নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের পরে ছেলেরা নাকি সুশৃঙ্খল হয়৷ কিন্তু সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা!

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০০

সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেট এর গর্ব৷ কিন্তু ইদানিং তাকে নিয়ে হইচই খুব বেশি হচ্ছে৷ আসলে সেই হইচই করার উৎস তৈরি করে দিচ্ছে৷ অবশ্য ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে অনেকটা ভদ্র টাইপের থাকলেও ইদানিং তার আচরণটা মাঝে মধ্যে ক্রিকেটার সুলভ থাকছে না৷ বিসিবিও মাঝেমধ্যে তাকে নিয়ে বাড়াবাড়িটা ঠিক বাড়াবাড়ির পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে৷



বিয়ের পর নাকি ছেলেরা সুশৃঙ্খল হয়ে ওঠে৷ কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে সেটা ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে৷ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ চলাকালে সাকিব ভুলভাবে আউট হয়ে ফিরলে তার দিকে টিভি ক্যামেরা যেতেই তার স্পর্শকাতর অঙ্গ যেটা নাকি তার স্ত্রীকেই প্রদর্শন করার কথা সেটা সে ক্যামেরার বদৌলতে বিকৃত ভঙ্গিতে বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছিল৷ সেটা নিয়ে বিসিবিও বাড়াবাড়ি করে জরিমানা, নিষেধাজ্ঞা সবই আরোপ করেছিল৷ দেশের প্রতি বিন্দুমাত্র কমিটমেন্ট থাকলে সাকিবের আউট নিয়ে অনুতপ্ত হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সে করেছিল উল্টোটা৷



কিছুদিন আগে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ চলাকালে সাকিবের স্ত্রীকে কেউ ইভটিজিং করায় সাকিব সেখানে গিয়ে সেই ছেলেদের সাথে ধস্তাধস্তি করেছিল৷ কিন্তু নিয়মানুযায়ী ম্যাচ চলাকালীন কোন খেলোয়াড়ের ড্রেসিংরুমের বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ৷ যদিও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইভটিজিং শুনে যে কারও মাথা গরম হতে পারে৷ তবে সাকিবের মত কোন ব্যক্তিকে নিশ্চয়ই নিয়ম ভেঙ্গে সাধারণ ছেলেদের মত ধস্তাধস্তি মানায় না৷ বিসিবির সিকিউরিটি ছিল তাদের ইনফর্ম করলেই আরও ভাল সমাধান পাওয়া যেত আশাকরি৷ সাকিবের স্ত্রীরও ম্যাচ চলাকালীন সময়ে স্বামীর মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটিয়ে এরকম নালিশ করাটাও ঠিক হয়নি৷ তাছাড়া সাকিবের স্ত্রীকে নিয়ে ইভটিজিং এই প্রথম নয়৷ এর আগে বিমানবন্দরসহ আরও কয়েকবার শোনা গেছে যা আমাদের আরও অনেক খেলোয়াড় আছে যাদের স্ত্রী নিয়ে কেউ কটু কথা তো বলেই না৷ বরং সবাই শ্রদ্ধা করে বলেই আমার বিশ্বাস৷ সুতরাং সাকিবের স্ত্রীর ক্ষেত্রে কেন বারবার এই ঘটনাটা ঘটছে সেটা তারা সচেতন হলেই ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করি৷



সর্বশেষ সিপিএল এ খেলা নিয়ে আবার বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ ঐ টুর্নামেন্টে খেলতে না দিলে সাকিব আল হাসান টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার হুমকী দিয়েছে৷ এদিকে সিপিএল এ খেলতে যাওয়ার আগে বিসিবির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমতি নেয়নি বলে হইচই শুরু করেছে বিসিবি৷ বিষয়টা নিয়ে মনে হয় এত হট্টগোল না করে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করা যেত৷



সাকিব যেমন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও সাকিবের জন্য এরকম গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত৷ আজকের এই সাকিব হয়ে ওঠার পিছনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলই ছিল একমাত্র প্লাটফর্ম৷ বাংলাদেশ দলে না খেললে আজকের এই সাকিব হয়ে ওঠা হত না৷ নিজেকে অপরিহার্য মনে করে যা খুশি তাই বলে দেওয়া বা করা নিশ্চয় জাতীয় দল তথা দেশের প্রতি দায়িত্বহীনতার প্রকাশ৷ বিসিবিও অন্য উপায়ে বিষয়টা সমাধান করতে পারত৷ তা না করে বিষয়টা জটিল করে তুলছে৷

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অহংকারই পতনে মূল। অপেক্ষা করলেই দেখবেন।।

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৬

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: অবশ্যই অহংকার পতনের মূল৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৪

রাজিব বলেছেন: সাকিব কালকে মারা গেলে বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়ে যাবে বা সাকিব খেলার আগে কি বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলা হতো না। তবে সিপিএল এ খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে আমি সাকিবের কোন দোষ দেখিনা। বাংলাদেশের পরের সিরিজ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তাই সেখানকার কোন টুর্নামেন্ট খেলাতে দোষের কি আছে? বরং সেখানকার কন্ডিশনে সাকিবের সত্যিকারের ম্যাচ প্র্যাকটিস হবে যা বর্ষা কালে বাংলাদেশে বসে ক্যাম্প করার থেকে অনেক ভাল। এটা বোঝার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হবার দরকার নেই।
মেসি সারা বছর স্পেনে খেলে, নেয়মার সারা বছর স্পেনে খেলে আবার জাতীয় দলের খেলার জন্য কয়েকদিনের জন্য আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে চলে আসে। এখন মেসিকে যদি বলা হয় বার্সেলোনাতে খেলা বাদ দিয়ে আর্জেন্টিনায় প্র্যাকটিস ক্যাম্প করতে হবে তাহলে মেসি নেয়মাররাও একই হুমকি দেবে।
দেশের প্রতি ও জাতীয় দলের প্রতি সাকিবের কমিটমেন্ট নিয়ে আমাদের কখনোই কোন সন্দেহ নেই। সে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছে এবং বিশ্ব ক্রিকেট র‍্যাঙ্কিং এ সাকিবের আগে কেউ কখনো ১ নম্বর আসন কি পেয়েছিল? সাকিব আইপিএল, বিগ ব্যাশ এবং সিপিএল এ খেলছে। এমনকি কাউন্টি ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছে।
আর তার বিয়ে ও বউ নিয়ে কটাক্ষ করছেন? ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের দিকে একটু দয়া করে তাকান এবং তাদের নারী ঘটিত কেলেংকারি নিয়ে ইন্টারনেটে একটু ঘাঁটুন। দেখবেন প্লেবয় ইমরান খানের বিয়ের বাইরে হওয়া সন্তানের কাহিনী, অমুক ভারতীয় প্লেয়ার রাত ১২ টার পর তমুক মডেলের বাড়িতে হাজির। সাকিব এ দিক দিয়ে খুবই ভাল একজন মানুষ। সে যাকে বিয়ে করেছে তাকেই মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসে। এত অল্প বয়সে সাফল্য ও টাঁকা পাবার পরও কোন মডেলের বা অভিনেত্রীর বা চিয়ার লিডারের সঙ্গে তার কোন কাহিনী শোনা যায়নি।
বিয়ের পরকি সাকিবের ফর্ম পড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র ধারাবাহিক পারফর্মার সে। ক্রিকেট বোর্ড চাইলে খুব সহজেই এ বিবাদ মিটিয়ে ফেলা যায়। সাকিবের সঙ্গে বসে আন্তরিক ভাবে আলাপ করে এটি মিটিয়ে ফেলা কি খুব কঠিন।

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: সিপিএল এ খেলা নিয়ে আমিও কোন দোষ দেখি না৷ সেখানে খেলতে যাওয়া নিয়ে কেউ প্রশ্নও তোলেনি৷ নতুন কোচ খেলোয়াড়দের সম্পর্কে তার কোন ধারণাও নাই৷ তাই সে হয়ত চেয়েছিল কয়েকদিন একসাথে ক্যাম্প করতে৷ সেক্ষেত্রে সিপিএল এর কয়েকটি ম্যাচ বাকী থাকতে তাকে ফিরে আসতে বলেছিল৷ সিপিএল এ খেলতে নিষেধ করে নাই৷ মেসি, নেইমারদের উদাহরণ দিলেন৷ তারাও জাতীয় দলের পুরো ক্যাম্পে উপস্থিত থাকতে না পারলেও কোচের নির্দেশ অনুযায়ী কিছুদিনের জন্য হলেও ক্যাম্প করতে বাধ্য থাকে৷ কারণ দলীয় খেলায় একসাথে কমপক্ষে কিছুদিনের জন্য হলেও একসাথে অনুশীলন করা অপরিহার্য৷ তা না হলে সবাই সারাবিশ্বে খেলত৷ আর জাতীয় দলের খেলা শুরুর আগে যোগ দিয়ে মাঠে খেলতে নামত৷ আপনি বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের চরিত্রের উদাহরণ দিলেন৷ আমার লেখায় কোথায় বলেছি সে অন্য মহিলাদের প্রতি আসক্ত হয়েছে?
আপনি বলেছেন, 'তার স্ত্রীকে খুব ভালবাসে৷' এটা নিয়ে আমারও কোন সন্দেহ নাই৷ নিশ্চয়ই অন্য খেলোয়াড়রাও তাদের স্ত্রীকে ভালবাসে৷ আমি বলতে চেয়েছি, বাংলাদেশের লোকজন খেলোয়াড়দের এবং তাদের স্ত্রীদের সম্মান করে৷ অথচ তার স্ত্রীকে কেন বারবার বিভিন্ন স্থানে মানুষ ইভটিজিং করে সেটা তারা একটু ভেবে দেখলে এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে৷

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৩

যাযাবর চিল বলেছেন: থাবড় দেওয়া দরকার

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০১

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আসলে দোষ বিসিবি এবং সাকিব উভয়েরই আছে৷ এটা উভয় পক্ষই অযথা জটিল করে ফেলছে!

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২০

মিতক্ষরা বলেছেন: সাকিব ট্যালেন্টেড খেলোয়ার। বাংলাদেশের মত একটি দেশের খেলোয়ার হয়ে তিনি বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন। বাংলাদেশ যেমন তাকে সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের নামটি শুধু তার কল্যানেই শোভা পায় শীর্ষে।
তাই সাকিব শুধু নেন নি, তিনি দিয়েছেনও। সুতরাং বোর্ডের অবদান সাকিবের অবদানের চেয়ে অনেক বেশী বলে বিসিবি প্রধান পাপন যে দাবী করছেন - সেইটা পুরো সত্য নয়।

সমস্যা হল, সাকিবের মধ্যে বিনয়ের কিছুটা অভাব রয়েছে। অনেক আগে থেকে এটা তার চরিত্র। কিন্তু এখন খ্যাতি পাওয়ায় সবার চোখে পড়ছে।
অশ্লীল অংগভংগির ফলে দেশের সবাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ঐটা নিয়ে তাই আর কথা বলার কোন প্রয়োজন নেই। এর আগেও টুকটাক ঘটনা ঘটেছিল যার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি একেবারে উদ্ধত টাইপের হলে ক্ষমা চাইতেন না। কিন্তু তাকে আরো বেশী বিনয়ী এবং ভদ্রোচিত হতে হবে। না হলে, তার পরিনতি হিসেবে ক্যারিয়ারে ধ্বস নামতে পারে।

সিপিএল খেলতে যাবার আব্দার বিসিবি সংগত কারনেই নাকচ করেছে। একজনকে অনুমতি দিলে সবাই এরকম অনুমতি চাইবে, যার ফলে তৈরী হবে বিশৃংখলা। এতে তিনি কেন আপসেট হলেন তা বুঝতে পারছি না। বিসিবির নিয়ম কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবার সবাইকেই হতে হবে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: তার সিপিএল এ খেলতে যাওয়া নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়নি৷ কোচ বলেছিল টুর্নামেন্টের শেষের দিকের কযেকটি ম্যাচ বাকী রেখেই দলের সাথে যোগ দিতে৷ কিন্তু সে টুর্নামেন্টের সব ম্যাচই খেলতে চায়৷ সে বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি না নিলেও বিসিবি তাকে ছাড় দিয়েছিল৷ কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষ করতে না পারলে টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার হুমকী দেওয়ায় বিসিবিও ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়৷

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

সোহানী বলেছেন: সাকিবের উপর মনে হয় বিসিবির অনেক রাগ............ !!!! যাহোক সাকিবকে হারাতে চাই না কোনভাবেই সেটাই হলো আসল কথা।

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: বিসিবির কোন আক্রোশ থাকলে সেটা রাখাও ঠিক নয়, তেমনি সাকিবেরও বারবার নিয়ম ভঙ্গ করা উচিত নয়৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.