নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোটা তো আছেই; খারাপটাকেও ভালো করার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে৷

২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৬

আমার এক ফেইসবুক বন্ধু Bony Asif আমার কমেন্ট বক্সে আমার লেখা নিয়ে সমালোচনা ও অভিযোগ করে বিশাল এক মন্তব্য করেছেন৷ তার অভিযোগ আমি শুধু দেশের খারাপ দিকগুলোই নিয়েই লিখি৷ তার মন্তব্যের উত্তরে আমি যে মন্তব্য করেছিলাম তার কিয়দংশ তুলে ধরলাম৷



আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেশের খারাপ দিকগুলো নিয়ে লিখি৷ এই পর্যন্তই সত্য৷ তবে ভাল দিক নিয়েও লিখি৷



আমি যে খারাপ দিকগুলো লিখি তা অবশ্যই বাংলায়৷ যা বিদেশীরা পড়তে না৷ আমি মুলতঃ একজন সমালোচক বলতে পারেন৷ আমি শুধু সরকারের খারাপ দিক নয়, বিএনপি, এমনকি সমাজের খারাপ দিকগুলো নিয়েই লিখি৷ এর মুল কারণ ভাল যেটা আছে সেটা তো আছেই৷ খারাপকে সংশোধন করে যেন আমরা ভাল হতে পারি৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের সমালোচনাটাই বেশি আসে৷ কারণ দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার৷ দেশের ভালমন্দ কাজের দায়দায়িত্বটাও ঠিক তাদের উপরই বর্তায়৷ আমি সমালোচনা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমাধানের পথটাও উল্লেখ করি৷ কি করা উচিত ছিল আর কি করছে৷ যেমনঃ যোগাযোগ মন্ত্রী দুই দিনের সময় দিয়েছিল রাস্তা ঠিক না হলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে শাস্তি দেওয়া হবে৷ কিন্তু আমি বলেছিলাম এটা অযৌক্তিক ও অসম্ভব৷ বাস্তবেও দেখা গেল সেটা অসম্ভবই রয়ে গেছে৷ আমি বলেছিলাম এই কাজটা ছয় মাস আগে শুরু করা উচিত ছিল৷ এটাই সমাধানের কথা৷ এবার যেহেতু হল না৷ আগামীতে আশা করব ছয়মাস আগেই শুরু করবেন৷



আমি দেশকে নিয়ে ভাবি৷ আমি কোন দলের চামচামি করি না বা কোন দলের বিরোধিতাও করি না৷ আমি চাই দেশে যথাসম্ভব অনিয়ম দুর হয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়াক৷ সুতরাং বিদেশীদের কাছে দেশের খারাপ দিক তুলে ধরা নয়, বরং কেউ খারাপ দিক বললেও তার প্রতিবাদ করে ভাল দিকগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করি৷



দেশের মানুষ ৫ই নির্বাচনের কথা ভুলে গেছে কিনা সেটা সাধারণ মানুষের সাথে নিরপেক্ষ ভাবে কথা বললে বুঝা যায়৷ আসলে দেশের মানুষ ঐ প্রসঙ্গে কথা বলতে চায় না৷ কেন চায় না সেটা আপনি আমি ভাল করেই জানি৷ জীবনের নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে ওইটা সবাই ভুলে থাকতে চায়৷ দেশের মানুষ ভুলে থাকতে চাইলেও বহির্বিশ্ব যে ভুলে নাই তা তারা তাদের কথাবার্তা ও কাজকর্ম দিয়ে বুঝিয়ে দেয়৷ যেমনঃ কিছুদিন আগে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে আমাদের রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন যে, দেশের মানুষ ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন মেনে নিয়েছে৷ কিন্তু জাতিসংঘ মহাসচিব ঠিক উল্টোটা জানিয়ে দিয়েছিলেন৷ আবার কদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া নতুন নির্বাচনের আহবান জানিয়েছেন৷ যুক্তরাজ্য সফরেও শেখ হাসিনা ও ডেভিড ক্যামেরনের বৈঠকেও একই আলোচনা হয়েছে৷ সবচেয়ে বড় কথা ভারত, চীন ও রাশিয়া ছাড়া বিশ্বের কোন দেশই এই সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী নয়৷ তার প্রভাব পড়ছে আমাদের জনশক্তি রপ্তানিতেও৷ বিশ্বের প্রায় সবদেশেই আমাদের জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ৷ এমনকি অস্ট্রেলিয়া তাদের ভিসা সেন্টার পর্যন্ত সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ থেকে৷ ব্রিটেনও তাদের ভিসা সেন্টারও ভারতে সরিয়ে নিচ্ছে৷



রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব বলতে আমি আসলে সংস্কারপন্থী৷ রাজনৈতিক দলগুলোতেই রাজতন্ত্র চালু সেখান থেকে ভাল কিছু আশা করা ভুল৷ আর বিদেশিরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা উচিত না হলেও আমাদের অর্থনীতিতে আমরা স্বয়ং সম্পুর্ন নই৷ আমাদের অর্থনীতির প্রধান দুইটি খাত হল- তৈরি পোশাক শিল্প ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স যেগুলো পুরোপুরি বিদেশ নির্ভর৷ জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ থাকায় অর্থনীতির দ্বিতীয় প্রধান খাত প্রবাসীদের রেমিট্যান্স গত বছর থেকে কমা শুরু করেছে৷ সাধারণ মানুষ নাকি শুধু ভাত মাছ খেয়ে শান্তিতে বাঁচতে চায়৷ কথাটা একদম ঠিক নয়৷ খাঁচার ভিতর পাখি খেয়ে পরে বাঁচতে পারে কিন্তু তার স্বাধীনতা থাকে না৷ আধুনিক রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রথম শর্ত গণতন্ত্র৷ বাংলাদেশে সেটাই অনুপস্থিত৷ ভাতমাছ খেয়ে জেলখানায়ও বেঁচে থাকা যায়৷ সেইটার নাম শান্তিতে বসবাস নয়৷ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকাটাও জরুরী৷



আমি কোন দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নই৷ আমি বাংলাদেশের পক্ষে ৷ আমি চাই যথাসম্ভব সকল সমস্যা মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াক৷

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.