![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।
খুলনায় সুন্দরবনের কাছে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ১৩ জন বনদস্যু নিহত হয়েছে৷ আমাদের অধিকাংশেরই একটি বদ্ধমূল ধারণা এদেরকে মুলতঃ হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধ নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কারণ এলাকার জনগণ যাদেরকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছিল বন্দুকযুদ্ধে শুধুমাত্র তারাই খুন হয়েছে৷
কেউ কেউ বলছে বিনাবিচারে এভাবে মানুষ হত্যা করা চরম অন্যায়৷ আবার কেউ কেউ বলছে ঠিক কাজই করা হয়েছে৷ কারণ দেশের প্রচলিত আইনে এদের বিচার করতে গেলে এরা ঘুষ দিয়ে বা বিভিন্নভাবে লবিং করে বা প্রভাব খাটিয়ে জামিনে বের হয়ে আসত৷ এদের কথায় প্রমাণিত হয় দেশের বিচারব্যবস্থায় কতটা দৈন্য অবস্থা চলছে যে, অপরাধীদের বিচার আদালতে করা সম্ভব নয়৷ অবশ্য এই ধারণা যে, হটাৎই তৈরি হয়েছে তা নয়৷ যুগ যুগ ধরে মানুষের মধ্যে এই ধারণা প্রচলিত হয়ে আসছে৷ বিচারব্যবস্থা যে খারাপ তা আমি বলছি না৷ কিন্তু সমস্যা হল, দেশে অপরাধীদের পক্ষে প্রভাব খাটানো লোকের অভাব এদেশে কোনদিনই ছিল না আর এখনও নাই৷ নিরীহ মানুষের চেয়ে অপরাধীদের পক্ষেই প্রভাবশালী লোকের সংখ্যা বেশি৷ আর তাই অনেকেই অপরাধীদের বিচার আদালতে করার চেয়ে ক্রসফায়ারকেই শ্রেয় মনে করে৷
দেশে নাকি আইন, নিয়মকানুন সবার জন্য সমান৷ স্বার্থপর মানুষগুলো নিজের স্বার্থের জন্য যে কোন বিষয়ই নিজের অনুকুলে নেওয়ার চেষ্টা করে৷ তবে দেশে নিঃস্বার্থ মানুষের সংখ্যাও কম নয়৷ যারা এই ক্রসফায়ার নামক হত্যাকান্ডের পক্ষে কথা বলছে তাদের কথাই যদি যুক্তিসংগত হয়ে থাকে তাহলেই আমার কিছু কথা রয়ে যায়৷ যদি বনদস্যুদের গণহারে হত্যা করা উচিত হয়ে থাকে তাহলে বনদস্যুদের মত বা আরও বিভিন্নরকমের রকমের দস্যু যেমন- ব্যাংকদস্যু, শেয়ারদস্যুু, টেন্ডারদস্যু, চরদখলদস্যু, এলাকার আতঙ্ক খুনিদস্যু, নারায়ণগঞ্জের সাতখুন দস্যু ইত্যাদি রকমের দস্যুদের কেন ক্রসফায়ার হয় না? নাকি এরা সব ভিআইপি দস্যু? এসব দস্যুদের বেশিরভাগই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে ঠান্ডা মাথায় তাদের দস্যিপনা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এদের হাতে অনেকে খুন হয়েছে, অনেকে এদের জন্য সর্বশান্ত হয়ে নিজেই আত্মহত্যা করেছে৷ সুতরাং উক্ত দস্যুরাও এসব খুনের দায় এড়াতে পারে না৷
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: মামলা করতে অনুমতি লাগে। আর জনগণের চাপে মামলা করলেও তাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য উপর মহলের নির্দেশ থাকে। লোকদেখানো আটক করা হলেও ছাড়িয়ে আনার জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি তোবার মালিক দেলোয়ারকে ছাড়িয়ে এনে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার ঘটনা খুব ভালভাবে দেখেছি। নারায়ণগঞ্জের সাতখুন, ত্বকী হত্যা মামলা সহ শত শত মামলা আমরা দেখতে পেয়েছি।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
মাহাদি হাসান বলেছেন: ঢাকাবাসীর সাথে সহমত।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০৯
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৯
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: ঢাকাবাসি আমরা আছি তোমার সাথে তুমি এগিয়ে যাও।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:১০
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আমরা যুগ যুগ ধরে যুক্তিও ন্যায়ের পক্ষে থাকলে আসলে অবস্থার তেমন কোন উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে না। দিন দিন যেন আরও অবনতি হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: যেকোন পাগলেও বলবে যারা পুলিশের সাথে গেল তারাই খুন হয় আর পুলিশের গায়ে একটা টোকাও লাগেনা, এটা অসম্ভব। মানে ঠান্ডা মাথায় খুন। হয়তো সরকারের এটাই নীতি। মাগার কথা হলো ঐ ভুমিদস্য (অধিকাংশই সরকারী লোক) ব্যাংকদস্যু, শেয়ারদস্যুু, টেন্ডারদস্যু, চরদখলদস্যু, এলাকার আতঙ্ক খুনিদস্যু, নারায়ণগঞ্জের সাতখুন দস্যু ইত্যাদি রকমের দস্যুরা বন্দুকযুদ্ধে পড়েনা? আজিব বিষয় হলো (আমি আইন জানিনা হয়তো) এদের বিরুদ্ধে মামলা করতেই অনুমতি লাগে, ম্যালা গ্যাস পোড়াতে হয়!!