নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখালিখি পেশা নয়, নেশা! আর আমি লেখায় আসক্ত!

ডাকনাম ইমু ইমরান

লিখালিখি পেশা নয়, নেশা! আর আমি লেখায় আসক্ত

ডাকনাম ইমু ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর পর পতিতাদের কি করা হয় জানলে আপনিও অবাক হবেন!

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:২৮

মৃত্যুর পর পতিতাদের কি করা হয়? পৃথিবীতে পতিতা আর পতিতাপল্লী নিয়ে হাজার গল্প ফিচার লেখালিখি করা হলেও মৃত্যুর পর একজন পতিতার দেহকে কি করা সে বিষয় নিয়ে খুব কমই লেখালিখি হয়েছে। আমাদের এই সমাজব্যবস্থার মাঝে বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন ভাবে পতিতাবৃত্তির কর্মকাণ্ড দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
.
কিন্তু কি হয়, কি হবে একজন পতিতার শেষ পরিণতি? মৃত্যুর পর তাকে কবর দেওয়া হবে, নাকি আগুনে পোড়ানো হবে? নাকি শেষ অব্দি দেহটা কোনোএক নদীর তলদেশ গিয়ে স্পর্শ করবে? মাধ্যপচ্যের দেশ গুলোতে পতিতাবৃত্তিকে সাধারণ ব্যবসার মতোই একটি ব্যবসা মনে করা হয়। তারা মনে করে যৌনসংগমের মধ্যেমে কোনো অর্থ আয় করা অনান্য কর্মের চেয়ে অনেকটা সহজবোধ্য কর্ম। যেকারণে সেসব দেশবগুলোতে পতিতাবৃত্তির ব্যাপকতা তুলনামূলক অনেক বেশি।
.
কিন্তু সেসব দেশের জীবনধারণ করা পরিতাদের তুলনায় বাংলাদেশের পতিতাদের মধ্যে রয়েছে বিশাল বড় ফারাক। এদেশের অধিকাংশেরও বেশি পতিতাই শেষদিনগুলো অনাহারে কাটিয়ে মারা যায়। দারিদ্র্যতার নিম্নস্তরে জীবনযাপন করে তাদের জীবনযাত্রার অবসান ঘটে।
.
দৌলতদিয়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, যশোর এবং খুলনা সহ বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত লাইসেন্সযুক্ত ৮ টি পতিতাপল্লী রয়েছে। মোট লাইসেন্স প্রাপ্ত যৌনকর্মীর সংখ্যা (সর্বশেষ জরিপ- নভেম্বর ২০১১) ৭৪ হাজার ৩ ‘শ জন। ধারণা করা হচ্ছে বর্তমান সরকার অনুমোদিত প্রায় ১ লক্ষ যৌনকর্মী লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে নিযুক্ত রয়েছে দেহব্যবসায়। স্থায়ী ও ভাসমান সবমিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ যৌনকর্মী রয়েছে আমাদের এইদেশে। ১৮ বয়সের নীচে রয়েছে প্রায় ৬৪% যৌনকর্মী, রয়েছে শিশু যৌনকর্মীও।
.
বেশিরভাগ যৌনকর্মীর মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে যৌনরোগ। সিফিলিস এবং গনোরিয়া এই দুইটি প্রধান যৌনরোগে যৌনকর্মীরা বেশি আক্রান্ত হয়। এ ছাড়াও স্যাক্রয়েড, লিম্ফগ্রানোলোমা বেনেরাস এবং গ্রানোলোমা ইনজিনুয়াল অপর কিছু যৌনরোগ রয়েছে যা কোনো যৌনকর্মীকে মৃত্যু অব্দি পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়ে থাকে।
.
বাংলাদেশ সরকার যৌনকর্মীর জন্যে পতিতাপল্লী অনুমোদন বা যৌনকর্মী ব্যক্তির জন্যে লাইসেন্স (সনদ) অনুমোদিত করেছে ঠিকি। কিন্তু মৃত্যুর পর একজন পতিতার দেহকে কি করা হবে তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার, মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোনো লিখিত অলিখিত সনদ প্রদান করেনি।
.
কোনো পতিতার মৃত্যুর পর তাকে কাফন পড়ানো হয়না, জানাযা দেওয়া হয়না। কবরস্থানে তাদের জায়গা দেওয়া হয়না। তাদের জন্যে কোনো মিলাদ দেওয়া হয়না। কোনো শ্মশানে তাদের দগ্ধো করা হয়না। কোনো শ্রাদ্ধ দেওয়া হয়না কোনো পতিতার জন্যে।
.
পতিতাদের মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে দেওয়া হয় কোনো নির্জনতায়। বেশিরভাগ পতিতাকে মৃত্যুর পর বস্তাবন্দী করে ফেলে দেওয়া হয় নদীর জলে। বেঁচে থাকতে তারা যেই লাঞ্ছনা সহ্য করে, তারচেয়ে আরো বেশি লাঞ্ছনা পায় মৃত্যুর পরে। মানবাধিকার সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকার পতিতাকে আদরে যৌনকর্মী ডাক দিয়েছে ঠিকি। কিন্তু বস্তাবন্দী লাশকে এমন লাঞ্ছনার হাত থেকে মুক্তি দিতে পেরেছে কি? আদৌ কি পারবে কোনদিন? নাকি এভাবেই দিনের পর দিন নদীর জলে ডুববে লাশের পরে লাশ?
.
লেখকঃ ডাকনাম ইমু-ইমরান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.