![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।
আমাদের দেশের সরকারী দল মাঝে মধ্যে পরিবর্তিত হলেও পুলিশ কখনও দল বদলায় না৷ পুলিশের দল একটাই৷ আর সেটার নাম হল 'সরকারী দল'!
আর যাই হোক পুলিশের উপর আস্থা রাখা যায়৷ তার মানে পুলিশের কাজ কর্ম আনপ্রেডিক্টেবল না৷ আমি বুঝাতে চেয়েছি পুলিশ কি করতে পারে তা পূর্বানুমান করা সম্ভব৷ এরা সরকার বিরোধীদের উপর সিদ্ধহস্ত৷ পান থেকে চুন খসলেই পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে ফেলতে এদের জুড়ি নেই৷ কিন্তু সরকারী দলের ক্ষেত্রে বড়ই অমায়িক৷ সরকারী দলের শত অন্যায় এদের চোখে পড়ে না৷ তবে মাঝে মাঝে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের কৃত অন্যায় কর্ম সরকার বিরোধীদের উপর চাপিয়ে নির্যাতন চালায়!
পুলিশের চাকরিতে বড্ডো মজা আছে৷ পুলিশের চাকরি মানেই সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ইচ্ছামতো পিটানোর আনন্দ৷ যখন যে দল বিরোধীদলে যায় সেই দলের নেতাকর্মীদেরই পিটানোর সুবর্ণ সুযোগ চলে আসে৷ তারমানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শুধু পুলিশের হাতে মার খায় কিন্তু পুলিশকে মারার সুযোগ তাদের কোনদিনই আসে না৷
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য আসলে পুলিশের বাহাদুরীর বর্ণনা দেওয়ার জন্য নয়৷ প্রশাসনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের কুফল কতটা ভয়ানক হতে পারে সেটা নিয়েই লেখা৷
র্যাব গঠিত হওয়ার সাথে সাথে আর একটা শব্দের সাথেও আপামর জনসাধারণের পরিচয় ঘটে৷ সেই শব্দটি হল 'ক্রসফায়ার'৷ প্রথমদিকে ক্রসফায়ার নামক নাটকটির প্রয়োগ হত শুধুমাত্র চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে৷ সাধারণ কয়েকটি হত্যা মামলাসহ অনেকগুলো মামলার আসামী ও এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিতদের উপর এর প্রয়োগ হত৷ আইনি ও মানবিক দিক দিয়ে এটি অত্যন্ত খারাপ হলেও এলাকার শান্তির জন্য অধিকাংশ মানুষ এতে স্বস্তি পেত৷ কিন্তু কিছু দিন পর থেকেই এটাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দলীয় কাজেও ব্যবহার শুরু হয়৷ সাথে সাথেই এটা নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়৷
বর্তমানে র্যাব বা ক্রসফায়ার কোনটিই সন্ত্রাসীদের দমনে ব্যবহার হয় না বললেই চলে৷ এটা এখন সরকার বিরোধীদের দমনে খোলামেলাভাবে ব্যবহার করা হয়৷ এখন সরকার বিরোধীদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বা জোর করে ধরে গুলি করে হত্যা করে ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেওয়া হয়৷
এখন যেভাবে বিরোধী মত দমনে ক্রসফায়ার দেওয়া হচ্ছে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এর বিপরীতমুখী প্রয়োগ ঘটবে বলে ধরে নেওয়া যায়৷ যদিও আমরা আশা করব এমন কিছু না ঘটুক৷ তবে দেশের প্রথাগত প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এর চেয়েও ভয়াবহ ভাবে প্রয়োগ হতে পারে বলেই আমাদের ধারণা৷
সবকিছু ছাপিয়ে র্যাব এর ব্যবহার বর্তমানে আরও ভয়ানক হয়েছে বলেই শোনা যাচ্ছে৷ র্যাব নাকি বর্তমানে ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করছে৷ জননিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে এরা সাধারণের আতঙ্ক হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে৷ নারায়নগঞ্জের সেভেন মার্ডারেও নাকি র্যাব ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে৷ সরকার দলীয় লোকও যেখানে নিরাপত্তা পায় না, সেখানে সাধারন জনগণ অতি তুচ্ছ৷
র্যাব ক্রসফায়ার নাটক মঞ্চস্থ করতে করতে এখন পেশাদার খুনিতে পরিণত হয়েছে৷ সময় এসেছে র্যাবকে নিয়ে ভাববার৷ এরা যে সাধারণ জনগণের টাকায় পালিত টাকায় পালিত হয়, সেই সাধারণ জনগণকে বিনা দোষে প্রফেশনাল কিলারদের মত হত্যা করছে৷ এভাবে চলতে থাকলে নিরাপত্তার জন্য সাধারণ মানুষের আর কোন পথই খোলা থাকবে না৷
©somewhere in net ltd.