নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইনফা_অল

ইনফা_অল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্য রাতে নিজ সন্তানের হাতে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আগেই সতর্ক হোন।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

প্রত্যেক বাবা-মা’ই নিজ সন্তানের প্রতি সবচেয়ে বেশী ভালোবাসা পোষণ করেন। করাটাই স্বাভাবিক। আর ভালোবাসা যে মানুষকে অন্ধ করে দেয় এটা শুধু প্রেমের ক্ষেত্রেই কিন্তু নয়। সন্তান সন্তুতির ক্ষেত্রেও হয়। নিজ সন্তানের একটা নিস্পাপ প্রতিচ্ছবি মনে সারাক্ষণ সেটে থাকার কারণে আমরা ভয়ংকর বাস্তব অভিজ্ঞতার শিকার হওয়ার আগে কখনোই তাকে অপরাধী ভাবতে পারি না। মনে করি, এতোটুকুন মাত্র ছেলে/মেয়েটি! কী আর বোঝে! আমার ছেলে/মেয়ে কি এই কাজ করতে পারে? কিন্তু আমরা চোখ বুজে থাকলেই কিন্তু বাস্তবতা কখনো পালটে যাবে না।



অতএব মধ্য রাতে নিজ সন্তানের হাতে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আগেই সতর্ক হোন। আপনার মেয়েটি বিয়ের আগে গর্ভবতি হয়ে পড়ার আগেই সতর্ক হোন; মাদকাশক্ত হয়ে পড়ার আগেই খবর নিন, আপনার ছেলেটি বখে যাওয়ার আগেই তার তত্তাবধানে যত্নশীল হোন। আপনি যদি সত্যিই মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে দয়া করে ভুলে যাবেন না যে, সেও একটি মানব সন্তান। মানব সন্তান কুকুরছানা নয় যে, খাবার আর থাকার জায়গা পেলেই চলে যাবে। বুঝবেন না তার যত্ন মানে কেবল তার উন্নত খাবার, অভিজাত ফ্ল্যাট, দামী জামা-কাপড় আর লেটেস্ট তথ্য-প্রযুক্তির উপকরণ হাতে তুলে দেওয়া।



সন্তানের তত্তাবধানের সর্ব প্রধান কাজ হলো তাকে নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া। সকল অনৈতিকতা থেকে বাচিয়ে রাখা। আদর্শবান করে গড়ে তোলা। আপনার সন্তান কোনো পশুর বাচ্চা নয়, যে নিছক বস্তুগত চাহিদা পূরণ হলেই তার চলে যাবে। রাস্তাঘাটে আজকাল মেয়েরা যে ধরণের কাপড়-চোপড়ে বের হয় তা দেখে ভাবি, কোনো বাবা-মা’র চোখের সামনে দিয়ে এমন পোষাক পরে কিভাবে তারা বের হয়ে আসতে পারে? লজ্জা-শরম না হয় খেয়েই বসেছে, এদের কি রুচিবোধ বলতেও কিছু নেই? শালীনতা শব্দটি কি এদের ডিকশনারি থেকে হারিয়ে গেছে? এরা সত্যিই বাবা মা, নাকি নিছক ‘মানুষের ছাও উৎপাদনকারী’?



প্রখ্যাত লেখক মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ তার সন্তান প্রতিপালন বিষয়ক বইতে একটি অতি গুরুত্বপুর্ণ কথা লিখেছেন। তিনি বলেন,



“আজকাল অনেক বাবা-মাই অভিভাবক হওয়ার বদলে সন্তানদের 'বন্ধু' হতে চায়। আর তাই বাচ্চাদের প্রতি সদয় হতে গিয়ে তাদের সকল চাওয়া পূরণ করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে। তখন এই সন্তানরা অভিভাবক ও বন্ধুর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে না। বাবা-মারা সবকিছুতেই সন্তানদের সাথে আপস করতে থাকে এবং সন্তানরাও তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে, যতক্ষণ না তারা তাদের কাঙ্খিত জিনিসটি আদায় করতে পারে। ফলে বাচ্চাদের চাওয়া-পাওয়ার সীমারেখা দিন দিন বাড়তেই থাকে। তাই বাবা-মাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে সন্তানদের অনেক বন্ধু থাকতে পারে, কিন্তু বাবা-মা কেবল তারা দুজনই। তারা সন্তানদের অভিভাবক। বাবা-মায়ের ভূমিকা ছাড়া অন্য কোনো ভূমিকা পালন করাটা তাদের জন্য মোটেই ভালো নয়। তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব হচ্ছে সন্তান যেন সত্যিকার আদর্শ-মানুষ হয় সেভাবে প্রতিপালন করা এবং এটাই তাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ”।



সুত্রঃ http://www.shomokalin.com/article/teenage

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১

খেয়া ঘাট বলেছেন: তাই বাবা-মাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে সন্তানদের অনেক বন্ধু থাকতে পারে, কিন্তু বাবা-মা কেবল তারা দুজনই। তারা সন্তানদের অভিভাবক।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: ইনফা_অল ভাইজান সম্ভত পরপর একই পোস্ট দুইবার এসেছে দয়া করে একটা ডিলেট করেদেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

ইনফা_অল বলেছেন: ডিলেট করা হয়েছ। পড়ার জন্য ধন্যবাদ

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৯

অপ্রচলিত বলেছেন: ভারসাম্য রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেশি শাসন করা ও বেশি প্রশ্রয় দেওয়া কোনটিই উচিত নয়। সচেতনমূলক পোস্টে প্লাস।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭

ইনফা_অল বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.