| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাকনাম ইমু ইমরান
লিখালিখি পেশা নয়, নেশা! আর আমি লেখায় আসক্ত
আশির দশকের পূর্বে মাথায় মাথাল, কাঁধে লাঙ্গল নিয়ে অসহায় পরিবারের মাঝে জীর্ণ কুটিরের বউ হয়ে থাকতো বহুসংখ্যক নারী।
শেষ রাতের অন্ধকারে তাঁরা হাল চাষের জন্য কাঁধে লাঙ্গল জোয়াল নিয়ে মাঠে ছুটতো দুটো ষাঁড়/বলদের পরিবর্তে।
কখনো ঘানি তেল ভাঙানোর জন্যেও কুলুর বলদের পরিবর্তে নারীরাই সেসময় কাঁধে কিংবা কোমড়ে বেধে ঘানি টানতো।
নারীরা কেউ কেউ এমন কাজ করতে বাধ্য হতো পুরুষদের অত্যাচারে। কেউবা অভাবের কারণে স্বভাব বদলে দুমুঠো খাবারের জন্যে কাঁধে তুলে নিতো লাঙ্গল জোয়াল।
তারপর, এমন বর্বরতার সমাজ থেকে নারীদের অধিকার, নারীদের স্বাধীনতা আদায়ের জন্য বাংলায় নারীবাদী কিছুসংখ্যক সাহিত্যিক লেখিকার আগমন ঘটলো, তাঁরা নারীদের ঘরের বাহিরে নিয়ে আসলো। আর তারপর থেকেই নারীরা স্বাধীন, নারীরা শিক্ষিত, নারীসমাজ সমৃদ্ধ।
নারীরা এখন ইচ্ছে করলেই ঘর থেকে বের হতে পারে।
ইচ্ছে করলেই ভর জনতায় উচ্চস্বরে কথা বলতে পারে।
ইচ্ছে করলেই এখন মাঝরাতে ক্ষ্যাপ দেওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে পারে।
ইচ্ছে করলেই ট্রাফিক পুলিশকে গাড়ির কাগজপত্র চাওয়ায় কারণে উল্টো হুমকি দিতে পারে।
আবার ইচ্ছে করলেই এখন দরিদ্র পুরুষের গালে থাপ্পড়ও মারতে পারে!
দারুণ না- স্বাধীনতা?
ইসলাম যেখানে বলেছে নারীকে পর্দায় থাকতে, হেফাজতে থাকতে, সাবধানে থাকতে। সেখানে একদল শিক্ষিতা নারীবাদী লেখিকা ততকালীন সময়ে নারীকে ঘরের বাহির করে স্বাধীনতা দিয়েছে।
হয়তো ভাবছেন, আমি কি নারীদের উপর সেই নির্যাতনের সময়টাকেই সাপোর্ট করছি? কিন্তু না।
নারীকে এমন স্বাধীনতাই তাঁরা দিয়েছে যে, বর্বরতার যুগ থেকে বের করে নারীদের হিংস্রতার যুগে আজ পদর্পন করিয়েছে। ভাবছেন কেন এই বলছি কথা? আশেপাশে একটু তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে তাকালে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
ততকালীন সেই শিক্ষিতা নারীবাদীগণ নারীকে স্বাধীনতা দিয়েছে কিন্তু স্বাধীনতার মানেটা ওরা বুঝিয়ে যেতে পারেনি। যদি বুঝিয়ে যেতে পারতো তাহলে সেদিনের অর্ধাঙ্গিনীর এমন দৃশ্য দেখতে হতো না।
স্বাধীনতা কি বুকের উর্না গলায় পিছিয়ে নিজের স্তনের সাইজ শো-আপ করে চলা?
স্বাধীনতা কি চাপা ড্রেস পরে দেহের অঙ্গের প্রতিটি ভাজ দেখিয়ে জনতার দৃষ্টি আর্কষণ করা?
স্বাধীনতা কি হাজার পুরুষের ভিরে নারীর উচ্চস্বরে কথা বলা?
স্বাধীনতা কি ক্ষমতার দাপটে নিজের নারীত্বকে ভুলে যাওয়া?
স্বাধীনতা কি পাবলিক প্লেসে নারীর ঠোঁটে সিগারেট নিয়ে ঘোরা?
কিছু বললেই প্রতিউত্তর আসবে 'সবার সমান অধিকার!'
স্বাধীন সমাজে শৃঙ্খলার চেয়ে বিশৃঙ্খলা বেশি হয় এটাই তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। যদি তুমি স্বাধীন হও তোমার বিধানে শান্তি বলে কিছুই থাকবে না। কিন্তু তোমার বিধান যদি ইসলাম হয় তবে শান্তি পাবে কিন্তু এমন স্বাধীনতা তুমি পাবে না।
সিদ্ধান্ত তোমার শান্তি চাও; নাকি স্বাধীনতা?
যদি ক্ষমতার কিংবা আধুনিকতার ছোঁয়ার তুমি তোমার অবস্থান ভুলে যাও নারী। খোদার কসম পুরুষেরাও একদিন ভুলে যাবে তুমি নারী। তখন হয়তো তোমার নোংরামি, অশ্লীলতা, অকথ্য, আর বেহায়াপানার জন্য জনসম্মুখে চোর বা ছিনতাইকারীদের মতো জুতো পেটা করবে সাধারণ জনগণ।
মনে রেখো, শরীয়তে দ্বীন ইসলাম ঠিক রাখতে জেহাদ করা জায়েজ।
.
- ডাকনাম ইমু ইমরান। 
©somewhere in net ltd.