![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।
'অর্থমন্ত্রী বুদ্ধিবৃত্তিক জালিয়াতি করেন। অবলীলায় মিথ্যা কথা বলেন; অন্যায় তদবির করেন। তিনি পরিবারতন্ত্রে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।' - না, এটা আমার কথা নয়৷ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পাঁচ বছরের পোষ্য জনতা ব্যাংকের বিদায়ী চেয়ারম্যান আবুল বারাকাত সাহেবের মুল্যায়ন!
কথা সত্য! চেয়ারম্যান সাহেব পুরো সত্যটাই প্রকাশ করেছেন৷ এটা নিয়ে আমি দ্বিমত নাই৷ সমস্যাটা প্রকাশের ধরন নিয়ে৷ গত পাঁচ বছর তিনি জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন, তিনি স্বীয় স্বার্থ উদ্ধারে অর্থমন্ত্রীর পুচ্ছদেশে তৈলমর্দনে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন, সত্য প্রকাশে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ভুলেই গিয়েছিলেন৷ তিনি গত পাঁচ বছর সেই মহান বাক্যটি পুরোপুরি ভুলে গিয়েছিলেন, 'অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে, উভয়েই সমান অপরাধী৷
আবুল বারাকাত সাহেব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক৷ বুদ্ধিজীবী মানুষ৷ তার উচিত ছিল তখনই প্রতিবাদ করে প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া৷ কিন্তু তখন সরকারের সুবিধাভোগী হওয়ায় তিনি তা করেন নাই৷ দেশে বর্তমানে এরকম স্বার্থপর বুদ্ধিজীবীতে ভরপুর৷ শুধু বুদ্ধিজীবী নয়, সব জীবি মানুষের মধ্যে স্বার্থের জন্য সব অন্যায় সহ্য করে নেওয়ার অদ্ভুত রকমের এক কুৎসিত শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে৷
স্বার্থোদ্ধার হয়ে গেলে কেউ কেউ হয়ত সত্য বলে৷ কেউ কখনোই বলে না৷ দেশের বেশিরভাগ লোকের মাঝে স্বার্থপরতা প্রকট৷ নিজের স্বার্থের জন্য নিজে অন্যায় করতে পারে৷ আবার অন্যেরটাও সহ্য করে নিতে আপত্তি নেই৷ এরকম ভাবে চলতে থাকলে দেশের অবস্থার উন্নতি আশা করা আর দিবাস্বপ্ন দেখা সমান কথা৷
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!
আসলে স্বার্থপরতার কারণে আমরা নিজেরাই নিজেকে দাসে পরিণত করে ফেলি৷ ফলে নিজের স্বার্থ থাকা পর্যন্ত মনিবের অন্যায় চোখে পড়ে না৷
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫
নিজাম বলেছেন: সহমত