নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপদগ্রস্ত ও শোকাহত মানুষের সাথে তামাশা করা মানসিক ভারসাম্যহীনতার পরিচয়!

০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

শুধুমাত্র মানসিক ভারসাম্যহীনরাই বিপদগ্রস্ত মানুষের সাথে তামাশা করতে পারে৷ কোন সুস্থ ও বিবেকবান মানুষের পক্ষেই আতঙ্কিত, নিরাপত্তাহীন, স্বজনহারা মানুষের সাথে মশকরা করা সম্ভব নয়৷



আমাদের দেশের কোন চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড, অপহরণের ঘটনায় দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন অপরাধীদের গ্রেফতার করার জন্য৷ এরপর পরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আদাজল খেয়ে নেমে পড়ে অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য৷



প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ না পেলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পর্যন্ত কিছুই করতে পারেন না৷ তিনিও অপেক্ষায় থাকেন উপরের নির্দেশের৷ তারমানে কোনটা অপরাধ আর কোনটা অপরাধ নয় অথবা কোন অপরাধীকে আটকের চেষ্টা চালাতে হবে আর কোন অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে অভিযান চালাতে হবে এর সবই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছুই করার ক্ষমতা নাই৷



প্রধানমন্ত্রীই কে অপরাধী আর কে অপরাধী নয় তা তার কার্যালয়ে বসে নির্ধারণ করেন৷ তিনি তার কার্যালয়ে বসে যেহেতু নির্ধারণ করেন সেহেতু যত দ্রুত নির্দেশ দিতে পারেন তত দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কাজে নেমে পড়তে পারে৷ যেমনঃ রিজওয়ানার স্বামীর উদ্ধারে তিনি দ্রুত নির্দেশ দেওয়ায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল৷ যদিও তাকে কে অপহরণ করেছিল এটা জানা যায়নি৷ এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারও চাপেও তাকে ফেরত দিয়েছিল এমনটাও জানা যায়নি৷ বরং অপহরণকারীরা নিজেরাই ছেড়ে দিয়ে যাওয়ায় অনেকে এটাকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর সাজানো নাটকও মনে করেন৷



কথা হল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর যেকোন অভিযান শুরু করাতে একটা বিষয় পরিস্কার যে, দেশের লিখিত আইন দ্বারা সংজ্ঞায়িত অপরাধ কর্ম এখন পুরোপুরি অচল৷ শুধু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত কথাটাই আইন বলে বিবেচিত৷



নারায়নগঞ্জের অপহরণের ক্ষেত্রেও আমরা দেখলাম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের অপেক্ষা করতেছিলেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও! সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথা উল্লেখ করাই বাহুল্য! যাইহোক প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন ঠিকই৷ কিন্তু নির্দেশ প্রদানের জন্য অপেক্ষা করলেন তিনদিন৷ ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে৷ তারপরও নিজ দলের লোক হওয়ায় তার নির্দেশ দেরিতে হলেও পাওয়া গিয়েছিল৷ কিন্তু অধিকাংশ সাধারণ মানুষ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে কখনই তাদের উদ্ধারের নির্দেশ আসে না৷ আর ফলাফল তো আমরা নিয়মিতই পাচ্ছি৷



যাইহোক এবার আসি সেই প্রথমের কথায়৷ প্রধানমন্ত্রী যেহেতু অপরাধ কর্ম ও অপরাধী নির্ধারণ করে দেন তার কার্যালয়ে বসে সেহেতু নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশের অপরাধীদের তারই নির্ধারন করার কথা! আমরা ভালভাবেই একটা বিষয় অনুধাবন করতে পারি বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবন বাঁচানোই দায় সেখানে দিনে দুপুরে রাস্তার মধ্য থেকে সাত আটজন মানুষকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার মত দুঃসাহস দেখানো অসম্ভব ব্যাপার৷ সাধারণ মানুষও সেটা মনে করে না৷ নিহতের আত্মীয়স্বজনও সরাসরি নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে দায়ী করছে৷ কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী অপহরণের ঘটনায় সরাসরি বিএনপি জামায়াতকে দায়ী করলেন৷ তিনি প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য ও তাদের অপরাধ কর্মে উৎসাহিত করার জন্য উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে নিহতের শোকাহত আত্মীয়স্বজন তথা দেশবাসীর সাথে তামাশা করে নিজের মানসিক ভারসাম্যহীনতার প্রমাণ দিলেন৷

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবন বাঁচানোই দায় সেখানে দিনে দুপুরে রাস্তার মধ্য থেকে সাত আটজন মানুষকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার মত দুঃসাহস দেখানো অসম্ভব ব্যাপার৷

০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: তাদের নিজেদের জীবন নিয়েই ত্রাহি অবস্থা! সেখানে অপহরণের চিন্তা দুঃস্বপ্ন বৈকি!

২| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ৮:৫০

দুরন্তু পথিক বলেছেন: সরকার নারায়নগঞ্জবাসীর সাথে খেলা করছে । আমরা নারায়নগঞ্জে এই সরকার এবং শামীম ওসমানের হাতে নিরাপদ নই ।

০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ৯:০১

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: শুধু নারায়ণগঞ্জ কেন? দেশের কোথায় নিরাপত্তা আছে মানুষের? নারায়ণগঞ্জে হয়ত পরিমাণে একটু বেশি? সরকারের এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কিছু করার ক্ষমতাও নাই। কারণ বিনা ভোটের সরকারের জনগণের সাথে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় সন্ত্রাসীদেরকে পুষে দেশ চালাতে হচ্ছে। একে তো জনগণ পাশে নাই, এরপর এসব সন্ত্রাসীও যদি পাশে না থাকে তাহলে শুধু প্রশাসন দিয়ে গণআন্দোলন প্রতিহত করা কঠিন হয়ে পড়বে। জনবিচ্ছিন্ন সরকার যত দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, দেশে ততদ্রুত শান্তি ফিরে আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.