![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখালিখি পেশা নয়, নেশা! আর আমি লেখায় আসক্ত
ঘটনাটা নিজের কাছে একটু ব্যতিক্রম বলে মনে হয়েছে। বিষয়টা সকলকে জানিয়ে সচেতন করা দায়িত্ব বলে মনে করি বলেই আজকের এই লেখাটা।
বর্তমান সময়ের টাকা আদানপ্রদানের সবচেয়ে সহজ একটা মাধ্যম হচ্ছে বিকাশ। অনেকেই হয়তো আজও অব্দি জানি বিকাশ একাউন্টে টাকা রাখা মানেই নিশ্চিন্ত থাকা।
বিকাশে টাকা রাখলে হারানোর ভয় নেই, চুরি, ছিনতাই কিংবা ডাকাতি করে সে টাকা কেউ নিতে পারবেনা। আদৌ কি বিকাশে টাকা রেখে নিশ্চিন্ত থাকা সম্ভব?
ঘটনাটা ঘটেছে গত ডিসেম্বর মাসের মাঝের দিকে। ভিক্টিম যিনি তিনি আমার সুপরিচিত জুয়েল ভাই।
রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টা থেকে ১০ টার দিকে মিরপুর-১০ থেকে মিরপুর-০২ আসার পথে ঘটানাটা ঘটে। মিরপুর-১০ থেকে মিরপুর-০২ আসতে খুবই অল্পসময় লাগে সেটা আমাদের অনেকেরই জানা।
বিশেষ কারণে সেদিন জুয়েল ভাই সেপথ ধরেই হেটে তার বড় ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। হঠাৎ মাঝপথে তাকে কজন ছিনতাইকারী ঘিরে ধরে।
তার কাছে থেকে মানিব্যাগ, মোবাইল নিয়েই ক্ষান্ত ছিলোনা ছিনতাইকারীরা। ঘটনা স্থালে থাকে অস্ত্র ধরে মোবাইল লক খুলতে বলা হয়।
তিনি ফোনের লক খুলে দেওয়ার পর ছিনতাইকারীর দলের একজন মোবাইলটা নিয়ে বিকাশ একাউন্ট নাম্বার (*247#) ডায়েল করে নিশ্চিত হয় মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট রয়েছে কিনা।
ছিনতাইকারী নাম্বার ডায়েল করে যখন বুঝতে পারে তার একটি সিমে বিকাশ একাউন্ট খোলা রয়েছে। তখন তাকে বাধ্য করা হয় পাসওয়ার্ড দিতে।
তিনি পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর তখন তার বিকাশ একাউন্টে থাকা টাকাগুলো অন্য আরেকটি বিকাশ নাম্বারে সেন্ট করে হাতকরে নেয় ছিনতাইকারীরা। সঙ্গে নিয়ে যায় মোবাইল, মানিব্যাগ সমস্ত কিছু।
এমন পরিস্থিতিতে কারো কিছু করার থাকেনা সেটা স্পষ্ট। অনেকেই ভাবছেন জুয়েল ভাইয়ের বিকাশ নাম্বার থেকে যে নাম্বারে ছিনতাইকারীরা টাকা সেন্ট করে নিয়েছে। সে নাম্বার ধরে আইনের মাধ্যমে ছিনতাইকারী ও তার ঠিকানা পাওয়া সম্ভব।
হ্যা সেটা সম্ভব। কিন্তু যখন আপনার আমার কাছে থেকে একইভাবে ১০ হাজার টাকা বিকাশ থেকে ছিনতাই হবে। নিশ্চয় তার পিছনে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ছিনতাইকারীকে খুঁজতে যাবেন না।
আর না যাওয়াটায় স্বাভাবিক। কারণ ভিক্টিম হওয়ার পর প্রত্যেকের মনেই একটা কথা জাগে। নিজে অক্ষত রয়েছি সেটাই অনেকবেশি। যা যাওয়ার সেটা চলে গেছে। এর পিছনে আর কিছু খরচ হোক সেটা কখনোই চাইনা। প্রকৃতপক্ষে তার পিছু আর কেউ ছুটেও না।
বরং তারচেয়ে আমাদের উত্তম পথ নিজেই সংশোধন হয়ে চলা। বিকাশ একাউন্টে অনেক টাকা রেখে নিশ্চিন্ত হয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে না ঘোরা।
ভাবছি এমন দিন দেখতে না হয়, ছিনতাইকারীরা এটিএম ভূতের সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, "যা এটিএম কার্ড থেকে সব টাকা তুলে নিয়ে আয়, আমরা বাইরে অপেক্ষা করছি।"
.
লেখকঃ ডাকনাম ইমু-ইমরান।
©somewhere in net ltd.