নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখালিখি পেশা নয়, নেশা! আর আমি লেখায় আসক্ত!

ডাকনাম ইমু ইমরান

লিখালিখি পেশা নয়, নেশা! আর আমি লেখায় আসক্ত

ডাকনাম ইমু ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ বা ধর্ষিতা হওয়ার কারণ সূমহ

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

'ধর্ষণ বা ধর্ষিতা' শব্দটা শুনলে আমাদের মনে হয় কোনো এক নিষ্পাপ একটি মেয়ে আর এক বা একাধিক কোনো দুর্ধর্ষ দুর্বৃত্ত মানুষরূপী জানোয়ার ছেলে বা ছেলেদের একটি সমাজবিরোধী কর্ম। মেয়েটি যদি নিজেও সেখানে ধর্ষিত হাওয়ার প্রধান কারণ হয়। তবুও এই সমাজ, এই আইন, এই ব্যবস্থাপনা কখনো মেয়েটির দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলবেনা। কারণ নারী শব্দটা আসলেই তার সাথে 'অবলা' শব্দটা আজও সমাজের মানুষ পাশে বসিয়ে ভাবে।
.
একটি ধর্ষিত হওয়ার কারণসূমহ যদি আমি আজ 'ক'- এর প্রশ্নে নিয়ে আসি তাহলে হয়তো আজ অনেক ধ্রুবসত্য বেড়িয়ে আসবে।
ধর্ষণ কি? ধর্ষণ কেন হয়? ধর্ষিত কারা হয়? প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তরে ধর্ষণের মূলকারণ বেড়িয়ে আসবে।

ধর্ষণ কিঃ ধর্ষণ বলতে আমরা সাধারণত বুঝি আপত্তিকর ভাবে কোনো মেয়েকে জোরপূর্বক এক বা একাধিক ছেলে মিলে যৌনসংগম করাকে ধর্ষণ বলে। একই ভাবে যদি কখনো ছেলেকে এক বা একাধিক মেয়েরা মিলে ধর্ষণ করে তখন সেটা সমাজের কাছে অনেকটা হাস্যকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আমজনতা তখন মুখে রোমাল চেপে হেসে বলে, 'এটাও আবার সম্ভব নাকি!' বস্তুত এই ঘটনাগুলো অসম্ভব কিছু নয়। 'কামরুল কামাক্ষী' শহরে গল্পটা পড়লে হয়তো অনেকেই বুঝতে পারবেন কতটা সহজ এবং সম্ভব ছেলেদের ক্ষেত্রেও। হয়তো এদেশে সেটা বিস্তার না হলেও হবে সেটা নিশ্চিত। কেননা, হাদিস বলে- নারীর সংখ্যা একটা সময় এতই হবে যে, পুরুষদের তখন নারীর অত্যাচারে হয় বৃক্ষের মগ ডালে বসে থাকবে। (রেফারেন্স চাইলে দিতো পারবো কিন্তু সময় লাগবে)
.
ধর্ষণ কেন হয়ঃ ধর্ষণ হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কিছু কারণ উল্লেখ করে দিলাম যাতে ধর্ষণ হাওয়া কারণ সহজ ভাবে বোঝা যায়।
১। বেশিরভাগ পত্রিকার হেডলাইন গুলোতে দেখা যায়, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষিত উমুকতমুক! হ্যা সেটা যদি হয় তাহলে বলবো সেই ছেলেটিই অমানুষ। আর যদি এমন হয় ছেলেটিকে নিজের হাতের লাঠি বানিয়ে এ রেস্তরাঁ ও শপিংমল চষে বেড়িয়েছে। ছেলেটির দাপটে কালেজ হোস্টেলে বা মহল্লায় মেয়েটি বুক ফুলিয়ে হেটেছে ছেলেটি ক্ষমতাশীল বলে। সেই ছেলেটিকে যদি ব্যবহার করে ফেলে দিয়ে মেয়েটি নতুন করে কোনো বড় বিজনেস ম্যাগনেটের অর্থসম্পদ দেখে তার সাথে বিয়ের পিড়িতে বসে পরে তাহলে সেই ক্ষমতাশীল ছেলেটির কাছে মেয়েটির ধর্ষণ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেকে ভাবছেন আমি ধর্ষণের পক্ষ নিয়ে কথা বলছি! বেশিরভাগ ভালোবাসা সংক্রান্ত ধর্ষণ গুলো রিলেশন সমাপ্তির পর ঘটে থাকে। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষিত খুবকম মেয়ে হয়ে থাকে। কেবল মিডিয়া আমাদের চোখের সামনে যেভাবে তুলে ধরে আমরা সেটাই বুঝে নেয়। সত্যমিথ্যেটা আসলে আড়ালেই থেকে যায় বেশির ভাগ সময়।
.
২। পুরনো শত্রুতার জের ধরেও অনেক মেয়েরা ধর্ষিত হয়। পারিবারিক বিভিন্ন কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকে।
.
৩। অশ্লীল পোষাক, চালচলন, দৃষ্টিভঙ্গির কারণও ধর্ষিত হওয়ার অন্যতম কারণ।
.
ধর্ষিত কারা হয়ঃ ধরুন রাস্তা দিয়ে দুইবোন হেটে যাচ্ছে। তারা দুজনেই সমান রূপবতী। একজন বোরকা হিজাব পরে হেটে যাচ্ছে, আরেকজন মিনিস্কার্ট। এখন রাস্তার মোড়ে যে বখাটেরা শিকার ধরবে বলে ফাঁদ পেতে বসে আছে তারা এই দুইজনের মাঝে থেকে কাছে বেছে নিবে? বোরকা পরা সেই বোনটিকে? নাকি মিনিস্কার্ট পরা সেই বোনটিকে যার শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গের ভাজ বোঝা যাচ্ছে? অবশ্যই মিনিস্কার্ট পরা বোনটিকে তুলে নিয়ে যাবে। অনেকে এমন মন্তব্য করে ছেলেদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে এমন মৌনভাব থাকবেনা। কিন্তু এটা তারা কখনোই ভাবেনা যে একটি যুবতী মেয়ের যখন শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ভাজ তার গায়ের পোষাকের জন্যে বোঝা যায় তখন ৮০ বছরের একজন বুড়োরও যৌবনে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে। সেখানে যুবক ছেলেরা নিজেদের নজর কতটা সীমাবদ্ধকরণ করতে পারে। আমরা জানি সৌদিআরবে ধর্ষণের সংখ্যা সবচেয়ে কম। কেননা তারা পর্দানশীন এবং তাদের ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বলে। তার তুলনায় আমেরিকা সবচেয়ে উন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও ততটা সুশৃঙ্খল নয়। আমেরিকায় শুধু মাত্র FBI ১৯৯০ সালের পরিসংখ্যায় প্রতিদিন আমেরিকায় ১৭৫৬ জন নারী ধর্ষিত হয়। ১৯৯৬ সালে গড়ে প্রতিদিন ২৭১৩ জন নারী ধর্ষিত প্রতিদান। তারমানে প্রতি ৩২ সেকেন্ডে একজন করে নারী ধর্ষিত হয়। আর এসব ধর্ষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে নারীর পর্দানশীনতা এবং আইনশাস্ত্র কঠোর শাস্তি না পাওয়া।
.
আমাদের এই দেশে যদি পতিতাকে, বেশ্যাকে যৌনকর্মীর সার্টিফিকেট না দেওয়া হয়। যদি সকল সাধারণের মাঝে ইসলামিক আইন অনুযায়ী পর্দানশীনতা বাধ্যতামূলক ও ধর্ষণকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় অনেকটাই কমে যাবে এই ধর্ষণীয় ঘটনা। তাতে হয়তো কোনো মেয়েই কোনো দুর্বৃত্তদের দৃষ্টিতে পরবেনা। কোনো ধর্ষণকারীই কোনো মেয়েকে ধর্ষণ করে পরবর্তিতে শাস্তি ভোগ করে আবার তার ছোটবোনকে আবার ধর্ষণ করার সুযোগ পাবেনা।
.
লেখকঃ ডাকনাম ইমু-ইমরান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.