নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশকে ব্যবহার করলেও র্যাবকেও এভাবে ব্যবহার করা কি ঠিক হচ্ছে?

০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২৪

আমাদের দেশের সরকারী দল মাঝে মধ্যে পরিবর্তিত হলেও পুলিশ কখনও দল বদলায় না৷ পুলিশের দল একটাই৷ আর সেটার নাম হল 'সরকারী দল'!



আর যাই হোক পুলিশের উপর আস্থা রাখা যায়৷ তার মানে পুলিশের কাজ কর্ম আনপ্রেডিক্টেবল না৷ আমি বুঝাতে চেয়েছি পুলিশ কি করতে পারে তা পূর্বানুমান করা সম্ভব৷ এরা সরকার বিরোধীদের উপর সিদ্ধহস্ত৷ পান থেকে চুন খসলেই পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে ফেলতে এদের জুড়ি নেই৷ কিন্তু সরকারী দলের ক্ষেত্রে বড়ই অমায়িক৷ সরকারী দলের শত অন্যায় এদের চোখে পড়ে না৷ তবে মাঝে মাঝে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের কৃত অন্যায় কর্ম সরকার বিরোধীদের উপর চাপিয়ে নির্যাতন চালায়!



পুলিশের চাকরিতে বড্ডো মজা আছে৷ পুলিশের চাকরি মানেই সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ইচ্ছামতো পিটানোর আনন্দ৷ যখন যে দল বিরোধীদলে যায় সেই দলের নেতাকর্মীদেরই পিটানোর সুবর্ণ সুযোগ চলে আসে৷ তারমানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শুধু পুলিশের হাতে মার খায় কিন্তু পুলিশকে মারার সুযোগ তাদের কোনদিনই আসে না৷



আমার এই লেখার উদ্দেশ্য আসলে পুলিশের বাহাদুরীর বর্ণনা দেওয়ার জন্য নয়৷ প্রশাসনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের কুফল কতটা ভয়ানক হতে পারে সেটা নিয়েই লেখা৷



র্যাব গঠিত হওয়ার সাথে সাথে আর একটা শব্দের সাথেও আপামর জনসাধারণের পরিচয় ঘটে৷ সেই শব্দটি হল 'ক্রসফায়ার'৷ প্রথমদিকে ক্রসফায়ার নামক নাটকটির প্রয়োগ হত শুধুমাত্র চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে৷ সাধারণ কয়েকটি হত্যা মামলাসহ অনেকগুলো মামলার আসামী ও এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিতদের উপর এর প্রয়োগ হত৷ আইনি ও মানবিক দিক দিয়ে এটি অত্যন্ত খারাপ হলেও এলাকার শান্তির জন্য অধিকাংশ মানুষ এতে স্বস্তি পেত৷ কিন্তু কিছু দিন পর থেকেই এটাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দলীয় কাজেও ব্যবহার শুরু হয়৷ সাথে সাথেই এটা নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়৷



বর্তমানে র্যাব বা ক্রসফায়ার কোনটিই সন্ত্রাসীদের দমনে ব্যবহার হয় না বললেই চলে৷ এটা এখন সরকার বিরোধীদের দমনে খোলামেলাভাবে ব্যবহার করা হয়৷ এখন সরকার বিরোধীদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বা জোর করে ধরে গুলি করে হত্যা করে ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেওয়া হয়৷



এখন যেভাবে বিরোধী মত দমনে ক্রসফায়ার দেওয়া হচ্ছে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এর বিপরীতমুখী প্রয়োগ ঘটবে বলে ধরে নেওয়া যায়৷ যদিও আমরা আশা করব এমন কিছু না ঘটুক৷ তবে দেশের প্রথাগত প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এর চেয়েও ভয়াবহ ভাবে প্রয়োগ হতে পারে বলেই আমাদের ধারণা৷



সবকিছু ছাপিয়ে র্যাব এর ব্যবহার বর্তমানে আরও ভয়ানক হয়েছে বলেই শোনা যাচ্ছে৷ র্যাব নাকি বর্তমানে ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করছে৷ জননিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে এরা সাধারণের আতঙ্ক হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে৷ নারায়নগঞ্জের সেভেন মার্ডারেও নাকি র্যাব ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে৷ সরকার দলীয় লোকও যেখানে নিরাপত্তা পায় না, সেখানে সাধারন জনগণ অতি তুচ্ছ৷



র্যাব ক্রসফায়ার নাটক মঞ্চস্থ করতে করতে এখন পেশাদার খুনিতে পরিণত হয়েছে৷ সময় এসেছে র্যাবকে নিয়ে ভাববার৷ এরা যে সাধারণ জনগণের টাকায় পালিত টাকায় পালিত হয়, সেই সাধারণ জনগণকে বিনা দোষে প্রফেশনাল কিলারদের মত হত্যা করছে৷ এভাবে চলতে থাকলে নিরাপত্তার জন্য সাধারণ মানুষের আর কোন পথই খোলা থাকবে না৷

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.