নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ভাঙ্গাঘরে,তুমি এলেই ভালোবাসা বৃষ্টিহয়ে ঝরে

ঈশান মাহমুদ

আমি অগোছালো মানুষ এক। মেয়ে অন্বেষা ও ছেলে রিশাদের প্রিয় বাবা এবং প্রিয়তমা স্ত্রীর ’অপদার্থ’ স্বামী। ;)

ঈশান মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের স্ত্রীকে পরস্ত্রী\'র মতই ভালোবাসিবে...

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯



ফান পোস্টঃ

”জীবনে সুখী হইতে চাইলে নিজের স্ত্রীকে পরস্ত্রী'র মতই ভালোবাসিবে !”

এই ’তাত্ত্বিক উপদেশ’ অনুসরণ করিয়া সুখী হওয়ার বাসনা নিয়া স্ত্রীকে অত্যন্ত আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলিলেম...।

’প্রিয়ে, তোমাকে আমি চারতলার ফ্ল্যাটের মণিকা ভাবীর মতোই ভালোবাসি। যখনই আমি তোমার দিকে দৃষ্টিপাত করি, আমার হৃদয়ে যেন বৃষ্টিপাত হয়। সঙ্গে সঙ্গে মানসপটে মণিকা ভাবীর সুন্দর আখিঁ যুগল পদ্মফুলের মতোই ভাসিয়া উঠে। সেইখানে আমি শুধু তোমারই ছবি দেখি..’

অত্যন্ত আবেগঘন কণ্ঠে এই রোমান্টিক সংলাপটি ডেলিভারি দেওয়ার পর স্ত্রী তাৎক্ষণিক যে প্রতিক্রিয়া দেখাইলো, সে এক ’হৃদয় বিদারক’ ঘটনা। এইখানে না বলি। শুধু বলি, বাসার তিনখান ফুলদানী, গুটি কয়েক তৈজসপত্র ইতিমধ্যেই ধ্বংস হইয়াছে। রান্নাঘরে লাগাতার ধর্মঘট চলিতেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে, জানিনা কখন স্বাভাবিক হয় ! এমন ‘সংকটময়’ অবস্থায় হোটেলে গিয়ে মরা মুরগীর ঠ্যাঙ চিবানো ছাড়া কোন গতান্তর দেখছি না।

এই জন্য মাঝে মাঝে নিজের বাসায় নিজেকেই মেহমান মনে হয়। মেহমানের তবু একটা ‘মর্যাদা‘ আছে, কিন্তু আমিতো স্বামী, যেন আসামী। অবশ্য আমার স্ত্রীর রান্নার হাত খুব ভালো। কেবল মাঝে মাঝে তরকারীতে লবন দিতে, চায়ে চিনি দিতে 'ভুলে' যান।

একদিন খেতে গিয়ে দেখি তরকারীতে লবন একদমই নাই। তখন ডাইনিং টেবিলে বসেই আমার ভাবের উদয় হলো, মাথায় চলে এলো দু‘লাইন পংক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বলি, খেতে খেতে একাটি কবিতা এসেছে মাথায়, বলি?
খেতে খেতে কবিতা, তুমি আসলেই একটা চিজ। স্ত্রীর এই কথাকে ‘সম্মতি‘ ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে লাইন দুটো আউড়ে দেই...।

বড্ড ইচ্ছে করে তোমার হাতে আচম্বিতে খুন হয়ে যাই
তোমার লবন ছাড়া তরকারীতে একটুখানি নুন হয়ে যাই//

“কি ! তরকারিতে একটু লবন কম হয়েছে, সেটা নিয়ে কটাক্ষ! তুমি পারলে এভাবে আমাকে অপমান করতে !“ সঙ্গে সঙ্গে গরম তেলে বেগুন ভাজা হয়ে ঝলসে ওঠে সে। আমি সাফাই গাইতে চেষ্টা করি।
“না না তরকারিতে ভুলে লবন দাও নি সেটা নিয়ে একটু ঠাট্টা করলাম“।
“করবেইতো! আমিতো তোমার কাছে হাসি ঠাট্টার পাত্রই ?“ এভাবে শুরু করে সে ঝগড়া। ঝগড়ার সময় সে হয়ে যায় ‘ননস্টপ রেডিও‘। একবার বাজতে শুরু করলে…।

ঝগড়ার এক পর্যায়ে প্রচণ্ড রাগে আমার দিকে ‘ফুল‘ ছুঁড়ে মারে সে। আমি দ্রুত সরে যাই, কারণ ফুলের সঙ্গে ফুলদানীটাও ছিল। আমার অতি শখের ক্রিস্টালের ফুলদানীটি মেঝেতে পড়ে চূরমার হয়ে গেলো। এবার আমারও মেজাজ চড়ে যায়। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলি , ‘দেখো, আমাকে রাগিয়ে দিয়ো না। রেগে গেলে কিন্তু আমি মানুষ থাকবো না, আমার ভিতরের পশুটা বেরিয়ে আসবে।’

আমার কথা বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে সে তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে মুখ ভেংচি দিয়ে বলে, ‘আসুক, বেরিয়ে আসুক আমি নেংটি ইঁদুরে ভয় পাই না!’
ওর মারমুখি ভাব দেখে গৃহত্যাগ করাই নিরাপদ মনে করে দ্রুত বেরিয়ে আসি। বুঝতে পারি অন্তত আগামি তিনদিন আমার ঘরের ভাত নসীবে নেই।

এই হলো আমার ‘স্ত্রী‘ যাকে আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের আগেই টের পেয়েছিলাম, তার মেজাজ একটু গরম। কিন্তু তখন তার ভালোবাসায় রীতিমতো ‘অন্ধ‘ ছিলাম, আর এই আশায় বিয়ে করেছিলাম যে বিয়ের পর সে বদলে যাবে, আমিই তাকে বদলে ফেলবো। কিন্তু এখন বদলে আমি ঠিকই ফেলেছি, তবে তাকে নয়, নিজেকে। ঠিক তার মনের মতো করে। তবু তার মন পাচ্ছি কোথায় !

মনে পড়ে বিয়ের কয়েকদিন পর একরাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে একটু দেরী করে বাসায় ফিরেছিলাম। সে দরজা খুলেই শীতল কন্ঠে জিজ্ঞেস করে, “এতো রাত অবধি কোথায় কার সঙ্গে থাকা হয়েছে শুনি?“
তার প্রশ্ন করার ধরণ দেখে মেজাজ বিগড়ে যায় আমার। বলি, “আমি বাংলাদেশের একজন স্বাধীন, সার্বভৌম নাগরিক, যেখানে খুশী সেখানে যাবো, কাউকে কৈফিয়ত দিবো নাকি!“

সে আর একটি কথাও বলে না, নীরবে দরজা বন্ধ করে গিয়ে শুয়ে পড়ে। তারপর তিনদিন তিনি আমার সঙ্গে কোন কথা বলে না, চুলোয় কোন হাঁড়িও চড়ে না। হোটেলে খেতে খেতে অতিষ্ঠ হয়ে তৃতীয় দিন এসে স্বেচ্ছায় তার বশ্যতা স্বীকার করে নেই। অতপর বাধ্য হয়ে তার সঙ্গে একটি ‘অধীনতা মূলক মৈত্রী চূক্তিতে‘ আবদ্ধ হই। শর্ত এই যে আমি আমার...থুক্কু তার ইচ্ছেমতো চলবো, বিনিময়ে সে আমার তিনবেলা ‘খাদ্য নিরাপত্তা‘ নিশ্চিত করবে। অবশ্যই প্রতিদিন বাজার করা সাপেক্ষে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: নিজ স্ত্রীকে এমন ভাবে ভালোবাসবে- যা দেখে পরস্ত্রীরা ভালোবাসার লোভে তোমার কাচে চলে আসে :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪০

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: ভালো 'উপদেশ' দিয়েছেন বড়ো ভাই। তবে জান্তে ইচ্ছে করে, এই উপদেশ নিজের দাম্পত্য জীবনে এপ্লাই করে কতোটুকু 'নিরাপদে' আছেন। =p~

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নিজ স্ত্রীকে পরস্ত্রীর মত ভালবাসাই বুদ্ধিমানের কাজ তবে মূল যে বিষয় হলো কখনোই পরস্ত্রীর রেফারেন্স দেয়া যাবেনা । দিয়েছেন ত মরেছেন।

আর সকল প্রেমিকাই বিয়ের আগেও সেই রকম গরম থাকে , তবে তখন প্রেমের অল্প আচের উত্তাপে গরম কিছুটা কম হয় । এই আর কি ।

বিয়ের পরে সংসারে নানা ঝামেলার আগুনে উত্তাপ বেড়ে যায় আর স্বামী তখন আসামী হয়ে গরম তেলে ভাজা ভাজা হয় তবে এই ভাজায় ও মজা আছে ভাইজান।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪২

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: নিজ স্ত্রীকে পরস্ত্রীর মত ভালবাসাই বুদ্ধিমানের কাজ তবে মূল যে বিষয় হলো কখনোই পরস্ত্রীর রেফারেন্স দেয়া যাবেনা । দিয়েছেন ত মরেছে ঠিক বলেছেন ভাই, বিষয়টা মাথায় রাখা উচিৎ ছিলো। আসলে 'চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে'। =p~

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মনিষীরা বলেছেন;
- বিয়ে এমন একটা চুক্তি যার দ্বারা একটা ছেলে তার ব্যাচেলর ডিগ্রি হারায় আর একটা মেয়ে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করে।

বাজার করতে তো পারেনই এবার রান্নাবান্নাটা শিখে নেন দয়া করে। আর ড্রইং রুমের সোফার যত্ন নেবেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৪

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: হুম, সব কাজ যদি আমিই করি, তাহলে সংসারে তাঁর ভূমিকা কি ! ভাবছি...। B:-/

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৯

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: অনেক সহজ সরল মানুষ আপনি ;)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৪

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কিন্তু....'বোঝে না সে বোঝে না'। ;)

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সংসারে স্ত্রীর কাজ হোল স্বামীকে দেখে শুনে রাখা, ভালো উপদেশ, পরামর্শ দেয়া। স্বামী সময় মত, বাজার, রান্না, খাওয়া দাওয়া, কাপড় চোপড় ধোয়া ইত্যাদি করল কি না এগুলি দেখা। অনেক স্বামীর অনিদ্রার সমস্যা থাকে। স্ত্রী পাশে থাকলে তাদের স্বামীর অনিদ্রা থাকে না বরং দেখা যায় যে স্বামী সারা রাত নাক ডেকে ঘুমাতে পারে। ছোট বাচ্চা কান্না করলে স্ত্রী সহজেই স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে দিতে পারে। সকালে ওঠার জন্য ঘড়িতে এলারম দেয়া লাগে না। স্ত্রীর ধাক্কা খেয়ে সকাল বেলা স্বামীর ঘুম ভেঙে যায় সহজেই। মাঝরাতে কোন দুঃস্বপ্ন দেখে খাট থেকে পড়ে গেলে স্ত্রী সহজেই স্বামীকে টেনে তুলতে পারে। অনেক সময় স্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করলে স্ত্রী মশারী টানিয়ে দেয়।

তাছাড়া স্ত্রী থাকলে স্বামী ভালো শ্রোতা হতে পারে এবং তার ধৈর্য শক্তিও অনেক বৃদ্ধি পায়। সব কিছুতেই পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি ফিরে আসে। না বলা সে ভুলে যায়। বাসায় স্ত্রীর উপদেশ মিশ্রিত বাণী শুনতে শুনতে অফিসে বসের কড়া ঝাড়িও তার কাছে অনেক মধুর মনে হয়।

আরও সুবিধা আছে। স্বামীরা স্ত্রীর সাথে হিন্দি সিরিয়াল দেখে দেখে ভালো হিন্দি শিখে ফেলে। বাসার ছোটখাটো বিষয় নিয়ে স্বামীকে চিন্তা করতে হয় না। কোন মার্কেট থেকে কি কিনতে হবে, কোথায় কত টাকা খরচ করতে এইসব ছোটখাটো বিষয়ে সব সময় স্ত্রীদের পাশে পাবেন। শুধু বড় বড় বিষয় যেমন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শাসন ভালো না ট্রাম্পের শাসন ভালো, গ্লোবাল ওয়ার্মিংের জন্য ধনী দেশ না গরীব দেশ দায়ী, তালেবান ভালো না পাকিরা ভালো, পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপি কয়টা আসনে জয়ী হবে এইসব বড় বড় বিষয়ে স্বামীদের সময় দিলেই চলে। বাকি ঘরের সিদ্ধান্তগুলি স্ত্রীদের উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০০

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, আপনার দাম্পত্য অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক সমৃদ্ধ দেক্তে পাচ্ছি। সংসার এবং স্ত্রীর ব্যাপারে স্বামীদের ভূমিকা আপনি বেশ সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। হা, একজন 'আদর্শ স্বামী' নিশ্চয়ই স্ত্রীর অনুগত। স্ত্রীর হাতে সংসারের সব দায়িত্ব (বাজার করা ছাড়া। শপিং'এ তীব্র আকর্ষন থাকলেও স্ত্রী জাতি আবার কাঁচা বাজারে যেতে খুব একটা আগ্রহ দেখান না।) তুলে দিয়ে তিনি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নিশ্চিন্তে চিন্তা-ভাবনা করতে পারেন। এইটাই বা কম কিসে ! :P =p~ :-P

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৯

জিকোব্লগ বলেছেন:



কনসেপ্টটা সমস্যাজনক!
"
নিজের স্ত্রীকে নিজের স্ত্রী'র মতই ভালোবাসিবে...
পরস্ত্রী'কে পরস্ত্রী'র মতই দেখিবে ...
"
হওয়া উচিত ছিল।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৭

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: রাইট ইউ আর। বাট, বাঙালি সব সময় পরের জিনিসের প্রতিই আকর্ষন বোধ করে। না পাওয়া জিনিসের প্রতিই তার যতো লোভ। যেটা পাওয়া হয়ে গেছে সেটা তার কাছে সস্তা লাগে। একটা মোবাইল ফোন (সেটা যতো দামীই হোক) কিনে পরের দিনই আরেকজনের হাতে অন্য একটি মডেল দেখে আফসোস করে ইশ, ঐটা কিনলাম না কেনো, ঐটা কত সুন্দর ! ;) =p~ :-P

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৮

জিকোব্লগ বলেছেন:



স্ত্রীকে মোবাইল ফোন বা কোনো বস্তুর মতন ভাবা ভুল।
এটা করলে আপনি আরো সমস্যার মধ্যে পড়বেন।

স্বামী ও স্ত্রী দুইজনই মানুষ।
স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীকে স্ত্রীর মতনই ভাবতে হবে,
স্ত্রীর পক্ষ থেকেও স্বামীকে স্বামীর মতনই ভাবতে হবে।

তাহলেই হয়তোবা আপনার সমস্যার সমাধান হবে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০০

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: 'মোবাইল ফোন' না ভাই, 'ননস্টপ রেডিও'...একবার বাজা শুরু করলে সহজে থামে না। :P

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪১

শায়মা বলেছেন: বাহ আমি তো ভাবীর ফ্যান হয়ে গেলাম :)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৭

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: নারীতে নারীতে মাসতুতো বোন ! =p~ =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.