| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন নকিব
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
শব্দের রহস্য: Ultrasound ও Infrasound — যখন হাতি ও তিমি কথা বলে মাইলের পর মাইল দূরে!
আমরা প্রতিদিন অসংখ্য শব্দ শুনি—বাতাসের সোঁ সোঁ আওয়াজ, মানুষের কণ্ঠ, পাখির ডাক, গানের সুর। কিন্তু এমনও অনেক শব্দ আছে যা আমরা শুনতেই পারি না, অথচ প্রকৃতি এবং প্রাণিজগতে সেই শব্দের মাধ্যমেই চলছে যোগাযোগ, দিকনির্দেশনা ও তথ্য আদান-প্রদান। এই অদৃশ্য জগতের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হলো Ultrasound এবং Infrasound।
Ultrasound কী?
Ultrasound হচ্ছে এমন শব্দ, যার কম্পাঙ্ক (frequency) মানুষের শোনার সীমার উপরের দিকে, অর্থাৎ ২০,০০০ হার্জ (Hz) বা তার বেশি।
মানুষের কানে এটি শোনা যায় না, কিন্তু অনেক প্রাণী এটি ব্যবহার করতে পারে।
উদাহরণ:
বাদুড় (Bat) অন্ধকারে পথ নির্ধারণের জন্য Ultrasound ব্যবহার করে।
ডলফিন পানির নিচে শিকার খুঁজে পেতে এই শব্দের সাহায্যে অবস্থান নির্ধারণ করে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান (Ultrasound imaging) মানুষের শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখতে ব্যবহৃত হয়, যেমন—গর্ভের শিশুর অবস্থা দেখা, হার্ট বা লিভারের সমস্যা নির্ণয় ইত্যাদি।
সংক্ষেপে:
> ২০,০০০ Hz-এর উপরের শব্দ = Ultrasound = মানুষের কানে অশ্রাব্য কিন্তু প্রযুক্তি ও প্রকৃতিতে অত্যন্ত কার্যকর।
Infrasound কী?
অন্যদিকে, Infrasound হচ্ছে এমন শব্দ যার কম্পাঙ্ক মানুষের শোনার সীমার নিচের দিকে, অর্থাৎ ২০ হার্জ (Hz) বা তার কম।
এই শব্দও মানুষের কানে শোনা যায় না, কিন্তু প্রকৃতিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উদাহরণ:
হাতি ও তিমি (Elephants & Whales) একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগে Infrasound ব্যবহার করে।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প, বজ্রপাত ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনাতেও Infrasound তৈরি হয়।
হাতি ও তিমির গোপন ভাষা: ইনফ্রাসাউন্ডের বিস্ময়
আপনি কি জানেন, একটি হাতি তার সঙ্গীদের সঙ্গে ১০–১৫ কিলোমিটার দূর থেকেও যোগাযোগ করতে পারে?
হাতির ইনফ্রাসাউন্ড সাধারণত ১৪–১৬ Hz কম্পাঙ্কের হয়, যা বাতাসের মাধ্যমে সহজেই দূরে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের এই শব্দ মানুষের কানে শোনা না গেলেও, অন্য হাতিরা সেই কম্পন অনুভব করতে পারে।
আর তিমিদের কথা?
তিমি হলো ইনফ্রাসাউন্ড ব্যবহারের এক বিস্ময়কর উদাহরণ। বিশেষ করে Blue Whale ও Fin Whale সমুদ্রের পানিতে ১০–৩০ Hz কম্পাঙ্কের শব্দ পাঠায়, যা ৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে থাকা অন্য তিমি পর্যন্ত পৌঁছে যায়! পানির নিচে শব্দ দ্রুত ও দীর্ঘ দূরত্বে চলাচল করতে পারে, তাই তারা হাজার মাইল দূরের সঙ্গীকেও ডেকে নিতে সক্ষম।তুলনামূলক সারসংক্ষেপ:
প্রাণী শব্দের ধরন কম্পাঙ্ক যোগাযোগের দূরত্ব
হাতি Infrasound ১৪–১৬ Hz ১০–১৫ কিমি
তিমি Infrasound ১০–৩০ Hz ৫,০০০ কিমি পর্যন্ত
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে Ultrasound ও Infrasound-এর ব্যবহার
শব্দের ধরন ব্যবহার ক্ষেত্র
Ultrasound চিকিৎসা নির্ণয়, শিল্পে ত্রুটি নির্ণয়, সাবমেরিন সনাক্তকরণ
Infrasound ভূমিকম্প পূর্বাভাস, আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ, প্রাণীর আচরণ বিশ্লেষণ
শেষ কথা
শব্দ শুধু শোনা যায় না — অনুভবও করা যায়। মানুষের কানে অশ্রাব্য এই Ultrasound ও Infrasound প্রকৃতি, প্রাণীজগৎ এবং প্রযুক্তিতে এক অনন্য সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।
হাতির নীরব সংকেত কিংবা তিমির গভীর সমুদ্রের ডাকে যেন এক অদৃশ্য জগতের বার্তা — “প্রকৃতি কথা বলে, শুধু শুনে নিতে জানতে হয়।”
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
কি হে বেকুব মহাশয়! সেই কুমিরের খাজকাটা খাজকাটা খাজকাটা, মনে আছে? সেই রচনা শুরু করলেন না কি? হাতির নাম দেখে আবরাহা, আবাবিলের কথা মনে পড়ে গেল? ধান ভানতে শীবের গীত!!! পাগল কোথাকার?
বলি, আরে পাগল! আবাবিলের নিক্ষিপ্ত পাথরে হাতীগুলোর মৃত্যু প্রাণীদের জন্য শাস্তি ছিল না, বরং আল্লাহর ঘর ধ্বংস করতে আগত অত্যাচারী সেনাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিদর্শন ছিল। সুরা ফিল-এ “أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ” এ বলা হয়েছে “হাতির অধিপতিদের” কথা, অর্থাৎ সৈন্যদল, প্রাণী নয়। হাতিগুলো ছিল কেবল ব্যবহৃত বাহন; শাস্তি নেমেছিল অবরাহা ও তার বাহিনীর ওপর, যারা কাবা ধ্বংসের জন্য এসেছিল। এটি আল্লাহর ঘর রক্ষার ঐশী বার্তা। সৃষ্টির কোনো নির্দোষ প্রাণীর বিরুদ্ধে নয়।
জালিম আবরাহার পক্ষে আজকের দিনে যারা অন্যায় সাফাই গাইবে তাদের উপরেও একই ধরণের গজব নেমে আসতে পারে। আবাবিলের আগমন আবারও ঘটতে পারে। সুতরাং, সাধু সাবধান!!!
২|
২৪ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:২৮
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
তিমি আল্লাহের সাথে কথা বলে
الحوت يتحدث إلى الله
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
বিকৃত মস্তিষ্ক প্রসূত অভিনব তথ্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩|
২৪ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:০৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: Ultrasound ও Infrasound
...............................................................
এই দুটো শব্দের সাথে আমরা অনেক আগে থেকে পরিচিত ।
বিজ্ঞানের কল্যাণে কেউ যদি এই সব আধুনি ক যন্ত্রপাতি সঙ্গে নিয়ে পৃথিবী পরিভ্রমন
শুরু করে তাহলে সে কি ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে ?
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
খুব সুন্দর প্রশ্ন করেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
যদি কেউ Ultrasound ও Infrasound শনাক্তকরণে সক্ষম আধুনিক যন্ত্রপাতি সঙ্গে নিয়ে পৃথিবী ভ্রমণে বের হয়, তাহলে সে পৃথিবীর প্রকৃতি ও প্রাণজগতের এক বিস্ময়কর “অদৃশ্য জগৎ” দেখতে পাবে।
Ultrasound যন্ত্র (উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দতরঙ্গ) ব্যবহার করে সে জানতে পারবে-
সমুদ্রের গভীরে কীভাবে তিমি, ডলফিন ইত্যাদি প্রাণী যোগাযোগ করে। বাদুড় কীভাবে অন্ধকারে শিকার খুঁজে নেয় (Echo-location)। চিকিৎসায় কীভাবে মানুষের শরীরের ভিতর না কেটে সন্তানের নড়াচড়া দেখা যায়। বরফের নিচে বা দেয়ালের ভিতরেও কোনো ফাঁকা স্থান বা বস্তু আছে কিনা।
Infrasound যন্ত্র (অতি নিম্ন কম্পাঙ্কের শব্দতরঙ্গ) তাকে অনুভব করতে দেবে-
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা ভূমিকম্পের আগে পৃথিবীর গভীর গর্জন। হাতি, তিমি বা অন্যান্য প্রাণী কীভাবে অনেক দূর থেকে যোগাযোগ করে। ঝড়, সুনামি বা বিস্ফোরণের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস।
অর্থাৎ, এ যন্ত্রগুলো সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণকারী মানুষটি শুধু দৃশ্যমান পৃথিবীই নয়, বরং অদৃশ্য শব্দতরঙ্গের জগৎ, প্রাণী, প্রকৃতি ও পৃথিবীর গোপন ভাষা ইত্যাদি সব কিছু শুনতে ও বুঝতে পারবে।
৪|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: সব বুঝলাম। আপনি কি বলতে চান?
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
যা বলার পোস্টেই বলে দিয়েছি। "সব বুঝলাম" বলে আপনি কী বুঝাতে চাইলেন?
৫|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি যেটা বুঝাতে চাই, সেটা আপনার ভালো লাগবে না।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
ইসলাম ধর্মের নামে মিথ্যা এবং অপপ্রচার করা ছাড়া আপনার আর কিছু বলার আছে?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:২৫
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
সুরা "ফিল" বলা হয়েছে যে, আবাবিল পাখাীর পাথরে হাতীগুলোর মৃত্যু হয়েছিল; ওদের অপরাধ কি ছিলো?