নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে চারিদিকে। আমি সে দিকে যাব না, আমার বক্তব্য হল- "এদের কে তো আমরাই কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছি।
হজ্জ করে এসে আমি যদি আগের মতই বে-নামাযী থাকি, ঘুষ খাই, পর-নিন্দা করি, অন্যার জমি দখল করি, খুন-খারাবীতে লিপ্ত থাকি, গান-বাজনা তে ব্যাস্ত থাকি, ব্যাভিচারে লিপ্ত থাকি তবে পাশের লোক (সে হিন্দু হোক বা হজ্জ না করা মুসলমান) হজ্জ কে তো গাল-মন্দ করবেই। যদিও এটা হজ্জের দোষ না দোষটা হল যিনি বা যারা হজ্জ করে এসেছেন তার। সুতরাং হজ্জ ফেরত লোকদের খুব সাবধানতার চলতে হবে পরিপূর্ন তাকওয়ার সাথে"।
আসুন আমরা জেনে নেই তাকওয়া কি?
তাকওয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে খোদাভীতি তথা গোনাহ থেকে আত্মরক্ষা করা। হজরত ওমর (রা.) একবার হজরত কাব আল আহবারকে তাকওয়ার সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আপনি কি কখনও কণ্টকাকীর্ণ পথে চলেছেন, হজরত ওমর (রা.) বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, তখন আপনি কি রূপ সতর্কতা অবলম্বন করেন। হজরত ওমর (রা.) বলেন, আমি পরিধেয় বস্ত্র সংযত করে চলি। হজরত কাব (রা.) বলেন, এটাই হচ্ছে তাকওয়া। এ কথা থেকে বোঝা যায়, পৃথিবীতে পাপ-পঙ্কিলতার কাঁটা ছড়ানো-ছিটানো রয়েছে। তা হতে সতর্কভাবে আত্মরক্ষা করে চলার নাম হচ্ছে তাকওয়া। তাকওয়া অবলম্বনকারীকে মুত্তাকি বলা হয়। আল্লাহপাক মুত্তাকির পরিচয় দিয়ে বলেন, 'পবিত্র কোরআন হচ্ছে মুত্তাকিদের জন্য পথনির্দেশক, যারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে, আল্লাহর দেয়া জীবিকা থেকে ব্যয় করে এবং যারা আপনার প্রতি যা নাজিল করা হয়েছে এবং আপনার আগে যা নাজিল করা হয়েছে তার প্রতি ঈমান আনে এবং আখেরাতের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।' (সূরা বাকারা : ৩-৪)।পবিত্র কোরআনে তাকওয়া শব্দটি এসেছে ১৫ বার। তাছাড়া আল্লাহ তায়ালা 'ইত্তাকু' শব্দটি কোরআনে বহুবার উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ 'তোমরা ভয় করো' যেমন আল্লাহপাক এরশাদ করেন, 'হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করো এবং মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ করো না।' (সূরা আলে ইমরান : ১৩)। আরও উল্লেখ আছে, 'তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি বেশি মর্যাদাবান যে তোমাদের মধ্যে বেশি মুত্তাকি।' (সূরা হুজরাত : ১৩)। - See more at: Click This Link
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
ইনফা_অল বলেছেন: চেষ্টা করেছি রিয়েলিটিটা বলার। পড়ার জন্য ধন্যবাদ
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮
আহসান২০২০ বলেছেন: ভাইজান যা লিখলেন না!!! হজ্ব করে এসে আপনার উপরোক্ত ক্রিয়াগুলি করেছে এমন কোন হাজী আমি আজ পর্যন্ত দেখি নাই। কারণ আমার স্বল্পায়ুতে যে কয়েকজন হাজী দেখেছি তারা বৃদ্ধ হওয়ার পরই হয় জমানো টাকা, না হয় জমি বিক্রি তাও না হলে ছেলের আংশিক উপার্জনের টাকা (ছেলে উদারহস্তে বাবাকে দিয়েছে) নিয়ে হজ্জ করতে গেছেন। তাই আপনার বিশ্লেষনের অপ-বিশেষণসমুহ আমি মানতে পারলাম না। দুঃখিত।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
ইনফা_অল বলেছেন: আমিও দুঃখিত তারা আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। বেশিদূর যাওয়া লাগবে না। লতিফ সিদ্দিকী যেহেতু মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং এম।পি এবং রাজনীতেবিদ সেই গ্রপগুলির দিকে নজর দিন আমার মন্তব্যের সত্যতা পেয়ে যাবেন। ব্যবসায়িক হজ্জ ফেরত ব্যাক্তিদের কথা নাই বললাম।
গ্রামের পাতি নেতা, সরকারী কর্মচারী/কর্মকর্তা এদের কথাও নাই বললাম।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
ঢাকাবাসী বলেছেন: যত ঘুষখোর অফিসার দেখেছি অধিকাংশই হজ্ব করেই এসেছিল!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫
ইনফা_অল বলেছেন: তাই তো দেখা যায়। কিন্তু সৎ অফিসারও কিছু আছে।
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি খুব ভাল একটা পয়েন্ট নিয়ে লিখেছেন, ভাই। হজের যে আসল উদ্দেশ্য তা যদি পুরণ না হয়, তবে বলতেই হবে এটা একটা নেহায়েত লোক দেখানো অপচয় মাত্র। তবে হজ থেকে তাকওয়া অর্ঝন করা লোকও নিশ্চই অনেক আছে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২২
ইনফা_অল বলেছেন: 'হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করো এবং মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ করো না।' (সূরা আলে ইমরান : ১৩)
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধনয়বাদ।