নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন স্বর্ণের খনিতে খনন করা করার জন্য যায়, তখন কোদাল বিক্রি কর ।

আই রানা

আই রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের শ্রমিকদের অবত্থা - ডুবাই

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫

সোনাপুর: এখানে বিবিন্ন দেশের ১৫০০০০ শ্রমিক কাজ করে



সবাই রান্না করছে, রান্না ঘরে কোন নিরাপত্তা ব্যবম্তা ব্যতিত









জাহানগির, ২৭, বেতন: ৮০০(£139). সেখান থেকে দেশে পাঠায় ৫০০ AED (£87)





নাপিত:





একটা নিন্ম মানের শ্রমিক শোবার ঘর:





রাতে একট্র্রা উপা্র্জন করার জন্য হকারি করতে হচ্ছ





চোরা মারকেট: এখানে কম দামে শ্রমিকরা শাক-সবজি বিকরি করছে:





কাজের পর কেরাম, এই বিনোধনের ব্যবহ্থা নিজেরাই করে নিয়েছে





শাহরুক: একটি ভালো মানের হোষ্টেলে থাকে, কাজে যাবার আগে:







মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: আস্তে আস্তে অবস্হা চেন্জ হবে আশা করি।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৪

আই রানা বলেছেন: ভালো দিনের জন্য wait করছি..

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: সম্ভবত ২০১০ সালের জানুয়ারীর দিকে, আমি ব্যবসার কাজে রোমানিয়ার ভিসা সংগ্রহ করতে দুবাই গিয়েছিলাম। উঠেছিলাম দুবাই দেইরায় হোটেল মার্কোপোলোতে।এরি মধ্যে আমার গ্রামের কিছু ছেলে খবর পেয়ে আমার হোটেলে এসে উপস্থিত,তারা খুব করে অনুরোধ করলো আমি যেন তাদের বাসায় রাতে খাবার খেয়ে আসি।উপেক্ষা করার কোন উপায় ছিলোনা।তাই গেলাম সাতোয়া নামের একটা এলাকায় সেখানে বাঙ্গালী ছেলেরা থাকে।ওদের ৪০০ স্কয়ার ফিটের একটা রুমে গিয়ে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি,এই ছোট্ট একটা রুমে ২৭ জন ছেলে থাকে।৪ ধাপ বিশিষ্ট খাট গুলোতে শুয়ে নড়াচড়ার উপায় নেই এতটাই সুরু।উপর থেকে যে নামে নিচের জনের খাটের কিনারায় পা রেখে নামতে হয়,একদম উপরে যে থাকে তার বুক থেকে মাত্রে ১০ ইঞ্চি ফাঁক ছাদের সাথে। তাকে একরকম আধা শোয়া হয়ে উপরের খাটে উঠতে হয়।

সে যাই হোক রাতে ওরা যথাসাধ্য রান্না করলো,২৭ জনের রাননা একসাথেই হলো,রাতে সবাই এক সাথে বসে খাবার আগে যেটা করলো সেটা হলো ২৭ টা পলিব্যাগে পরেরদিন দুপুরের জন্য খাবার রেখে বাকি খাবার খেতে বসলো,খাবারটা মজাই লেগেছিলো আমার।যেই খাবারটা ওরা পলিব্যাগে রাখলো সেখানে ভাতের সাথেই তরকারি দিয়ে পলিব্যগাের মুখ গিট দিয়ে বেধে ফেললো। আমি খেয়ে আমার হোটেলে ফিরবো বিদায় নিয়ে এমন সময় ওরা আমাকে অনুরোধ করলো যেন আমি ওদের সাথে এখানে আজকের রাত কাটাই,এমন ভাবে অনুরোধ করলো আমি আর নিষেধ করতে পারিনি।অবশেষে আমার জন্য ভালো একটা বেড রেডি করলো, আমি ঘুমিয়ে পড়লাম,রাত ২টায় উঠে দেখি আমার চার পাশ বেডবাগ ঘিরে ফেলেছে,আমি উঠে বসে এমন দৃশ্য জীবনে প্রথম দেখে ভয় পেয়ে যাই,ভেবেছিলাম এই পোকা গুলো শুধু আমাকে ধরেছে,মেহমান বলে।পরে লাইট দিয়ে যখন দেখলাম তখন দেখি না সবাইকেই খাচ্ছে,তারা অভ্যাস্ত বলে সবাই অঘোরে ঘুমাচ্ছে যা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।কোন রকম দৌড়ে উঠে সিগারেট নিয়ে ঐবাসার ছাদে উঠে গেলাম।জাবেল আলি রোডের টাওয়ার গুলোর আলোয় ছাদ সহ ঐ এলকাটা আলোক উজ্জল হয়ে আছে। একটা ভাঙ্গা চেয়ারে বসে ভাবতে লাগলাম এই ছেলে গুলোর কথা,কত কষ্ট করে ওরা এখানে,সারাদিনে কাজের চাপে এত ঘুম পেয়েছে যে এইভাবে চারপাশে ঘিরে এত গুলো পোকা এদের কামড়াচ্ছে কিন্তু কেউ টের পাচ্ছেনা।এত কষ্টের টাকা দেশে পাঠায় দেশ উন্নত হয়, সেই মানুষ গুলোই যখন আবার আমাদের দেশের বিমান বন্দর দিয়ে আসা যাওয়া করে তাদেরকে বিমান বন্দরের কিছু মানুষ পোকা আবার খায়।এখানের পোকা গুলো শুধু খায়,কিন্তু বিমান বন্দের পোকা গুলো খায় আবার ধমকও দেয় অপমান করে।ভাবতে ভাবতে রাত পেরিয়ে ভোর। হোটেলে চলে এসে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম আবুদাবি যাওয়ার জন্য, পথেই ওদের মধ্যে কয়জনকে পেলাম তারা রাস্তা খোড়াখুড়ি করছে, কাজের পাশেই রাস্তায় রোদে বসে সেই পলিব্যাগের মধ্যে থাকা খাবার গুলো খাচ্ছে। এত গরম যে খাবার গুলো নষ্ট হয়ে টক হয়ে গেছে,আমি গাড়ি থেকে নেমে ওদের সাথে কথা বলতে বলতে ওদের পলিব্যাগ থেকে একটা ফুলকপির টুকরো মুখে দিলাম,কারন আমি জানতাম এই খাবারটা ঠিক থাকার কথা নয়,মুখে দিতেই টক লাগলো,তাদের বললাম এটা কেন খাচ্ছো তোমরা এগুলোতো নষ্ট হয়ে গেছে গরমে।তারা এক গাল হেসে বললো ভাইয়া কিছু করার নেই,মনে মনে ভাবি যে লেবু দিয়ে খাচ্ছি।
আমার আর মুখ থেকে কোন কথা বের হলোনা।চুপ করে চলে আসলাম সেখান থেকে।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

আই রানা বলেছেন: @ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট : কয়েকটা ছবি পোষ্ট করলে ওনেক লোকের help হবে

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

ভিটামিন সি বলেছেন: সিংগাপুরের অবস্থাও সেম। ওয়ার্কার যেখানে থাকে সেখানে এরকমই অবস্থা হয়, আমরাই খারাপ। নিজেদের রুমটা পরিস্কার রাখি না তাই। দেশে যেভাবে অপরিস্কার নোংরা পরিবেশ, প্রবাসে এসেও সেই অবস্থা বজায় রাখি যার কারণে থাকার পরিবেশ এমন হয়। তবে একটা বিষয় অনস্বীকার্য যে ছোট পরিসরের রুমে অনেক লোক থাকে। তাই বলে এক রুমে ২৭ জন এটা অসম্ভব। আমিও সিংগাপুরে কোম্পানীর দেয়া বাসায় থাকি। আমরা ৩টি লিভিং রুমে মোট ১৫ জন থাকি। পরিবেশ এতোটা খারাপ না্ ।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০১

রাফা বলেছেন: বেশিরভাগ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো শ্রমিকদের পোকা মাকড় মনে করে।
একটু ভাবেনা এদের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমেই তাদের জৌলুশ-পুর্ণ জিবন।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট @ আপনার মন্তব্যটি পড়ে সত্যিই মন খারাপ হয়ে গেল :(
শেয়ার করতে চাচ্ছি মন্তব্যটুকু।

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: @এস.কে.ফয়সাল আলম আরব দেশের প্রায় সব গুলো দেশ দেখেছি যেখানে বাঙ্গালী ছেলেরা কতটা দুর্ভোগ জীবন যাপন করে সেগুলো যদি সব লিখতে যাই চোখের পানি পড়বে। যাইহোক শেয়ার করতে পারেন।

@ভিটামিন সি একটা চার দেয়ালের ঘর হিসেব করুন।একপাশে বড় দেয়ালে ৩তলা বিশিষ্ট ৩টা খাট ,নিচের খাটের নিচে একজন ঘুমায়,যিনি ফ্লোরেই থাকেন, মানে হলো ৩ গুন ৪ সমান ১২ জন, ছোট দেয়ালে একটা ৩ তলা বিশিষ্ট ১ টা খাট, সেই দেয়ালের বিপরিত দেয়ালেও সমান সংখ্যক,তার মানে ৪ গুন ২ সমান ৮ জন। বড় দেয়ালের বিপরিত দেয়ালে ৩ তলা বিশিষ্টো দুটো খাট তার মানে ৪ গুন ২ সমান ৮ জন, এই দেয়ালটায় প্রবেশ দরজা থাকায় ৩ টা খাটা রাখা যায়নি, এখন যোগ করুন- ১২+৮+৮ =২৮ হয় কিন্তু একটা যায়গা খালি ছিলো। এই রুমটার মাঝখানের খালি জায়গায় বসে সবাই খাওয়া আড্ডা খেলা এসব করে। বাথরুম মাত্র একটা কিন্তু কোন ঝগড়া হয়না ব্যবহার করায়,সবাই নিয়ম মেনেই এটা ব্যবহার করে। তখন বলেছিলাম ওদের যে যদি এই রুমে ২৭ জন পুরুষ না হয়ে নারী হলে কি হতো,একজন বললো ভাইয়া হিরোশিমার বোমার মত ব্লাষ্ট হইতো :)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

আই রানা বলেছেন: নারি শ্রমিকরাও বেশ করুন কনডিশানে আছে.. কারকাছে ছবি থাকলে শেয়ার করবেন দয়াকরে....

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: @ভিটামিন সি- আরেকটা কথা বলা হয়নি আপনাকে, এই রুমটার ভাড়া হলো ৫ হাজার দেরহাম। প্রতিজনের ভাগে পড়ে ১৮৫ দেরহাম করে, আপনি জানেন কিনা জানিনা এরা ৭০০ থেকে ৮০০ দেরহাম পায় মাসে, তাই এর চেয়ে বেশু ভাড়া দিয়ে ওরা থাকলে খাওয়া সহ দেশে টাকা পাঠানো সম্ভব নয়। আরেকটা মজার ব্যপার হলোকি জানে,যারা দুবাই সাতোয়া এলকায়া থাকে তারা জানেন অবশ্যই, এগুলো দুবাই নাগরিকদের বাড়ি ছিলো,আরবরা এগুলো ফেলে রেখে নতুন যায়গায় চলে যায়।কারণ জাবেল আলি রোডে এলাকাটা বিলাষ বহুল এবং তা সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে, ক্রমান্বয়ে এসব বাড়ি ভেঙ্গে বহুতল ভবন করবে, বাড়ি গুলো ভাঙ্গতে আরো হয়তো বছর খানেক সময় লাগবে এরি মাঝে ভারতীয় বা পাকিস্তানিরা ভাড়ি গুলো ফেলে যাওয়া আরবদের থেকে আনুমানিক হিসেব করে একবছরের জন্য লিজ নেয়, পুরো বাড়িটা তারা এক বছরের জন্য কম বেশি ৪০ থেকে ৫০ হাজার দেরহাম দিয়ে লিজ নেয়,যেটা আরবদের জন্য বাড়তি পাওনা,কারণ সরকার অলরেডি তাদের সব ক্ষতি পুরণ দিয়ে নতুন জায়গায় বাড়ি করে দিয়েছে।

আরবদের বাড়ি গুলো অনেক বড় হয়,বিশেষ করে রুম গুলো বিশাল বিশাল থাকে। ৪টা রুমের বাড়ি কে যারা লিজ নেয় তারা প্রায় ১০ রুম বানাতে পারে, এবং প্রতি রুম ওরা ভাড়া দেয় ৫ হাজার টাকা তার মানে যদি ৮টা রুম যদিও করে তারা মাসে ভাড়া পাচ্ছে ৪০ হাজার দেরহাম,১২ মাসে তারা পাছে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার দেরাাহাম,তাদের ইনভেষ্ট ৬০ থেকে ৭০ হাজারের চেয়ে বেশি নয়।এই লিজ নেয়া বাংালদেশিদের পক্ষে সম্ভব নয়,এটা নিতে হলে একটা ইউণিটি দরকার পড়ে যা বাঙ্গালীদের মধ্যে খুবই কম।

ইন্ডিয়ানরা টাকা দিয়ে দুবাই যায়না,বরং তাদেরকে টিকেট পর্যন্ত দিতে হয় সেখানে একজন বাঙ্গালী যেতে নিদেন পক্ষে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার দরকার হয়। যাই হোক এসব বলতে গেলে পাতায় পাতায় বলা যাবে।

আরেক সোনার হরিণ আমাদের দূতাবাস গুলো,যারা দুবাই আছেন তারা অবশ্য জানেন যে দেইরা মার্কোপোলো হোটেলের বিপরিত পাশেই আমাদের দূতাবাস,আমি আমার রুমের জানাল দিয়ে উকি দিলে সেই দূতাবাসের জানালা দিয়ে তাদের কর্মকান্ড দেখতে পেতাম কিন্তু দুর্ভাগ্য আমি ৪ দিন গিয়েও কোন কন্স্যুলারের সাক্ষাৎ পাইনি। খালেদা জিয়ারা মত বলতে হয় -তিনারা পরিবার নিয়ে ব্যস্ত,দুবাই সৌন্দর্য্য তিনারা একজীবনে দেখে শেষ করতে না পারার ভয়ে প্রতিদিন বের হয়।

৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

সোহানী বলেছেন: খুব মন খারাপ করি লিখাগুলো পড়ে..... তারপর আবার কিছুদিন পর পড়ি.... আবার খুব মন খারাপ করি ...........। এভাবে চলছেই কিন্তু কেউ কিছু করে না... কেউ কিছু ভাবে না........

নেতা নেত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ক্লান্ত....এখন একমাত্র আাল্লাহর দিকে চেয়ে আছি (আমি জানি এটা দূর্বলদের কথা কিন্তু এর চেয়ে আমার যে কিছ করার ক্ষমতা নেই)।

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট ভাই আপনার লিখা পড়ে আরো বেশী মন খারাপ হয়ে গেল।

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়ে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। রাগ হয় আমাদের দু..বাসের অদক্ষ অশিক্ষিত ঘুষখোর অকর্মন্য অফিসারদের আচরণে, রাগ হয় বি..নবন্দরের অদক্ষ মহা দুর্ণীতিবাজ ঘুষখোর লোভী চরিত্রহীন পাচাটা কর্মচারীদের আচরণে। আর এই দুই দল চাকরী পায় বেঁচে থাকে উপরের নেতা নেতীদের আশির্বাদে!

১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট @ জানি আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা অনেক কস্ট করে । কিন্তু অাপনার লেখা পড়তে পড়তে কখন যে চোখের কোনা টলমল করে ভিজে গেল টের পাইনি।

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৮

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের আদম ব্যপারীরা মানুষ বেচে ব্যবসা করে...

সবাইকে বলে ভাল বেতন...সুবিধা... কিন্তু ২/৪ লাখ টাকা নিয়ে পাঠায়...

নেপাল/ভারত/ফিলিপিন/কেনিয়া এই সব দেশের মানুষের বিদেশে কাজে যেতে টাকা খরচা করতে হয়না... কিন্তু আামাদের হয়... :(

আমাদের দেশের মানুষ কোন কাজ শিখে বিদেশে আসে না... তাই তারা দৈনিক শ্রমিকের মতন কাজ করে...

লোভ যে আমাদের দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তাই ভাবি মাঝে মাঝে ...

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

ভিটামিন সি বলেছেন: @ ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট: ভাই আমি জানি, প্রবাসে থাকি সাড়ে ছয় বছর হলো। আমাদের বাসা কোম্পানীর হলেও আমরা তার ভাড়া অর্ধেক দিই। যা জনপ্রতি ১২০ ডলার করে দিই। তাহলে আমাদেরটা একটু হিসাব করুনঃ ১২০ গুন ২ = ২৪০ সিং ডলার জন প্রতি। ২৪০ গুন ১৫ = ৩৬০০ সিং ডলার। ৩৬০০ গুন ৬০ (টাকা) = ২১৬০০০ টাকা শুধু বাসা ভাড়া দিতে হয় প্রতি মাসে। তারপর ৫৫ ডলার কারেন্ট+গ্যাস+পানি+সিকিউরিটি গুন ১৫ = ৮২৫ সিং ডলার (ইউটিলিটি) = ৮২৫ গুন ৬০ = ৪৯৫০০। এতো টাকা দিয়ে আমরা ব্যবহার করি ২টা লিভিং রুম, একটা হলরুম (হলরুমও এখন লিভিং রুম করে নিয়েছি ভাড়া কমানোর জন্য, দুইটা বাথরুম, দুইটা টয়লেট, চারটা চুলা। আমি এমনও ওয়ার্কার হাউজে গিয়েছি যেখানে ৩ স্টেপ লোহার খাট দুইপাশে, মাঝখানে শুধুমাত্র দুইজন পাশাপাশি হেঁটে ক্রস করতে পারে। অনেক ওয়ার্কার হাউজে শ্রমিকদের ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দেয় না। অনেক জায়গায় রান্না করতে দেয় না। তারপর ছাড়পোকা, তেলাপোকা ও ইদুর এসব বাসায় স্থায়ী বাসিন্দা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.