নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগঃ লোকটা কি আসলে বোকা নাকি!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫

“আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা, দেশের মানুষের শান্তি চাই।”- না, এটা আমার কথা নয়। এটা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা। তিনি না চাইলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী!



সংবাদে দেখলাম দক্ষিন কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চাং হং-উন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ফেরিডুবি প্রতিরোধ ও উদ্ধার তৎপরতায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে এ ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদটা শুনে খুব অবাক হলাম। ইনার তো বাংলাদেশে এসে রাজনীতির তালিম নেওয়া প্রয়োজন ছিল।



তিনি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর মত ঢাকঢোল পিটিয়ে শান্তি কামনা করেন নাই। তিনি কাজে প্রয়োগ করিয়ে দেখিয়েছেন।

ফেরিডুবিতে ১৮৭ জন শিক্ষক ও ছাত্র মারা গিয়েছেল। আর এতেই পদত্যাগ!



আমাদের শিক্ষকরা রাজপথে তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ে আন্দোলন করলে তাদের গুলি ও গরম পানি নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়।



মাত্র শতাধিক লোকের মৃত্যুতেই দক্ষিন কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। অথচ তাজরিন গার্মেন্টস এ আগুন বা রানা প্লাজা ধ্বসে সহস্রাধিক লোকের মৃত্যুতে পদত্যাগ তো আশাতীত ব্যাপার, মহান সংসদে এ বিষয়ে কথা বলার সময়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী হাস্যজ্বল ভঙ্গিতে বলেন, যারা মারা গেছেন তারা মালামাল সরাতে গিয়ে বের হতে পারেনি। আরও বলেন, এরকম দুর্ঘটনা হতেই পারে।



আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীর উদ্ভাবন করেছিলেন, তার সেই কুখ্যাত হাস্যরসের 'ঝাকুনি ত্তত্ব'। আমাদের কারও পদত্যাগ তো দূরের কথা দায়িত্ব থেকে জোর করে সরিয়ে দিলেও আমাদের রাজনীতিবিদরা পদত্যাগ করে না। যেমনঃ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর এপিএস এর পচাত্তর লাখ টাকার কেলেংকারি ধরা পড়ার পর তাকে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরও বেহায়ার মত দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছেন।



আমরা এসব দেখে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, দক্ষিন কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দেখে বলতে ইচ্ছা করছে লোকটা কি আসলে বোকা নাকি!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কবে যে ওরা বাংলাদেশের মতো শিক্ষিত হবে ?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ওদের বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে রাজনীতির তালিম নিতে হবে, বেহায়াপনা শিখতে হলে।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: উনাকে আমাদের সরকারের কাছে কোর্স করতে দেওয়া হোক। ৭ দিনে পূর্নাংগ মিথ্যা বলা এবং লাড়া-চাড়া তত্ব

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: তাই ভাবছি! আমাদের রাজনীতিবিদরা পরামর্শক হিসেবেও সাহায্য করতে পারতেন৷

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

ধৈঞ্চা বলেছেন: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দ: কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাস করলে উনি হয়ত এমন কিছু বলতেন---
"এরকম তুচ্ছ ঘটনায় পদত্যাগ করার জন্য জনগণের ম্যাণ্ডেট নিয়া সরকারে আসিনি, সরকারে এসেছি চেতনা বাস্তবায়নের জন্য, যতদিন চেতনা বাস্তবায়ন না হবে ততদিন পদত্যাগ নয়"

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: সুযোগ থাকলে আমাদের রাজনীতিবিদরা এই পদত্যাগের নিন্দা জানাত।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

শামীম আনসারী বলেছেন: সত্যিই, কতটা নির্লজ্জ আমাদের রাজনীতিকরা!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আমাদের দেশের রাজনীতিবিদের কার্যকলাপ দেখতে দেখতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগকে রূপকথার গল্পের মত মনে হচ্ছে!

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

ভিটামিন সি বলেছেন: ওই প্রধানমন্ত্রীর তো আর রাজাকারের সাথে আত্মীয়তা নেই, যে কারণে এই রাজনীতিটা এখনো শিখে উঠে নাই। আর আমাদের তো রাজাকার ফ্যামিলিতে প্রধানমন্ত্রী মেশিন রাজাকার উৎপাদনের মেশিন বসাইছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১০

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: রাজাকারের সাথে আত্মীয়তা হলেও এরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

nurul amin বলেছেন: হালারপুতে কত বড় ভূল করল?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১২

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: উনি হয়ত ঠিকই করেছে। কারণ তিনি নিজের জন্য নয় দেশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করেন।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশও এমনটা হতে পারতো।
বাংলাদেশে সেই সুদিন এখনো আসেনি।

কোরিয়ান বা ভারতীয়রা পেরেছে, কারন সেদেশের মুল বিরোধী দলে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বা স্বাধীনতা যুদ্ধ বিরোধীরা নেই।

আমাদের দেশের প্রধান বিরোধীদলটি মুক্তিযুদ্ধের মুল বিপক্ষ শক্তিকে নিয়ে জোট বেধেছে।

তারা কখনোই ২৬সে মার্চ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের কোন দিবস মানে না।

১৭ এপ্রিল 'মুজিবনগর দিবস' মানে না, পালনও করে না।
৬ দফা দিবসও মানে না।
৭ই মার্চও পালন করে না।
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসও মানে না,
বলে ভারতীয়দের কাছে আত্নসমর্পন, ভারতীয়দের বিজয়।
বলে - "মুজিব পাকিস্থানী হিসাবে পাকিস্থানী পাসপোর্টে দেশে আসেন"
এখন বলছে মুজিবের ক্ষমতাগ্রহন অবৈধ,

তার মানে তাদের কাছে আগের সরকার ইয়াহিয়া সরকার জেনুইন!

এইসব ছাগলদের হাত শক্তিশালি করার জন্যে পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১০

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: কিন্তু এরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলে নৈতিকতা থাকবে না, দুর্নীতিতে জর্জরিত থেকে বিরোধীপক্ষের চেয়ে উত্তম দাবী করাও ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.