নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।

আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

উম্মু আবদুল্লাহ

তোমরা মুসলিম হয়ে আমাকে ধন্য করেছ, তা মনে করো না। বরং আল্লাহ ঈমানের পথে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন। (হুজুরাত:১৭)

উম্মু আবদুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার একটি অমলিন স্মৃতি

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:৫০

রোজার মধ্যে পরীক্ষা। চরম বিরক্তিকর। ভর্তি পরীক্ষা তো নয় যেন যুদ্ধ। সে যুদ্ধে যাতে না হেরে যাই সেজন্য কত প্রস্তুতি। রাতের পর রাত। দিনের পর দিন। খাওয়া/ঘুমের সময় টুকু শুধু অবসর। বাকী সময়টা চলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভরে অংক কষা।



কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রথম অ্যালজাব্রার প্রথম প্রবলেমটাই ভুল করলাম। অতি সহজ সমস্যা। জটিল মূলের একটি দেয়া। কোয়াড্রেটিক ইকুয়েশনটি বের করতে হবে।



কেন যেন মাথা একেবারেই কাজ করল না। জলবৎ তরলং এই সমস্যাটির কোন সমাধান কিছুতেই খুজে পেলাম না। বার বার চিন্তা করেও মাথা ফাকা!! কিছুতেই মনে এল না সহজ সেই কনসেপ্ট, "জটিল মূল গুলো যুগল রূপে আসে। একটি পজিটিভ হলে অন্যটি হবে নেগেটিভ।" এটা জটিল রাশিমালার বেসিক কনসেপ্ট। এই সমস্যাটি সলভ করতে পারলাম না। শুরুটাই হয়ে গেল গোলমেলে। এর পরের তিন ঘন্টা একটা ঘোরের মধ্যে যেন ছিলাম। কি লিখছি, কি ভাবছি সব যেন এলোমেলো।



আমার মনে হয় না সেই ব্যাচে বুয়েটে যারা ঢুকেছিল তারা কেউ অ্যালজাব্রার এই সহজ সমীকরনটি বের করতে অপারগ হয়েছিল। আমি বোধকরি সবার মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম। ক্লাস সেভেনের ছাত্রের পক্ষে ক্লাশ ফোরের অংক ভুল করা আর কি।



আজও যখন অবসরে পুরানো দিনের কথা মনে দোলা দিয়ে যায় তখন সেই স্মৃতি আমাকে নাড়া দেয়। মনে হয়, আমি বসে আছি ই এম ই বিল্ডিং এর পরীক্ষার হলে। বার বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছি সলভ করতে। আর ভাবছি এসব সমস্যা তো হাজারোটা করেছি, এখন কেন পারছি না।



আজকে আমার ছেলে শুরু করেছে অ্যালজাব্রা। যেদিন সে প্রথম কমপ্লেক্স ভেরিয়েবলস ধরবে সেদিনই তাকে আমি প্রথম এই সমস্যাটা করাব বলে ঠিক করেছি। যাতে তার কোনদিন ভুল না হয়। যে ভুলটা আমি করেছিলাম, সেই একই ভুল তার যেন কখনই না হয়।



বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি তা বলে ব্যর্থ হয় নি। সহজ সমীকরনটি ভুল করেছি তবে ক্যালকুলাসের দক্ষতা আমাকে টেনে নিয়ে যায় ১০০ এর মধ্যে। আর স্বপ্ন হয় সত্যি। আমি পা রাখি বুয়েটে।



স্বপ্নভংগ হয় বুয়েট শুরু করার পর। কিন্তু সে গল্প আজ আর নয়। হবে আরেকদিন।







মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১৫/-২

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:৫৮

শাওন বলেছেন: মাথা ! দেশের সবার স্বপ্নের মুল লক্ষ্য ।
আমাদের ফ্রেন্ডগ্রুপের মাত্র ১টা চান্স পেয়েছে । রাফি, যেবার দেশে গেলাম সেবার সবাই এস এস সি দিলো । এ + পেলো কিন্তু দেখি নিস্তব্দ রাগে ফুসতেছে , মেয়ে ৪টাই পেয়েছে গোল্ডেন প্লাস , সে পায়নি । এবার মেয়ে ৪টা বুয়েটে দিয়েছিলো , পায়নি । সে পেয়েছে ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:১৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: শাওন, ভাল লাগল কথাগুলো। বুয়েট প্রতিযোগিতামূলক সন্দেহ নাই। তবে বুয়েটে টিকেনি এমন অনেকে পরের লাইফে অনেক বেশী ভাল করেছে। সুতরাং বুয়েট নিয়ে কোন দম্ভ নেই।

তবে স্মৃতিগুলো অমলিন। "বুয়েট" নাম শুনে মানুষ বাহবা দিয়েছে সেটাও ভাল লাগত।

আর আমাদের সময় বিদেশে পড়ার ডিসিশন যারা নিয়েছিল তাদের প্রায় সবাই আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। বুয়েটের সেশন জ্যাম, মান্ধাতা আমলের সিলেবাস - এইসবের কারনে বিদেশে এসে মাস্টার্সে নূতন করে শিখতে হয় সবকিছু।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:০০

জেনারেল বলেছেন: বুয়েটে পড়েন নাই ভাল করছেন, পড়লে যে কি হত আল্লাহ-ই মালুম!!


ডিসক্লেইমারঃ
যদি কেউ মনে করে চান্স পাই নাই তাই এইসব বলি, তাদেরকে বলছি বুয়েটের অধিকাংশ পোলাগো আমি পুছি না, টাইমও নাই।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:০৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ জেনারেল আপনার সহানুভূতিতে।

বুয়েটে না টিকলে খুব কষ্ট পেতাম। প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তো।

বুয়েটে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেই। ক্যাম্পাসটা নূতন দেখে ভাল লেগে যায়। আর মধ্যবিত্ত পরিবারের বলে বিদেশ যাওয়ার সামর্থ্য তখন ছিলো না।




৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:১৬

পথহারা বলেছেন: জেনারেল, তোমার পিএইচডি কদ্দুর?

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:৫৪

আবূসামীহা বলেছেন: সাময়িক কেন? ভালইতো স্মৃতি কথা। বেশ ভাল লাগল। আমাদের সবারই এরকম কোন না কোন স্মৃতি আছে।

আর জেনারেল মনে করেছেন আপনি বুয়েটে পড়েননি। "ঐ একটা সমীকরণ সমাধান করতে না পারা মানে আর সব না পারা নয়", এটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথাতো নয়।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:০১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কি-বোর্ড দিয়ে এডিট হচ্ছে না বলে ভুল করে লেখা "সাময়িক পোস্ট" শব্দটি মুছতে পারছি না। মাউসের অভাব বোঝা যাচ্ছে।

এই বয়সে এসে স্মৃতিই শুধু রয়ে গেল। সেগুলো রোমন্থন করে হারানো অতীতকে আবার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করি বার বার।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:০১

ইছামতীর পাড়ে বলেছেন: মিলে গেল তো মনে হয়! রোযার মধ্যে তাও তো মনে ৪ ঘন্টার একটা ছিল, ছক্কা মারা তো দূরের কথা ছেড়ে দে মা কেদে বাচি! যন্ত্রনার কথা আর মনে করতে চাইনা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:০৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমারও তো একই অবস্থা হয়েছিল। ছেড়ে দে মা কেদে বাচি।

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৪৯

হলদে ডানা বলেছেন: বুয়েটের পাশ দিয়ে যেতে মাঝে মাঝে বিল্ডিংগুলো দেখি। লেখকের কথাগুলো বিনয়মিশ্রিত তবে সত্য- - - "তবে বুয়েটে টিকেনি এমন অনেকে পরের লাইফে অনেক বেশী ভাল করেছে। সুতরাং বুয়েট নিয়ে কোন দম্ভ নেই।"

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি।

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫০

হাশেম পোদ্দার বলেছেন: আই লাইক ইট - দাগাইলাম।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:১৭

প্রচেত্য বলেছেন: স্বপ্নভঙ্গ-স্বপ্নপূরণ - দুয়ের সমীকরণে এক মোহমযতায় আবদ্ধ হয়ে গেলাম- কিছুক্ষনের জন্য হলেও

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রচেত্য। স্মৃতি বড় মধুর।

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:০৫

বিবর্তনবাদী বলেছেন: এই পোস্ট সাময়িক কেন?? এটা ডিলিট করবেন না প্লিজ।


আমার বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অভিজ্ঞতাও স্বরণীয়, তবে সেটা পরীক্ষার হলে না, হলের বাইরে। পরীক্ষা দিয়ে বের হয়েই গুলিস্তানে জ্যামে আটকিয়ে ছিলাম। এমন সময় এক হিরোইনখোর এসে, বলে "১০০ টাকা দে"। আমি বললাম টাকা নাই। সে হঠাৎ মুখের ভিতর থেকে একটা ব্লেড বার করে বলে, "তাইলে ঘড়ি দে"। আমি যতদুর জানি, এই সব হিরোইনখোরদের ডর ভয় নাই, আমাকে একটা ব্লেডের পোচ দিতে আটকাবে না। আর ওদের বেশির ভাগই এইডস্‌ রোগী। এইডসের ভয়ে আমি ঘড়িটা দিয়ে দিলাম।


আমার করুন স্মৃতি রোমন্থন করলাম। তাই এই পোস্ট ডিলিট না করতে অনুরোধ করছি।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ভুল করে সাময়িক কথাটা লিখে ফেলেছিলেম। এখন ঠিক করেছি।
চিন্তার কারন নেই। আপনার কমেন্ট ঠিকমতই থাকবে।

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০৪

পান্জেরী বলেছেন: আ. আলাইকুম।
আপনার পরবর্তী গল্প শুনার অপেক্ষায় রইলাম।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:১২

বিবেক সত্যি বলেছেন: ভালো, আমার প্রথম অংকটা (ডাবল ফাংশন, আমি পড়তাম ফগ-গফ) মিলে গেছিলো বলেই মনে হয় কেমিষ্ট্রিতে চরম খারাপ করেও টিকে গেছি..:)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:০৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ঘটনাগুলো স্মৃতিতে জমা করে রাখ। একদিন তা মুহুর্তের জন্য হলেও সুখানুভূতি এনে দেবে।

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:৩৩

পথহারা বলেছেন: বুয়েট হৈলো কতগুলান উরবর মাথারে চিরো দিনের জন্য নষ্ট কৈরা দেওয়ার মেশিন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ভাল বলেছেন!!!!!!!

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:১৪

নরাধম বলেছেন: ভাইয়া বুয়েটে পড়েছিল। তাদের র‌্যাগডে'র টি-শার্টের পিছনে লেখা ছিল:

"I was born genius,
BUET made me dumb"

তবে আমি বুয়েটে অসাধারণ ব্রিলিয়ান্টও দেখেছি আবার চরম হাবা-হাদারাম ও দেখেছি। Overall, BUET বাংলাদেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন সন্দেহ নেই, অন্তত ছাত্ররা বিশ্বের যে কোন ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা রাখে। আমাদের পরিবারে একটা irony হচ্ছে আমার ছোট মামাকে সবচাইতে মেধাবী মনে করা হয় পরিবারের সবার মধ্যে। তিনি SAT এ খুব ভাল করেছিলেন এবং MIT তে full scholarship নিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তিনি বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাননি!!!!!!!!!!!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:১০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ইংলিশ মিডি্য়াম হলে খুব স্বাভাবিক। কারন দুটোর সিলেবাস দুই রকম।

আর না হলে মজার ব্যাপারই বটে।

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:১৭

আব্বু ৬৯ বলেছেন: আপা কোন ডিপার্টমেন্টে ছিলেন? আমার কাজিনরা ছিল বুয়েটে ৮০র দশকের শেষের দিকে৷

১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:২৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস।

আমি মুখচোরা। আমাকে না চেনার সম্ভাবনাই বেশী।

১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:৪৩

জেনারেল বলেছেন: পথহারা,
আমি এক্সামে ফেলটু মারায় আমারে ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে বাহির কইরা দিছে, এখন পিয়াজ কাটি, মাঝে মাঝে পিয়াজ খাইও!! :)

১৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:১৭

মুনিয়া বলেছেন:

বুয়েট আহামরি কিছু না। কিন্তু আমাদের দেশে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব এত বেশি যে তার মধ্যে যেখানে কিছুটা পড়াশোনা হয় ওটার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে সবাই।

লেখাটা ভাল লাগল। নিজের ভর্তি পরীক্ষার কথা মনে পড়ছে। ওভার কনফিডেন্ট আমি বলতে গেলে এইচ এস সির পর থেকে কোন পড়াশোনা না করে হলে বসে অন্যদের অংক করা দেখতে দেখতে দুয়েকটা করে অ্যানসার করছিলাম।

আর্কিটেকচার পরীক্ষাটা ভাল দিয়েছিলাম শুধু।
তারপরও বাসায় নিশ্চিন্ত বসে ছিলাম। আমি কোথাও পাব না চান্স নিশ্চিত ছিল ফ্যামিলি। কিন্ত আমার যে কাজিনকে নিয়ে সবাই আশাবাদী ছিল ও পরীক্ষাই দিতে পারেনি। আমার শুধু পরীক্ষা দিয়ে মনে হচ্ছিল যে এই চান্সটা ও পেলে বেটার হত, আমার মত ফাঁকিবাজদের চান্স পাওয়ার চেয়ে।

আবার এইসব করেও যখন শেষ হয়ে যাবে বুয়েট লাইফ তখন নিশ্চিতভাবেই মিস করব। ডিপার্টমেন্টের প্লিন্থে বসে দলবেধে আড্ডা হবে না; রাত ৯/১০টা পর্যন্ত স্টুডিওতে গান শুনতে শুনতে কাজ করা হবে না বন্ধুদের সাথে- এসব ভাবতেই পারি না। তবে জীবন তো এরকমই...

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আর্কি হলে তো রাত জাগা কমন। আর এর মজাই তো আলাদা।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৫৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "আবার এইসব করেও যখন শেষ হয়ে যাবে বুয়েট লাইফ তখন নিশ্চিতভাবেই মিস করব। ডিপার্টমেন্টের প্লিন্থে বসে দলবেধে আড্ডা হবে না; রাত ৯/১০টা পর্যন্ত স্টুডিওতে গান শুনতে শুনতে কাজ করা হবে না বন্ধুদের সাথে- এসব ভাবতেই পারি না। তবে জীবন তো এরকমই..."

মুনিয়া, সে জীবন একবার পেয়েছিলাম। সে কারনেই আমার এত ভাল লাগা রয়ে গেছে। আর স্মৃতিতে রয়ে গেছে সেই মুখগুলো যাদের সাথে এতটা সময়, এতটা বছর কাটিয়েছিলাম।

১৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:২৫

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ৯ জানুয়ারী , সে বছরের সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছিল সেদিনই , ভুলবো না কখনো.........ভুলবার মত স্মৃতি না

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৫১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: স্যারদের এত ঝাড়ি খেয়েও কেন যে বুয়েটকে এত ভালবাসলাম জানি না........................

১৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৪

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:

+

'বুয়েট আহামরি কিছু না।'- সুন্দর বলেছেন মুনিয়া

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:৫১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমারও তাই মত।

তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বুয়েট স্বকী্য়তা বজায় রেখে চলেছে। রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত থাকাটাই এর সাফল্যের কারন।

২০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৬

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:



জেনারেল
বলেছেন: পথহারা,
আমি এক্সামে ফেলটু মারায় আমারে ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে বাহির কইরা দিছে, এখন পিয়াজ কাটি, মাঝে মাঝে পিয়াজ খাইও!!

;)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমিও মজা পেয়েছি । হাহ....................

২১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সবাইকে মন্তব্য করা ও পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

স্মৃতির ঝুলি থেকে কিছু সংগ্রহ নিয়ে পরবর্তীতে আপনাদের সাথে আবারো দেখা হবে।

২২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:৪৮

মাহমুদ রহমান বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল......... ধন্যবাদ লেখককে।।

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৪১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:১১

গণ্ডার বলেছেন:
বুয়েটে ২য় দিন ড্রইং ক্লাসে কম্পাস আর টি স্কেল লইয়া যাই নাই বইলা বদখত টাকলুটা ক্লাস থাইকা ঘাড় ধইরা বাইর কইরা দিসিলো , রাগে সেইদিনের পর আর বুয়েটে যাই নাই।

একন আমিও জেনারেলের মত পিয়াজ কাটি

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "বদখ্ত টাকলু" কাজটা অন্যায় করেছে তবে বুয়েটে কনটিনিউ করলে পারতেন। প্রানোচ্ছল এক পরিবেশ কি আর বিদেশের প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়?

২৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:১৮

নীল েঢউ বলেছেন: বুয়েট ভালো ....।অনেক ভালো.।কিনতু বুয়েট এর টিচার দের একটু বুকিশ আর স্বাথ্র্পরতা ভাবটা কমাতে হবে......

২৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:২০

রাশেদ বলেছেন: হা হা! টি স্কেলের কথা মনে করাইয়া দিলা গন্ডু। আজব এক জিনিস ছিলো।

হায় বুয়েট, কেন যে পড়তে পারলাম না!!


আমিও এখন থালাবাসুন ধুয়ে বেড়াই।

২৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:২৩

নীল েঢউ বলেছেন: রাশেদ বলেছেন: হা হা! টি স্কেলের কথা মনে করাইয়া দিলা গন্ডু। আজব এক জিনিস ছিলো।

হায় বুয়েট, কেন যে পড়তে পারলাম না!!


আমিও এখন থালাবাসুন ধুয়ে বেড়াই।

আমারো একি অবস্থা......:(

২৭| ১৮ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:২৯

বৃত্ত বলেছেন: পড়লাম। শুরুতে ডেমন অনুভুতি হয়েছিল- কমেন্ট পড়ে আসতে আসতে সেটা হাসিতে রুপান্তরিত হল। আপনার ব্লগে কমেন্ট করছি, জানি আপনি এর জবাব দিতে পারবেন না, কর্তৃপক্ষ আপনাকে ব্যান করে রেখেছে, তবুও, আমার ভালো লাগে।

২৮| ১৮ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:০৪

তারিক রিদওয়ান বলেছেন: বুয়েট বুয়েট বুয়েট বুয়েট বুয়েট বুয়েট বুয়েট বুয়েট বুয়েট বুয়েট !!!! ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল !!!!!! আমার বাসাও ছিল বুয়েট এর পাশেই, লালবাগ। আমার ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতি এত শখ বলে আমার আম্মুব্বু ও রাজি ছিলেন বুয়েটের ব্যাপারে। এ জন্য SSC & HSC তে বুয়েট এর নেভাল আর্কিটেকচারের এক ভাইয়ার কাছে প্রাইভেট পড়তাম। তাও আবার তিনি বাসায় এসে পড়াতেন। HSC তে ৩০০০ টাকা করে দিতাম প্রতি মাসে, কিন্তু SSC তে কত দিয়েছি খেয়াল নেই।

অনেক আশা-ভরসা নিয়ে HSC তে এ প্লাস পেয়ে বুয়েট এ ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিলাম। আসলে আমার মনে হয় এ প্লাস পেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাস চলে এসেছিল, বা আলসামীর কারণে পড়ালেখা করিনি ভালভাবে। আমি আবার ভীষণ ফাঁকিবাজ কিনা তো ;)

২০ নভেম্বর ২০০৮, বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। পরীক্ষার হল থেকে বের হয়েই বুঝলাম আমি চান্স পাবনা। নৈর্বক্তিক শেষ হবার পর আশা ছিল, লেখার পার্ট টা ভাল করে দিতে পারলে অন্তত চান্স পাব ওয়েটিং এ। তাও হলনা :(

সেদিন খুব খারাপ কাটল আমার। আম্মুব্বু অনেক জিজ্ঞেস করল কেমন হল ?? চান্স পাব কিনা ??? আমি কিছু ক্লিয়ারলি বলিনি। কারণ আমি জানতাম চান্স পাবনা। শেষ মেষ তাই হল, চান্স পেলাম না। রেজাল্ট দেয় ২৯ নভেম্বর। আমি তেমন কষ্ট পাইনি। কারণ এই ৯ দিনে আমার কষ্ট ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আম্মুব্বুর জন্য খুব খারাপ লাগল।

২১ শে জুন, ২০০৯ সকাল ৯:২৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কষ্ট পাবার কিছু নেই। জীবন অনেক বড় আর ঘটনা বহুল।

তবে প্রথম যৌবনের স্বপ্ন ছবির মত। সে আকাংখা পূরন হবার মত আনন্দদায়ক বোধ করি কিছু নেই।

২৯| ১২ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:০৮

জনৈক আরাফাত বলেছেন: আমাদের ভর্তি পরীক্ষাও হয়েছিলো রোজার মধ্যে। বুঝতেছিনা। আপনি সিনিওর না জুনিয়র!

আনিসুল হক বলেন, সিভিল আর ইএমই বিল্ডিং এর মাঝে দিয়ে হাটলে নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়। দুইবছরের বেশি হলো পাশ দিলাম। এখনও যাই। ০৫ চলে গেলে পরিচিত মুখ একদম কমে যাবে। তখন আর যাওয়া হবেনা। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলো ওখানে কাটিয়েছি। যে যাই বলুক। এখন হয়তো অনেক নন-বুয়েটিয়ান দের চেয়ে অনেক খারাপ আছি। কিন্তু, বুয়েটের অনুভূতি, ভালো লাগার অনুভূতিটা ভোলা যাবেনা। তাই এখনও যাই। প্রায় প্রতি সপ্তাহে। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য!

৩০| ১২ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:২০

ধূসর মানচিত্র বলেছেন: বুয়েটের ক্যাম্পাস লাইফ খুব একটা মনে করতে চাই না, তবে হল লাইফ জোশ, এখন ও মাঝে মাঝে মনে হয় সেই দিনগুলিতে ফিরে যেতে পারতাম। রাত দুপুরে ঘুরতে বাহির হওয়া। ব্লকের
মধ্য তরমুজ অথবা পানি ফাইট। বিদায়ী ভাইদের বাশ দেওয়া এবং অবশেষে নিজে বাশ খাওয়া জুনিয়রদের থেকে। ছাত্রের সুন্দরী বড় বোনের কাছে এক্সট্রা খাতির পাওয়া(অকারনে ফোন কল)।
আমি চাই না আমার এই যান্ত্রিক অফিসিয়াশ জীবন- ফিরি পেতে চাই জীবনের স্বণা'লী দিন।

৩১| ১২ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৩৬

টোনা বলেছেন: আমাদের হইসিলো ঈদের ৬ দিনের মাথায় .. ১০ নভেম্বর , ২০০৫ ... আমি কেমিস্ট্রি কিচ্ছু পারি নাই .. খালি ফিজিক্স আর ম্যাথ দিয়া উইঠা আসছি .. ;) :)

৩২| ১২ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৪৫

অদ্ভুতুড়ে বলেছেন: আমাদের ক্লাস শুরু হয়েছিল ১৩ই এপ্রিল, এখনো প্রতিবছর ১৩ই এপ্রিল ক্যাফের সামনে আমরা কয়েকজন বন্ধু এক হই, আগে থেকে কাউকে কিছু বলা হয়না, সবাই এম্নিতেই আসে। বুয়েট জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া অসম্ভব ভাল কিছু বন্ধু।

আমাদের সময় পরীক্ষাও রোজার মধ্যে হয়েছিল

৩৩| ১২ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৪৮

মুক্ত বয়ান বলেছেন: ধূসর মানচিত্র তো সবই কইয়া দিলেন মোটামুটি!!! :(

আমাদের ইতিহাস.. ১০ই নভেম্বর, ২০০৫. সার্ক সম্মেলন ছিল সেদিন। আমরা রাস্তা চিনি না। নতুন এসেছি ঢাকায়!! সিএনজি করে এই রাস্তা, সেই রাস্তা!! কত টেনশন!!

এখনো পর্ছি.. আর তো ১টা লেভেল বাকি। এখন একটু বুড়া বুড়া লাগে!!

১২ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৩৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এত দিনে নিশ্চয়ই পড়া শেষ!!!!!!!!

৩৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৮:২৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ২০০১ সালে ফেরত চলে গেলাম। কপালে বুয়েট লেখা ছিল না; এক সময় আফসোস্‌ ছিল। এখন নাই!
:)

১০ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৪২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: অনেক আফসোস আমিও পেরিয়ে এসেছি ..............।

৩৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৮:২৭

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: বুয়েট ভাল লাগে। :)

১০ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৪১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: চলে আসার পরে বেশী ভাল লাগে, বেশী মনে পড়ে। অথচ যখন ছিলাম তখন মনে হত, কেন এত পড়াশোনা, কবে বের হব।

জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো কেটেছে সেখানেই।

৩৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৩

ফটো পাগল বলেছেন: কোথায় এখন ??? সার্চ করে খুজে পড়ছি এসব। খারাপ লাগাটাকে আরো বাড়ানোর জন্য ..........

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৩০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: মন্তব্য তো মাথার উপর দিয়ে গেল। তিন বছর আগের একটা প্রায় ভুলে যাওয়া লেখায় মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন।

৩৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৯

দেখতেসি বলেছেন: আগের দিনের ব্লগ পড়তে ভালই লাগে।ব্লগে মনে হয় আগের মত মজা নাই।

৩৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১২

রুটিন ছাড়া বলেছেন: আমি বিজনেস লাইনের ছিলাম.........আইবিএ , ওয়াশিংটন ইউনি ,বোস্টনে সিএফএ ।
এত জায়গায় পড়লেও সব জায়গা কিন্তু মাথাকে ট্রিগার করেনি।করেছে শুধু ঢাকার টিএসসি ,মধুর ক্যান্টিন, মিছিলের চিল্লাচিল্লি, সব গেথে আছে মাথায় সব। এখনো মাঝে মাঝে বেশ সকালে গিয়ে হেটে বেড়াই পরিচিত সব রাস্তা গুলোয়।মনে পড়ে যায় ঐ দিনগুলোর কথা, রোমান্থন করি ঐ দিনগুলোকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.