নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এদের নাম দেশের অধিকাংশ মানুষ জীবনে একবারও শুনেনি৷

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ টি৷ তাদের মধ্যে প্রধান দলগুলো হল বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি৷ এছাড়াও উল্লেখযোগ্য দল হলো ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন৷ যাদের ভোটার বাংলাদেশের সবপ্রান্তেই কিছু কিছু আছে৷ তবে এককভাবে নির্বাচিত হওয়ার মত ভোটার নাই৷ এই দলগুলোর মোট স্থায়ী ও অস্থায়ী ভোটার বাংলাদেশের মোট ভোটারের প্রায় ৯৯%৷ বাকী প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টি দলের সবগুলোই আঞ্চলিক বা ঢাকাভিত্তিক অথবা শুধুমাত্র কাগজে কলমের দল৷ এই দলগুলোর ভোটার আছে অবশিষ্ট ১% বা তার চেয়েও কম৷ এইসব দলের প্রতিটি দলে ভোটারের পরিমাণ এতটাই নগণ্য যে, দশমিক ভগ্নাংশে প্রকাশ করাও এক দুরুহ কাজ৷ এদের অনেক দলের নাম দেশের অধিকাংশ মানুষ জীবনে একবারও শুনেনি৷ সেইসব দলের কে সভাপতি, কে সেক্রেটারি এটা জানার তো প্রশ্নই আসে না৷



অতি দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের বড় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের জোটে দলের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রয়াসে এই দলগুলোর সৃষ্টি হয় অথবা বড় দলগুলো ইচ্ছা করেই নামসর্বস্ব এই দলগুলো সৃষ্টি করে নিজেদের জোটে অন্তর্ভুক্ত করে৷ দেশে প্রধান দুইটি জোটেই এই ধরনের দলগুলো রয়েছে৷



বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের দলের সংখ্যা থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে দলের সংখ্যা বেশি৷ শুনলাম, বিএনপি জোট ভেঙ্গে কিছু নামসর্বস্ব দল জোট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে! আর এতে ইন্ধন যোগাচ্ছে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা ও সরকারী নির্দেশে রাষ্ট্র পরিচালিত কোন গোয়েন্দা সংস্থা! বিএনপি জোটে দলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় হয়ত আওয়ামী জোটে একটা চাপ কাজ করে৷ সেজন্য বিএনপি জোটের এই তুচ্ছ দলগুলোকে বিছিন্ন করতে সরকার (অপ)চেষ্টা চালাচ্ছে! তাছাড়া বিএনপিকে চাপে ফেলা, দেশের জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া গঠিত ও ভারতসহ তার কয়েকটি মিত্রদেশ ব্যতীত বহির্বিশ্বের সকল দেশের নিন্দিত সরকার তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমাতে এই কুট কৌশল গ্রহণ করেছে!



ক্ষমতার জন্য মানুষ যত রকমের ঘৃণিত কাজ করতে পারে তার সব ধরনের চেষ্টাই যেন এই সরকারের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে! সরকার ভাবছে এটা করলে বিএনপি আন্দোলনে দুর্বল হবে এবং নিজেদের ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা বাড়বে৷ তাদের ফন্দি কাজ করবে কিনা সেটা সময়ই বলে দিবে৷ তবে তাদের এই ঘৃণিত কাজ কর্মের জন্য জনগণের তাদের প্রতি ঘৃণা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা নিশ্চিত৷ তাদের এইসব চেষ্টা একসময় বুমেরাং হয়ে যেতে পারে৷ এদেশের ইতিহাস এমনই বলে৷ জোর করে সাময়িক সময় ক্ষমতায় থাকলেও শেষ পরিনতি অতি করুণই হয়েছে৷ সময়ই বলে দিবে পরিস্থিতি কী হয়!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪১

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু এরা কি নিজেদের জামানত ধরে রাখতে পারবে কোন বড় দলের ছত্রছায়া ছাড়া?

আর অধিকাংশ ব্যাংগের ছাতার দলকে নিজেদের দলের নাম জিজ্ঞাসা করলেও চট করে দলের নাম বলতে পারবে না। বরং একটু চিন্তা করে তারপর নাম বলতে সক্ষম হবে এবং প্রায়ই দেখা যাবে যে উক্ত নামে একাধিক দল আছে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: একসময় হয়ত জাসদ নামে মোটামুটি মানের দল ছিল। সেটা সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকাকালে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার পর সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রদত্ত অঢেল টাকার অনুদানও বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে দলটিও ছোট হতে থাকে। এরপর এই দলটি ভেঙ্গে জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ নানা নামে বেনামে টুকরো হয়ে যাওয়ার পর এটা একটি এটা একটি নামসর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। আর একারণেই আমার লেখায় এদেরকে উল্লেখযোগ্য মনে করিনি।

আর অন্য দলগুলো সৃষ্টি এবং এদেরকে জোটে নেওয়ার কারণ তো উল্লেখ করেছি লেখায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.