নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৩দিন, ১০দিন, এক চিল্লা, ৩ চিল্লা আল্লার রাস্তায় বেরুনো কি কুরআন-হাদিসে সম্মত? এইভাবে সময় সময় নির্দিষ্ট করলে কুরআন ও হাদিসের দলিল থাকা দরকার নয় কি? শুধু মাত্র জানার উদ্দেশ্যেই এই পোষ্ট
যেমনঃ
এক মাস রোজা রাখা- "রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর"।-সূরা বাকারাহ'র ১৮৫ তম আয়াত।
সোম ও বৃহঃস্পতি বার রোজা রাখা-
আহমদ ইবন বাককার (রহঃ) আর সালামা ইবন আব্দুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) -এর কাছে গিয়ে বললাম, হে চাচা! রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনাকে যা বলেছিলেন তা আমাকে বলুন। তিনি বললেন, হে আমার ভ্রাতূষ্পুত্র, আমি দৃঢ় সংকল্প করেছিলাম যে, আমি অত্যধিক পবিশ্রম করব, এমনকি মনে মনে বলেছিলাম যে, আমি অবশ্যই সারা জীবন সাওম পালন করব এবং প্রত্যেক দিবা রাত্রে একবার কুরআন খতম করব। এ খবর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কানে ফেললে তিনি আমার কাছে আসলেন এবং ঘরে প্রবেশ করে বললেন যে, আমি শুনেছি - তুমি নাকি বলেছ যে, আমি অবশ্যই সারা জীবন সাওম পালন করব এবং সারাক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করব? আমি বললাম, ইয়া রাসুলল্লাহ! আমি অবশ্যই বলেছি। তিনি বললেন, তুমি এরুপ কর না বরং তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম পালন করবে। আমি বললাম, আমি তো এর চেয়েও অধিক সাওম পালন করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি প্রত্যেক সপ্তাহে দুই দিন সাওম পালন করবে সোমবার এবং বৃহষ্পতিবার-। আমি বললাম, আমি তো এর চেয়েও অধিক সাওম পালনের সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি দাঊদ (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ন্যায় সাওম পালন করবে। কেননা সেটাই আল্লাহ তাঁআলার নিকট সর্বোত্তম সাওম। একদিন সাওম পালন করবে আর একদিন সাওম ভঙ্গ করে ফেলবে। আর দাঊদ (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন ওয়াদা করতেন তা পূর্ণ করতেন আর যখন শক্রর মুখোমুখী হতেন পলায়ন করতেন না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সুনানে নাসাঈ | অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা)| হাদিস নাম্বার: 2395
৩৩ বার সুবহান আল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ আল্লাহু আকবর বলা-
নামায শেষে ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ্ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্ ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার বলবে, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরিকাওলাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি সাইয়িন কাদীর"
[মুসলিম, ১২৪০]
গননার মাস ও সম্মানিত মাসঃ
" নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন"। (At-Tawba: 36)
সালাতের সময়ঃ সূরা আল আ’রাফ (মক্কায় অবতীর্ণ)
(০৭:২০৫) অর্থ- আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে (ফজর) ও সন্ধ্যায় (মাগরিব)। আর বে-খবর থেকো না।
সূরা হুদ (মক্কায় অবতীর্ণ)
(১১:১১৪) অর্থ- আর নামায প্রতিষ্টা কর দিনের দুই প্রান্তেই (ফজর ও আছর) এবং রাতের নিকটবর্তী অংশে (মাগরিব ও ইশা); প্রকৃতপক্ষে সৎকর্ম অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১৯
ইনফা_অল বলেছেন: দলিল দিন। হাদিস কুরআন নিয়ে মশকরা করবেন দয়া করে যদিও বা আপনি অন্য ধর্মের বা মতের হন।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৬
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: দলিলের কি দরকার, বেকারেরা ছিল্লা পিল্লায় গেলে খাওয়া দাওয়াটা ফ্রি হবে, এটা কমন সেন্স? দলিলি কি আপনি খাবেন?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৭
ইনফা_অল বলেছেন: আপনার জন্য এই পোষ্ট নয়। আপনি অন্য দিকে যান।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৪৪
কাব্য কথা বলেছেন: কোরআনে নেই সেটা আপনিও জানেন হয়তো। সহীহ হাদীসে এই ব্যাপারে কিছু পাবেন না তবে দ্বীন প্রচারের কথা বলা হয়েছে। সেটা তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে করলে ভালোই তো। সওয়াব পাওয়া যাবে আর খাওয়া দাওয়া ফ্রি। তবে খাওয়া দাওয়ার জন্য নিশ্চয়ই তাবলীগ জামাত না। দ্বীনের খেদমত করাটাই উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩৬
ইনফা_অল বলেছেন: সেটা তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে করলে ভালোই তো।-
হ্যা ভালইতো (?)। কিন্তু ৩দিন, ১০দিন, এক চিল্লা, ৩ চিল্লা এই ভাবে সময় নির্ধারন করা কি শরিয়ত সম্মত? কোরআন-হাদিস থেকে আমি কিছু উদাহরন দিয়েছি।
হাদিসে কিন্তু বিদাত বলে কথা আছে "ইবাদতের ভিতর নতুন কিছু প্রবেশ করানো। মনে রাখতে হবে দাওয়াত কিন্তু ইবাদত।
আমি যতটুকু জানি এখানে খাওয়া দাওয়া ফ্রি নয়। তবে বৈষম্য আছে।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০২
বদলে যাই বলেছেন: তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩)
৩দিন, ১০দিন, এক চিল্লা, ৩ চিল্লা আল্লার রাস্তায় বেরুনো "উপরোক্ত আয়াতগুলো যদি বুঝেন, তাহলেই অনুধাবন করতে পারবেন"।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১২
ইনফা_অল বলেছেন: এই দুই আয়াতের তাফসীর দেখলাম ৩দিন, ১০দিন, এক চিল্লা, ৩ চিল্লা সম্পর্কে কোনো ধারনাও নাই, মানে এই ভাবে দিন নির্ধারন করে দাওয়াতের কথা বলা নাই।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
ফয়সাল আহেমদ বুলবুল বলেছেন: পরিবার রেখে দীর্ঘদিনের তাবলীগী সফর কি বৈধ?
Posted on August 26, 2013 by Admin
প্রশ্ন
আসাল্মুয়ালায়কুম!
হুজুর আমি ফ্রান্স থেকে বলছি, আমি প্রায় তাবলীগের কাজ করতে গিয়া একটা প্রবলেম এ পরি আর তা হলো সবাই প্রশ্ন করে
১- আমাদের নবিজি কি কখনো তার বিবিদের রেখে অন্য জায়গায় গিয়া ৪০ বা ১২০ রাত্রি যাপন করেছেন কি না আর যদি করেন তার রেফারন্স কি?
২-ঘরে বিবি উপযোক্ত বোন বা মেয়ে রেখে কি তাবিলিগে যাওয়া যাবে তার রেফারেন্স ?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনি প্রথমে একটি প্রশ্নের জবাব দিন। যদি কোন রেফারেন্স না পাওয়া যায় যে, রাসূল সাঃ বা রাসূল সাঃ এর আদেশে সাহাবায়ে কেরাম ৪০ দিন বা এর চেয়ে বেশি সময় বিবি-বাচ্চা রেখে বাহিরে থেকেছেন। তাহলে কি আপনি বলবেন যে, অর্থ কামানোর জন্য বিবি-বাচ্চা রেখে বিদেশে গিয়ে ৪০ দিন বা এর চেয়ে বেশি সময় থাকা হারাম?
যদি তাই বলে থাকেন, তাহলে আপনি এ প্রশ্ন করতে পারেন। আর যদি বলেন, যে না এটি হারাম নয়। তাহলে দ্বীনের প্রচারের জন্য বাহিরে থাকাতে পরিবারের প্রতি এত অযথা দয়া উপছে উঠছে কেন?
টাকা কামানোর জন্য বিদেশ গমন করে বছরের পর বছর পরে থাকলেও এ নিয়ে প্রশ্ন না করে, দ্বীনের কাজে বাহিরে থাকায় প্রশ্ন কেন? দ্বীনের কাজের সাথে এত দুশমনী কেন?
قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ ۗ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ [٩:٢٤]
বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাস্তায় জেহাদ তথা চেষ্টা-মেহনত [তাবলীগী সফর] করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। {সূরা তাওবা-২৪}
এ আয়াতে স্পষ্ট ভাষায় সন্তান সন্ততি, স্ত্রী আর বাসস্থানের মোহাব্বতে আল্লাহর রাস্তায় বের না হওয়ার ব্যাপারে কঠিন হুশিয়ারী উচ্চারিত হয়েছে। যা স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখার ঠুনকো ওজুর দেখিয়ে এ থেকে বিরত থাকা সরাসরি আল্লাহর ধমকিতে নিপতিত হওয়ার নামান্তর।
তবে সফরকালীন সময়ে পরিবারের ভরনপোষনের ব্যবস্থা অবশ্যই করে যেতে হবে। এটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু দ্বীনী সফরই করা যাবে না পরিবার থাকায়। এমনটি ধারণা করা দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচয়।
পরিবার ছাড়া সাহাবাদের দ্বীনী সফর
রাসূল সাঃ পবিত্র স্ত্রীগণকে রেখে একত্রে ২৯ দিন অন্যত্র অবস্থান করেছেন মর্মে স্পষ্ট বর্ণনা হাদীসে এসেছে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৯৮৪}
রাসূল সাঃ পরিবার সঙ্গে না নিয়ে একাধিক সফর করেছেন। আর রাসূল সাঃ এর আদেশে সাহাবায়ে কেরাম রাঃ বছরের অধিক সময়ও পরিবার ছাড়া দ্বীনী সফরে রত ছিলেন। কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হল,
১-
عن البراء « أن النبي صلى الله عليه وسلم بعث خالد بن الوليد إلى أهل اليمن يدعوهم إلى الإسلام ، قال البراء : فكنت فيمن خرج مع خالد بن الوليد فأقمنا ستة أشهر ندعوهم إلى الإسلام فلم يجيبوه ، ثم إن النبي صلى الله عليه وسلم بعث علي بن أبي طالب رضي الله عنه فأمره أن يقفل خالدا إلى رجل كان ممن يمم مع خالد ، ومن أحب أن يعقب مع علي فليعقب معه ، قال البراء فكنت فيمن عقب مع علي ، فلما دنونا من القوم خرجوا لنا فصلى بنا علي ثم صفنا صفا واحدا ، ثم تقدم بين أيدينا وقرأ عليهم كتاب رسول الله صلى الله عليه وسلم ، فأسلمت همدان جمعا ، فكتب علي إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم بإسلامهم ، فلما قرأ رسول الله صلى الله عليه وسلم الكتاب خر (1) ساجدا ، ثم رفع رأسه فقال : » السلام على همدان ، السلام على همدان « أخرجه البخاري في الصحيح مختصرا من وجه آخر عن إبراهيم بن يوسف .
অনুবাদ- হযরত বারা রাঃ বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়ামান প্রদেশে তাবলীগের উদ্দেশ্যে হযরত খালীদ ইবেন ওয়ালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পাঠান। আমিও তাঁদের সাথে ছিলাম। আমরা দীর্ঘ ৬মাস যাবত সেখানে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ অনবরত করে চলেছিলাম, কিন্তু তাদের কেউ তখনো আমাদের দাওয়াত কবুল করছিলো না। অতপর হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহুকে রাসূল আমীরের দায়িত্ব দিয়ে খালীদ রাযিয়াল্লাহু কে ফিরে যেতে বলেন এবং তাঁর সাথে যারা ফিরতে চায় তারা ফিরতে পারবে আর যারা থেকে যেতে চায় তারা থাকতে পারে। আমি হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহুর সাথে আরো সময় বাড়িয়ে নিলাম।
অতপর, আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু আমাদেরকে নিয়ে নামাজ আদায় করলেন। পরে আমরা কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালাম, এরপরে তিনি আমাদের মাঝে এগিয়ে এসে রাসূলুল্লাহর দাওয়াতনামা পড়ে শুনালেন। সাথে সাথে হামদান গোত্রের সবাই একই সাথে ইসলাম কবুল করে নিলেন।
এই খুশির সংবাদ লিখে হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহর নিকট পত্র পাঠালেন। যখন রাসূল উক্ত পত্রখানি পড়লেন, তখন সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন। অতপর, মাথা উঠিয়ে বললেন, হামদানগোত্রের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, হামদানগোত্রের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
অন্য রেওয়াতে আছে, উক্ত জামাত নিয়ে হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু ৪ মাস পর ফিরে এলেন, বিদায় হজ্বের সময়। অতএব, উভয় আমীরের নেতৃত্বে আমাদের সময় অতিবাহিত হলো, প্রায় ১ বৎসর। (দালায়েলুন নাবাবিয়্যাহ লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১৩২, হায়াতুস সাহাবাহ, ১ম খ, পৃষ্ঠাঃ ১৭৯/ ১৪০, বুখারী শরীফ ২য় খন্ড, কিতাবুল মাগাজী।
২-
হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ এর নেতৃত্বে জামাত। ১ম হিজরীর রবিউল আউয়াল মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত নাজরান ও ইয়ামেনে অবস্থান করেন। {বুখারী-২/৬২৩, তাবারী-৩/১২৬, ইবনে খালদুন-১/৮২৮}
৩-
হযরত আলী রাঃ এর নেতৃত্বে ১ম হিজরীতে চার মাসের সফর হামাদানও ইয়ামেনে। {বুখারী-২/৬২৩, তাবারী-৩/১৩১-১৩২, ইবনু সাআদ-২/১৬৯-১৭২}
৪-
হযরত জারীর বিন আব্দুল্লাহ রাঃ এর নেতৃত্বে বাজীলাহ ও ইয়ামানে ২ মাসের সফর। {তাবারী-৩/১৫৮, ইবনে সাআদ-২/২৬৬, ইবনে খালদুন-১/৮৪৫}
৫-
হযরত জারীর বিন ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ এর নেতৃত্বে বাজীলাহ ও ইয়ামানে ২ মাসের সফর। {ইবনে খালদুন-২/৮৪৫, তাবারী-৩/১৭৮, বুখারী-২/৬২৫}
৬-
হযরত তামীমে দারী রাঃ এর নেতৃত্বে লাখম উপগোত্রে ৪০ দিনের সফর। {ইবনে সাআদ-১/৩৪৩-৩৪৪, মাজমূআত-৪২-৪৩}
কতিপয় দ্বীন বিরোধী, ঈমানের দুশমনদের কথায় দ্বীনের কাজের ক্ষেত্রে অযথা সন্দেহ সৃষ্টি থেকে আল্লাহ পাক সকলকে হিফাযত করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
সহকারী মুফতী-জামিয়াতুল আস’আদ আল ইসলামিয়া-ঢাকা
ইমেইল[email protected]
[email protected]
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
ইনফা_অল বলেছেন: আমার প্রশ্ন ছিলঃ ৩দিন, ১০দিন, এক চিল্লা, ৩ চিল্লা আল্লার রাস্তায় বেরুনো কি কুরআন-হাদিসে সম্মত? এইভাবে সময় নির্দিষ্ট করলে কুরআন ও হাদিসের দলিল থাকা দরকার নয় কি?
আপনিও একটি প্রশ্নের অবতরন করলেন-পরিবার রেখে দীর্ঘদিনের তাবলীগী সফর কি বৈধ?
প্রশ্নের ধরন কি এক ? আমি প্রশ্ন করলাম সময় নির্দিষ্ট করে সফরে বের হওয়া সম্পর্কে আর আপনি উত্তর শুরু করলেন পরিবারকে রেখে দীর্ঘদিন তাবলীগী সফরের বৈধতা নিয়ে!
মজার এক বিষয় এখানে উল্লেখ করেছেন, “অর্থ কামানোর জন্য বিবি-বাচ্চা রেখে বিদেশে গিয়ে ৪০ দিন বা এর চেয়ে বেশি সময় থাকা হারাম”? আবার বলছেন, “দ্বীনের প্রচারের জন্য বাহিরে থাকাতে পরিবারের প্রতি এত অযথা দয়া উপছে উঠছে কেন”? যা কিনা আমার প্রসংগের সাথে কোনো ক্রমেই সম্পর্কিত নয়।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১
ইনফা_অল বলেছেন: “আমরা দীর্ঘ ৬মাস যাবত সেখানে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ অনবরত করে চলেছিলাম”
“উক্ত জামাত নিয়ে হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু ৪ মাস পর ফিরে এলেন”
“১ম হিজরীর রবিউল আউয়াল মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত নাজরান ও ইয়ামেনে অবস্থান করেন”
“হযরত জারীর বিন আব্দুল্লাহ রাঃ এর নেতৃত্বে বাজীলাহ ও ইয়ামানে ২ মাসের সফর”।
“হযরত তামীমে দারী রাঃ এর নেতৃত্বে লাখম উপগোত্রে ৪০ দিনের সফর”।
আপনার উল্লেখিত রেফারেন্স এ দেখা যায় সবগুলি সময়ের বর্ননা সফর থেকে ফিরে আসার পর। কোথায় তো পেলাম না রসুল (সঃ) ও তাঁর সাহাবারা সময় নির্ধারন করে সফরে বের হয়েছেন।
সফরের আগে ৩দিন, ১০দিন, এক চিল্লা, ৩ চিল্লার কোনো বর্ননা তো পাওয়া যায় না!
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
ফিলিংস বলেছেন: #তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম পালন করবে--ইসলামে তিন দনের একটা বিশেষ গুরুত্ত রয়েছ। তাই সর্ব নিম্ন তিন দিন-- দীন শিক্ষার জন্য।
#ইসলামে চল্লিশ দিনের (এক চিল্লা) ও একটা বিশেষ গুরুত্ত রয়েছ।নূহ নবীর সময় চল্লীশ দিন ধরে বৃষ্টি, বা চল্লীশ দিন ধরে নৈাকা নিয়ে ভেসে থাকার উল্লেখ আছে। তাই বছরে চল্লীশ দিনের কথা বলা হয়েছে।
#তিন চিল্লা (একশ বিশ দিন)--আমার যতদুর মনে পড়ে ভ্রুন গর্ভে থাকা অবস্থায় চার মাস বা একশ বিশ দিন পর রুহু আসে।ঠীক তেমন ভাবে জীবনে একবার তিন চিল্লা দেয়ে রুহু কে দীনের জন্য জিন্দা করা আর প্রতি বছর এক চিল্লা দিয়ে তাকে সঠীক রাস্তায় রাখা।
কুরআন মসুলমানদের পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। তবে কুরআনে বর্ণীত সুরা নাজিলের পেছনে প্রেক্ষাপট আছে, যা আপনি পড়ে এর প্রকিত অর্থ নাও বুঝতে পারেন।তবে কুরআনে কোন বিষয় না পেলে হাদিসের সাহায্য নিতে হবে, হাদীসে না পেলে ইজমা এবং কিয়াসের সাহায্য নিয়ে সমাধান দিতে হবে।
#লেখক বলেছেন:-তবে বৈষম্য আছে--আপনি কোন বৈষম্যর কথা বলছেন। আর্থিক বৈষম্য, খাওয়া দাওয়ায় বৈষম্য না নিয়ম পালনে বৈষম্যর কথা বলছেন। ভাই এখানে কোন বৈষম্য না্ই।সবাই প্রতিদিন সমান টাকা দেয় খাবার জন্য। বড় একটা প্লেটে একসাথে চার পাচ জন বসে।সবার চেষ্ট থাকে নিজে কম খেয়ে অন্য জন কে বেশী খাওয়ানোর। আমি নিজে দেখছি এক প্লেটে একজন চাকুরীরত সচিব ও একজন রিকশায়ালাকে এক প্লেটে খাবার খেতে।
আর ইসলামে নিয়ম কানুন তো সবার জন্য সমান।
ভাই একটা বার যান।অবশ্যই প্রচলিত অনেক ভূল ভাঙ্গবে এবং ভালু লাগবে।
আল্লাহ আপনাকে কবুল করুক, আমীন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৬
ইনফা_অল বলেছেন: আপনি রাসুল (সঃ) এর একট হাদিস উল্লেখ করেছেন তা হল-“তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম পালন করবে” পুরো হাদিসটি এইরকম - আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : তুমি প্রতি মাসে তিন দিন সাওম পালন কর। আবদুল্লাহ রা. বললেন, আমি এর চাইতে বেশী করার শক্তি রাখি। এভাবে তিনি বৃদ্ধির আবেদন করতে লাগলেন যে, অবশেষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : একদিন সাওম পালন কর আর একদিন ছেড়ে দাও এবং আরো বললেন : প্রতি মাসে (এক খতম) কুরআন পাঠ কর। তিনি বললেন, আমি এর চেয়ে বেশী শক্তি রাখি। এভাবে বলতে লাগলেন, অবশেষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : তাহলে তিন দিনে (পাঠ কর)। বুখারী শরীফ » ০৩য় খণ্ড » সাওম অধ্যায় হাদীস নং ১৮৫৪
এবং বলেছেন ইসলামে তিন দনের একটা বিশেষ গুরুত্ত রয়েছে। এখান মাসে তিন দিন সাওম পালনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দীন শিক্ষার জন্য সর্ব নিম্ন সময় তিন দিন দয়া করে এটা কথাটার রেফারেন্স দিন। ৩দিন, ১০দিন, এক চিল্লা, ৩ চিল্লা আল্লার রাস্তায় বেরুনো সাথে সাওমের এই হাদিসের সম্পর্ক কি?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১০
ইনফা_অল বলেছেন: আপনি বলছেন, “কুরআনে বর্ণীত সুরা নাজিলের পেছনে প্রেক্ষাপট আছে, যা আপনি পড়ে এর প্রকিত অর্থ নাও বুঝতে পারেন”
আর আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি”? সুরা আল ক্বামারঃ আয়াতঃ ১৭, ২২, ৩২ এবং ৪০ এখন বলুন আমি কোন বক্তব্য গ্রহন করবো! অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৭
ইনফা_অল বলেছেন: সুরা মুমিনুন এ আল্লাহ বলেন, “এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিন্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুন রূপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যাণময়”। (Al-Muminoon: 14)
সুরা আল হাজ্জ আয়াতঃ৫ এ আল্লাহ বলেন, “হে লোকেরা! যদি তোমাদের মৃত্যু পরের জীবনের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে তোমরা জেনে রাখো, আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে, তারপর শুক্র থেকে,তারপর রক্তপিণ্ড থেকে, তারপর গোশতের টুকরা থেকে, যা আকৃতি বিশিষ্টও হয় এবং আকৃতিহীনও৷ (এ আমি বলছি) তোমাদের কাছে সত্যকে সুস্পষ্ট করার জন্য৷ আমি যে শুক্রকে চাই একটি বিশেষ সময় পর্যন্ত গর্ভাশয়ে স্থিত রাখি, তারপর একটি শিশুর আকারে তোমাদের বের করে আনি, (তারপর তোমাদের প্রতিপালন করি) যাতে তোমরা নিজেদের পূর্ণ যৌবনে পৌঁছে যাও৷ আর তোমাদের কাউকে কাউকে তার পূর্বেই ডেকে ফিরিয়ে নেয়া হয় এবং কাউকে হীনতম বয়সের দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়, যাতে সবকিছু জানার পর আবার কিছুই না জানে৷আর তোমরা দেখছো যমীন বিশুষ্ক পড়ে আছে তারপর যখনই আমি তার ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করেছি তখনই সে সবুজ শ্যামল হয়েছে, স্ফীত হয়ে উঠেছে এবং সব রকমের সুদৃশ্য উদ্ভিদ উদগত করতে শুরু করেছে”৷
হাদিসে আছে, উমর ইবনু হাফস (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, সত্যবাদী-সত্যনিষ্ট হিসাবে স্বীকৃত রাসূল ﷺ বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান স্বীয় মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত জমা রাখা হয়। এরপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা আলাকারুপে পরিণত হয়। তারপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা গোশ্তের টুকরার রূপ লাভ করে। এরপর আল্লাহ তার কাছে চারটি বিষয়ের নির্দেশ নিয়ে একজন ফিরিশ্তা পাঠান। সে তার আমল, মৃত্যু, রিয্ক এবং সে কি পাপি হবে না পুণ্যবান হবে, এসব লিখে দেন। তারপর তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দেয়া হয়। (ভুমিষ্টের পর) এক ব্যাক্তি একজন জাহান্নামীর আমলের ন্যায় আমল করতে থাকে এমনকি তার ও জাহান্নামীদের মধ্যে এক হাতের ব্যবধান থেকে যায়, এমন সময় তার ভাগ্যের লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জান্নাতবাসীদের আমলের ন্যায় আমল করে থাকে। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। আর এক ব্যাক্তি (প্রথম হতেই) জান্নাতবাসীদের আমলের অনুরুপ আমল করতে থাকে। এমন কি শেষ পর্যন্ত তার অ জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাতের ব্যবধান থেকে যায়। এমন সময় তার ভাগ্যের লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জাহান্নামীদের আমলের অনুরূপ আমল করে থাকে এবং পরিণতিতে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। সহীহ বুখারি (ইফা) | অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা| হাদিস নাম্বার: 2980
আল্লাহ এখানে তাঁর মানুষ সৃষ্টি রহস্য বর্ননা করেছেন। হাদিসে তাই বর্নিত আছে। আপনার তিন চিল্লার রেফারেন্স তো পাওয়া গেল না । আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান দান করুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১৪
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: বেকারদের জন্য পুরো জীবনটাই 'ছিল্লা'।