![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেভাবে সুযোগসুবিধা, সমর্থকদের সমর্থন পায় তার কিঞ্চিৎ পরিমাণও পায় না জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল৷ এমনকি জিম্বাবুয়ে দলটি ২০০৫ সাল থেকে দীর্ঘদিন টেস্ট ক্রিকেটে নির্বাসনে থেকে ফিরে আসার পর দল গঠনের মত ক্রিকেটারই খুঁজে পাচ্ছিল না৷ কিন্তু সেই ভাঙ্গাচোরা দল নিয়ে বাংলাদেশ তো বটেই এর মধ্যে বড় দলকেও টেস্টে হারিয়েছে৷ বাংলাদেশ এই সময়ের মধ্যে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছে৷ আর বাংলাদেশ বড় দল তো দুরের কথা টেস্টে জিম্বাবুয়েকে হারানোও যেন দুঃস্বপ্ন! জিম্বাবুয়ে অস্ট্রেলিয়ার মত মহাপরাক্রমশালী দলকে হারাল৷ সেখানে সমস্যা জর্জরিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে হারানো তো দুরের কথা বাংলাদেশ ৭০ রানে অলআউট হয়ে যায়৷
আমাদের ক্রিকেটে রাজনীতি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, পরিকল্পনাহীনতা, ক্রিকেটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা সব মিলিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পরও কোন উন্নতি নাই৷ একসময় দেশে পেসারহান্ট নামে একটা প্রোগ্রাম ছিল৷ যেখান থেকে মাশরাফি, রুবেলদের মত পেসার হান্ট করা সম্ভব হয়েছিল৷ কোন এক অজানা কারণে সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ অথচ পেসারহান্টের মত ব্যাটসম্যান হান্ট, স্পিনার হান্ট, ক্রিকেটার হান্ট নামে আরও প্রোগ্রাম চালু হওয়া উচিত ছিল৷ এখন যারা ক্রিকেট প্রশাসনে রয়েছে তারা শুধু ফেঁপে ফুলে ওঠা ক্রিকেটবোর্ডের অর্থ লুটেপুটে খেতে ব্যস্ত৷
আইসিসিতে ভারতের প্রস্তাবিত একপেশে নীতিকে সমর্থনের জন্য যে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান বলে আগামী কয়েক বছরেও বাংলাদেশ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে আসতে পারবে না সেই ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্টের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যায়৷ তাছাড়া সে তার সেই ঘৃণ্য বক্তব্য প্রমাণের জন্য দল যাতে ৮ নম্বরে কখনও না আসতে পারে সেই পরিকল্পনা করবে এটা সুনিশ্চিত৷ তাহলে ক্রিকেটে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে এটাই স্বাভাবিক৷
ক্রিকেট বিশ্বে দীর্ঘদিনের বিতর্ক রয়েছে যে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই উন্নতিহীনতার কারণে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নিয়ে আয়ারল্যান্ডকে দিলে তারা এর চেয়ে দ্রুত উন্নতি করতে পারত৷ সেই সাথে আফগানিস্তানও দ্রুত উন্নতি করে বাংলাদেশের প্রতি চোখ রাঙানো শুরু করেছে৷ ইতি মধ্যে বাংলাদেশে হওয়া এশিয়া কাপে তারা আমাদের বলে কয়ে হারিয়েছে৷
আইসিসি এরমধ্যে আইন করেছে টেস্ট ক্রিকেটে রেলিগেশন পদ্ধতির৷ প্রতি চার বছর অন্তর টেস্ট ক্রিকেটের তলানিতে থাকা দলের সাথে শীর্ষ সহযোগী সদস্য দলের প্লে অফে জয়ী দল টেস্ট ক্রিকেটে স্থান করে নিবে৷ বাংলাদেশ দলের বর্তমান যে অবস্থা তাতে উন্নতির কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না৷ বাংলাদেশ দল এত এত ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েও যেহেতু কোন উন্নতি নাই সেহেতু যদি একবার রেলিগেশনের খাড়ায় পড়ে যায় তাহলে শীর্ষ দলগুলোর সাথে খেলার সুযোগ হারিয়ে আরও পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল৷ অন্যদিকে যে দল টেস্ট ক্রিকেটে উন্নিত হবে তাদের খেলায় আরও উন্নতি হলে বাংলাদেশের পুনরায় ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে পড়বে৷
এখনও সময় আছে দেশের ক্রিকেটের প্রশাসনকে পরিবর্তন করে আরও পেশাদার প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে নতুন পরিকল্পনা করে পরিকল্পিত ভাবে ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ তাহলেই হয়ত আমরা অদূর ভবিষ্যতে ক্রিকেটের উন্নতি দেখতে পাব৷
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: পরিকল্পনাহীন ভাবে চললে হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে৷ তবে সবকিছু পরিকল্পিত ভাবে এগোলে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি!
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
ঢাকাবাসী বলেছেন: ক্রিকেটের হর্তা কর্তাদের দিয়ে কিছু হবেনা কারন সবাই পলিটিশিয়ান আর প্লেয়াররা কিছু করতে পারবেনা বিভিন্ন কারনে। সুতরাং ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কোন কারন নেই।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: দেশের খেলাধুলার মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ছিল ক্রিকেট৷ কিন্তু এটা থেকে হতাশা ছাড়া আর কিছুই আসছে না৷
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
আবু শাকিল বলেছেন: ক্রিকেটে আমাদের উন্নতি নাই বলা টা ঠিক হবে না।উন্নতি আছে কিন্তু সেটা এখন সম্ভব হচ্ছে না
আমাদের ক্রিকেটে রাজনীতি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি,পরিকল্পনাহীনতা, ক্রিকেটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা জন্য।
যতদিন এগুলো ঠিক হবে না।বাংলাদেশে র ক্রিকেট উন্নতি হবে না।
আশা করছি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
লেখককে অনেক ধন্যবাদ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!
আর এই সব সমস্যার মূলেই ক্রিকেট বোর্ড৷ বোর্ডে দরকার দক্ষ, পেশাদার, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন৷ সাথে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা!
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
এ্যামালগাম বলেছেন:
কখনই হবে না,