নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ভাঙ্গাঘরে,তুমি এলেই ভালোবাসা বৃষ্টিহয়ে ঝরে

ঈশান মাহমুদ

আমি অগোছালো মানুষ এক। মেয়ে অন্বেষা ও ছেলে রিশাদের প্রিয় বাবা এবং প্রিয়তমা স্ত্রীর ’অপদার্থ’ স্বামী। ;)

ঈশান মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ক্রাইসিসঃ আমাদের আতঙ্ক এবং উদাসীনতা

১৯ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬



ছবি সুত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল এবং প্রথম আলো।

গত কয়েকদিন ধরে চারিদিকে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। করোনা আতঙ্কে মানুষগুলো সব বদলে গেছে। প্রায় স্থবির হয়ে গেছে জনজীবন। উপরে উপরে সব কিছু স্বাভাবিক মনে হলেও ভিতরে ভিতরে মানুষ দারুণভাবে আতঙ্কগ্রস্থ। করোনা আসছে। সে সঙ্গে ধেয়ে আসছে হিমশীতল মৃত্যু। এই মৃত্যু বড়ো করুণ এবং মর্মান্তিক।

হঠাৎ লকডাউনের আশঙ্কায় কিছু লোক ছুঁটছেন বাজারে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী কিনে মজুদ করছেন। যেটা করা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু আতঙ্ক মানুষকে অতি সর্তক অথবা কান্ডজ্ঞানহীন করে তোলে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে এমন যুক্তিহীন, অবিবেচক, অমানবিক, কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ড আমাদেরকে সামনে আরো দেখতে হতে পারে।

ফেসবুকে দেখলাম বাজারে হঠাৎ হুমড়ি খেয়ে পড়া এই মানুষগুলোর চলছে কঠিন সমালোচনা। কেউ কেউ 'বেহায়া অসভ্য জাতি' বলে গালাগালিও দিচ্ছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে এই দৃশ্য শুধু আমাদের দেশেই নয়, উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই দেখা গেছে। দেশ, কাল পাত্র ভেদে সব দেশেই আতঙ্কিত মানুষ, দিশেহারা, বেপরোয়া।

ধরেন আল্লাহ না করুন, কাল থেকে লকডাউন শুরু হলো। (আমার ধারণা ব্যাপারটা হঠাৎ করে ঘটবে আগাম কোন জানান না দিয়ে। এই ব্লগ যখন পোস্ট করছি, তখন অলরেডি মাদারিপুরের শিবচর উপজেলায় দেশের প্রথম লকডাউন শুরু হয়ে গেছে) এখন আপনার বাসায় চাল-ডাল নেই। তখন আপনি কি করবেন? আপনার সরকারতো আর জাস্টিন ট্রুডোর সরকার না, (আর দেশটাও কানাডা না) যে বাসায় বাসায় খাদ্য পৌঁছাইয়া দিবে। তাই মানুষ যদি সর্তক হয়ে (কিংবা প্যানিকড হয়ে) আপতকালের জন্য কিছু খাদ্য আগাম কিনে রাখে, তাকে আপনি দোষ দিতে পারেন না। আমরা যদি 'বেহায়া অসভ্য জাতি' হই তবে উন্নত দেশের ওরা কী যারা টয়লেট পেপারের জন্যও সুপার শপে গিয়ে মারামারি করে?

অতিমাত্রায় আতঙ্কগ্রস্থ মানুষের পাশাপাশি আবার কিছু মানুষ খুবই উদাসীন। এরা দিব্যি হেসে খেলে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াচ্ছে। দেশে দেশে যখন 'লক ডাউন' হচ্ছে তখন হঠাৎ বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছুটি কাটাতে অনেকেই কক্সবাজার যাচ্ছে, কেউ কেউ বিয়ে শাদীও করছে। এই সপ্তাহেই দুটি বিয়ের দাওয়াত। এদের ধারণা, করোনা এদের স্পর্শ করবে না। স্পর্শ করলেও গালে চুমু দিয়ে চলে যাবে।

অতিমাত্রায় আতঙ্কগ্রস্থ কিংবা উদাসীনতা নয়, আসুন আমরা সবাই সচেতন হই, করোনার বিপদ সম্পর্কে সর্তক হই। সরকারী নির্দেশনা এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না যাই। হে আল্লাহ, তুমি আমাদের রক্ষা কর। করোনা ক্রাইসিস মোকাবেলা করার সাহস এবং শক্তি দাও। আমিন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নিজে বাঁচুন। পরিবার,সমাজ ও রাষ্টকে বাঁচান। মনে রাখবেন আপনিই আপনার পরিবারের প্রিয় লোকটির হত্যাকারী বনে যাচ্ছেন । তবুও কেন আপনারা চেক আপ করে করোনা পজিটিভ শুনলে হাসপাতাল হতে পালিয়ে যাচ্ছেন। সচেতন হউন। সাবধান হউন।

২০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩১

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এই সময় কারো মাত্রাতিরক্ত হাঁচি-কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাস কষ্ট এবং জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বেচ্ছায় সরকারি কোয়ারেন্টিনে চলে যাওয়া উচিৎ। নিজের পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে এভাবে সেক্রিফাইস করা দরকার।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১০

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশের পত্রিকা পড়লে অবস্য্ আতংক লাগে না। করোনার রোগীর তেমন খবর নাই।

২০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: করোনা আমাদের সময় দিচ্ছে। আমরা হয়তো সেই সময় হেলায় নষ্ট করছি। করোনা যখন তার সর্বগ্রাসী শক্তি নিয়ে দৃশ্যমান হবে, ছেয়ে ফেলবে শহর, জনপদ। তখন হয়তো আমাদের করার কিছুই থাকবে না। হে আল্লাহ, ক্ষমা করো প্রভু।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঈশান মাহমুদ,




সচেতন হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
অথচ বাঙালীরা সচেতন হয় না কখনও, হয় কৌতুহলী । নমুনা ------
এই ব্লগেই ব্লগার করুণাধারার পোস্ট - "যেভাবে করোনা ভাইরাস শরীরের কোষ ছিনতাই করে" সেখানে সহব্লগার জুন এর মন্তব্য- "একটু আগে জানলাম ঢাকা শহরের মাঝেই আমাদের গাড়ি চালকের এলাকায় এক প্রবাসী জ্বর আর ঠান্ডায় মারা গেছে। সন্দেহের তীর করোনার দিকে। এটা শুনে এলাকার লোকজন দলে দলে দৌড়াচ্ছে তার বাড়ির দিকে তাকে এক নজর দেখার জন্য। বোঝেন আমরা কত কৌতূহলী জাতি।"
লিংক -
যেভাবে করোনা ভাইরাস শরীরের কোষ ছিনতাই করে

২০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: হুম, আমার ধারণা বাঙালির মতো কৌতুহলী জাতি আর পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। সব কিছুতেই আমাদের অবাক কৌতুহল। এই কৌতুহল প্রবণতা কোন লাজ-লজ্জা, প্রাইভেসি, গোপনীয়তা কিছুরই কেয়ার করে না। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে চলেছে। দু'চারদিন পর দুর্লভ হয়ে যাবে অনেক পণ্য। গরিব আর সীমিত আয়ের মানুষ কিভাবে বাঁচবে? এই প্রশ্নের উত্তর না খুঁজে, আসুন, আমরা মরতে মরতে সরকারের গুণকীর্তন করি!

২০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া এখন উচিত সবার স্বেচ্ছায় লক ডাউনে চলে যাওয়া। তবে যারা দিন আনে দিন খায়। সেই সব মেহনতি মানুষ গুলো এবং তাদেরর পরিবারের অন্নসংস্থান কিভাবে হবে? সেটাই আসলে ভাবার বিষয়। ঢাকার রাস্তায় গত দুদিন ধরে লোক চলাচল কমে গেছে। এ নিয়ে রিকসাঅলাদের হাহাকার দেখলাম।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৪৪

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ হাসপাতালে "কোভিড ১৯" (কোরোনা ভাইরাস) সনাক্ত করনের পর্যাপ্ত Kit নেই বলে অনুমান করা হচ্ছে। আরও আশংকা ডাক্তার ও নার্সদের পর্যাপ্ত Protective Garments ও নেই।বলেও আশংকা করা হচ্ছে সরকারের আইইডিসিআর (আশা করি সঠিক লিখছি) বিভাগটি র জানানো উচিত দেশের কোন হাসপাতালে কতজনের কোরোনা ভাইরাস সনাক্ত করনের কয়টি Kit আাছে বা সরবরাহ করা হচ্ছে। হাসপাতাল গুলোতে এই ভাইরাস রুগীর জন্য কতটি বেড রয়েছে।

আশার বিষয় চীনা সরকার ১০,০০০ কোরোনা ভাইরাস সনাক্ত করনের Kit পাঠিয়েছে বলে জানা যায়

২০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫১

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: এর আগে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিলো, 'করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। এই প্রস্তুতি উন্নত দেশ গুলোর চেয়েও ভালো'। এখন নানা সমস্যার কথা শুঞ্ছি। হে আল্লাহ, তুমি আমাদের রক্ষা কর। ক্ষমা কর প্রভু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.