![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ততোবার শুধুমাত্র একটা চিন্তাই আমার মাথায় এসেছে। সেটা হচ্ছে একটি ড্রিল মেশিন নিয়ে নিজের মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।
ভৌতিক অভিজ্ঞতা কমবেশি সবার জীবনেই থাকে । এমনকি যারা ভুত প্রেত বিশ্বাস করেন না ,তাদেরও । আমি অবশ্য এসবে বিশ্বাস করি কিনা প্রশ্ন করলে কিছুটা বিপদেই পড়ে যাবো । এগুলো নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করি না।
ভুত ব্লগ নিয়ে অনেকেরই লেখা দেখলাম । কাজ নাই ,তাই লিখতে বসলাম কিছু । কাজ নাই ,বলাটা আসলে ঠিক না । কাজ অবশ্যই আছে । পড়া আছে । পড়তে ইচ্ছা করছে না । পড়া ফাকি দিয়েই লিখতে বসেছি ।
প্রথম ঘটনা অনেক ছোটবেলার ।আমি তখন ক্লাস ১ কিংবা ২ তে পড়ি । সাল সম্ভবত ৯৩ অথবা ৯৪ । রাত তখন বেশি না ,১০টার মত বাজে । আমি পড়ার টেবিলে বসে ভাত খাচ্ছিলাম । মা বিছানায় ছোট বোনকে ঘুম পাড়াচ্ছিল ।
বিছানার মাথার কাছে একটা জানালা ছিল । জানালায় নেট দেওয়া ছিল ।জানালার ওপাশে বেশ বড় বারান্দা । বারান্দাতে গ্রিল দেওয়া,আটকানো। মেইন গেট থেকে না ঢুকলে বারান্দায় আসা সম্ভব না । মেইন গেট রাতের বেলা তালা দেয়া থাকে । কেউ এলে খুলে দেওয়া হয় । ওই রাতেও তালা দেয়া ছিল ।
আমি খেতে খেতে কিছু একটা জিজ্ঞাসা করার জন্য মা'র দিকে ঘুরেছিলদা। বিচিত্র একটা জিনিস হল। চোখ গেল জানালার দিকে । জানালার পর্দা নামানো ছিল । বাইরে বাতাসও ছিল না । তবু জানালার পর্দা আস্তে আস্তে এক কোনা থেকে উঠে গেল । কেউ কোন পর্দা সরিয়ে উকি দিলে যেমনটা হয় ,ঠিক তেমনটাই । বাতাসে পর্দা ওভাবে সরে না । মনে হল ,অতি সন্তর্পণে কেউ আমার দিকে তাকিয়ে আছে , আমিও তাকিয়ে আছি ,নিস্পলক ।
প্রায় ১ থেকে দেড় মিনিট ওভাবেই রইলো পর্দা । এরপর ঠিক যেমনি ভাবে আলতো করে পর্দা উঠেছিলো ,ওভাবেই নেমে গেল ।
কাজের ছেলেকে বারান্দা থেকে তোয়ালে আনানোর জন্য পাঠালাম । সে নির্বিকার ভাবেই তোয়ালে নিয়ে আসলো । বারান্দায় কিছুই ছিল না।
আমি প্রচণ্ড ভয় পেলাম । মা কে কিছু বললাম না । তাড়াতাড়ি হাত ধুয়ে ওই অবস্থাতেই শুয়ে পরলাম । আব্বু বাইরে থেকে না আসা পর্যন্ত ঘুমাতে পারিনি ।
এরপর কেটে গেছে বহুকাল । এরকম কিছুই আর দেখিনি ।
দ্বিতীয় ঘটনা ২০০৪ সালের । তখন আমি নটর ডেম কলেজের ছাত্র ।
নটর ডেমের হোস্টেলে মুসলিম ছাত্ররা থাকতে পারেনা। অন্য একটা হোস্টেলে থাকতাম । কলেজের পেছনেই ছিল হোস্টেল । আমার মত আরও ১৫ জন ছিল থাকতো ওখানে ।
আমরা রুম মেট ছিলাম ৪ জন । তার মধ্যে আমরা ৩ জন একইরকম ,ফাঁকিবাজ । আরেকজনের নাম ছিল শাওন । বেশ পড়ুয়া ছিল ও ।
এক রাতে ঘুম ভেঙে গেল হাউমাউ শব্দে । উঠে দেখি শাওন রুমের মাঝে দাড়িয়ে কাঁপছে । জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে ?? উত্তরে সে যা বলল ,তা হল - সে ঘুমাচ্ছিল । তারও বিছানার পাশে একটা জানালা আছে । জানালার ওপাশে করিডোর । সে স্বপ্নে দেখেছে কেউ একজন করিডোর থেকে হেটে এসে তার জানালা ধরে দাঁড়িয়ে আছে । ভয়ের চোটে তাই তার ঘুম ভেঙেছে ।
পরদিন সকাল হতেই হোস্টেলের সবাইকে এই কাহিনী বললাম । সবাই তো হেসে লুটোপুটি খেল । সেইদিনই ঠিক করা হল রাতে শাওন কে এভাবেই ভয় দেখানো হবে । রাতের কথা চিন্তা করে একেকজনের যে পরিমান আনন্দ হল ,তা বলার নয় ।
১২ টা বাজতেই যে যার বিছানায় শুয়ে পরে অপেক্ষা করতে লাগলো । শাওনের ঘুমাতে দেরি হয় , ও অনেক পড়ে । প্ল্যান ছিল , করিডোরের লাইট নিভানো থাকবে । পাশের রুম থেকে কেউ এসে জানালায় টোকা দিয়ে রুমে যেয়ে দরজা বন্ধ করে দিবে । ঠিক যেরকম প্ল্যান ছিল , অবিকল ঐভাবেই জিনিসটা ঘটানো হল । শাওন লাফ দিয়ে উঠে বসলো ।
আমাদের কাছে এসে বলতে লাগলো কে যেন ওর জানালায় টোকা মেরেছে । আমরা তো খুবই অবাক হবার ভান করলাম । বললাম , কেউ তো কিছু শুনেনি ।
শাওনের প্রায় কেঁদে দেবার মত অবস্থা হল । করিডোরের লাইট জ্বালানো হল । পাশের রুম থেকে আমাদের চিল্লা পাল্লা শুনে ফাজিল গুলি এলো ।তারাও এসে এমন ভাব করতে লাগলো যে এটা আসলেই ভৌতিক কিছু । কোন একজন বাঁদরামি করে শাওনের ভয় আরও বাড়ানোর জন্য রুমের লাইট টাও নিভিয়ে দিল ।
আগেই বলেছি করিডোর এর লাইট জ্বলছিল । কাঁচের জানালার মধ্যে থেকে করিডোরের সবকিছুই দেখা যাচ্ছিলো । এমন সময় হঠাৎ-
টক, টক ,টক !
রুমের মাঝে ১৫ জনই ছিলাম । সবাই ই দেখতে পাচ্ছিল জানালার মধ্য থেকে করিডোর । জানালাতে কিছুই নেই । তবু সবাই ই শুনল শব্দটা।
সেই রাতে আমাদের কারোই ঘুম হল না ।
পরের ঘটনা ২০০৭ সালের , ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল । সেই কাহিনী আরেকদিন বলবো ।
১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০৪
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:০২
দূর্যোধন বলেছেন: নাফে ভাইয়ের হড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড় মিস্করি
যাউগ্গা.......পুস্ট ভালো হৈছে
১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০২
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২৮
অক্টোপাস বলেছেন: সবাই কইলো ভালো মাগার প্লাস দিলো না। এই যে আমি দিলাম একখান! :O
১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০১
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ অক্টোপাস ভাই !
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:১৮
চশমখোর বলেছেন: কে? কে ওখানে? ভূত
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:১৭
ইনকগনিটো বলেছেন:
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৩২
ইলুসন বলেছেন: পরের ঘটনা ২০০৭ সালের , ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল । সেই কাহিনী আরেকদিন বলবো ।
এটা বলার পরে অনেকের শত্রু হয়ে যেতে পার মামু, সাবধান!
১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:৪৭
ইনকগনিটো বলেছেন: ঠিক ই কইছ বন্ধু !!!
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৫৩
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: :-& :-& :-&
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:১৬
নিয়ম ভাঙার কারিগর বলেছেন: আমার ধারণা, আপনাদের ঐ ১৫ জনের কেউ একজন রুমের মধ্যে টেবিলে টোকা দিয়ে আওয়াজটা করেছিলেন।
১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:২৯
ইনকগনিটো বলেছেন: টেবিলে ??? না না ভাই ,আওয়াজ টা জানালা থেকেই এসেছে এবং এটা আমরা সবাই ই একসাথে শুনেছি ।
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৪
ভুত. বলেছেন: অনেক দিন ভৌতিক কোন লেখা পড়ি নি, পড়ে ভাল লাগল।
১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২৪
ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪১
শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: সহজ ব্যাখ্যা হল দুটোই বাতাসের কারসাজি। তবে আমার কথা হল থাক না কিছু রহস্য। সব ভাঙতে হবে এমন তো কোনো কথা নাই।
২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:২১
ইনকগনিটো বলেছেন: ভাই , বাতাসের কারসাজি হইলে কি আমি সাইন্স এর ছাত্র এই ঘটনা এইখানে লেখি ???
১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪৯
শায়েরী বলেছেন: ইশ
ভয় লাগে কেন জানি !
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩৭
ইনকগনিটো বলেছেন: বেশি ভয় পাইলে একটা ফু দেন ।
১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৪৫
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: এইসব নিয়ে চিন্তা করলে মনের অজান্তেই এমন হয় । তবে মাঝে মাঝে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনাও যে ঘটে না তা না .....। অনেক কিছুই ঘটে যা একেবারেই সত্য তবুও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় ।
আমার বড় ভাইয়ার জীবনেও এমন একটা ঘটনা আছে পরে একদিন বলবো ......
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫১
ইনকগনিটো বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার ভাই এর ঘটনার অপেক্ষায় থাকলাম ।
১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:৩৭
ফাহিম হায়দার খান বলেছেন: মনে হল ,অতি সন্তর্পণে কেউ আমার দিকে তাকিয়ে আছে , আমিও তাকিয়ে আছি ,নিস্পলক ।
মামা আমি শিউর অইটা একটা মেয়ে ছিলো। মেয়েটা কি রঙ এর কাপড় পরছিল? নাকি কিছুই পরে নাই???
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৩
ইনকগনিটো বলেছেন: যার মনে যা , লম্ফ দেয় তা ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৫৮
নষ্ট কবি বলেছেন: ভাললাগলো শুনে