
...তবে মেয়েদেৱ বন্ধুত্বগুলো সচরাচর কখনো
জোড়া লাগে না । একটা ছেলে একটা
মেয়ের যতটা না ক্ষতি করে একটা মেয়ে
তারচেয়ে বেশি আরেকটা মেয়ের ক্ষতি
করে ফেলে তাদের ব্যক্তিগত
রেষারেষিতে ।
.
অনার্স লাইফের জীবন যাপনে শত্ৰুৱ
উপস্থিতি যেন বাধ্যতামূলক। এৱ
কিছুটা নিজের অজান্তে , কিছুটা নিজেরই
ভুলে , কিছুটা "আমি কিছু একটা" বুঝাতে
গিয়ে সৃস্টি হয় । কিছু শত্ৰু থাকে প্ৰকাশ্য
ঘোষণা দিয়ে । আর কিছু থাকে বন্ধুত্বের
বেশে ।
.
.
"দেখা হলেই কেমন আছিস, ভালো আছিস
,তোকে দেখিনা ধরণের কথা বলে বুকে
জড়িয়ে ধরে" আৱ সুযোগ পেলেই পিঠে ছুরি
মারে যা তাদের ভাষায় "সাইজ করে
দিবো" ।
.... খেয়াল করলে দেখা যাবে সবচেয়ে
বেশি ক্ষতি মূলত এরাই করে । সরাসরি না
পাৱলে রিউমাৱ ছড়িয়ে । তিল কাহিনীকে
তালের পরিণত করে।
.
এই অনার্স লাইফের অনেকেই বলে "আমার
কোন শত্ৰু নেই" সেই মানুষগুলোকে আমি
ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এরা হয়তো অনেক
বড় মহাপুৱুষ/ মহানাৱী, নয়তো সে অনেক বড়
চুতিয়াবাজ বা মুনাফিক কিংবা
তাকে কেউ গণনাতেই ধরে না। এরা চতুর্থ
বিষয় । কিন্তু গেইমেৱ বাহিৱে নয়
। ওরা ভুলে যায় নিরপেক্ষও একটা পক্ষ।
.
অনার্স লাইফে বন্ধুমহলে বা ব্যাচ মহলে
নেতৃত্বস্থানীয় জায়গা তথা গুরুত্বপূর্ণ
জায়গায় আসার জন্য অনেকেই চেস্টা করে।
বন্ধুদের সাহায্য করে, বিপদে
আপদে এগিয়ে এসে , রাতভর বসে 29 খেলে ,
প্রিমিয়ারের কোন ফাংশানে গাধার মত
খেটে যোগ্যতার সাথে এই জায়গাটা দখল
করে। আর কেউ জাস্ট অন্যের কাজের
ক্ৰিটিসাইজ করে, একে ওকে এটা ওটা
বুঝিয়ে (গীবত) একটা জায়গাটা দখল করে
বা করতে চায় এবং ক্ষেত্র বিশেষে পায়ও।
.
অনার্স শেষে সবাই কমবেশি একেক দিকে
ছিটকে যায়। বছরে কোন কোন
দিন কোন না কোন বন্ধু বা বান্ধবীর
বিয়েতে দেখা হয়। বন্ধু, সহপাঠী, বন্ধুরুপী
শত্রু এক সাথে হয়ে নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত
হয়। অনেকে মনে মনে দুঃখ করে সুন্দর
সময়গুলো নস্ট করার জন্য।
.........জীবনটা ত এমন,
©somewhere in net ltd.