নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে স্বাগতম...

হেজাজের কাফেলা

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র..

হেজাজের কাফেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম সারাখসী রহঃ'র জীবন- কথা…

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:১৯

শামসুল আইম্মাহ সারখসী( রহঃ)মৃত্যু ৪৩৮ হিজীরী। সাধারণ মানুষ উনার সম্পর্কে তেমন অবগত না হলেও, তালিবুল ইলমদের নিকট তিনি ইলমে নববীর একটি ' সুরাইয়্যা সেতারা'। উনার পুরা নাম,মুহাম্মদ বিন আহমদ আবু বাকার সারাখসী।হিজরী পন্চম শতাব্দীর সেইসব আলেমদের অন্যতম একজন,যাকে আল্লাহ তা'আলার নিদর্শনাবলির একটি বলা যায়।তিনি মূলত খোরাসানের একটি ক্ষুদ্র জনবসতি" সারাখস" অন্চলের মানুষ। সম্বভত ইলম অর্জনের জন্য" ফারগানার" উযজান্দ এলাকায় এসেছিলেন। যেখানে উনার কবর অবস্থিত।

#বন্দি- জীবনঃ

" উসুলুস সারাখসীর" ভূমিকা থেকে প্রতিয়মান হয় যে,তিনি ৪৭৯ হিজীরীর শাওয়াল মাস পর্যন্ত বন্দি ছিলেন। তিনি " উসুলুস… এবং মাবসূতের" বিভিন্ন স্থানে বন্দি- জীবনের কথা উল্ল্যেখ করেছেন।তবে কি কারণে বন্দি হয়েছেন তার বিস্তারিত কোন তথ্য নির্ভরযোগ্য সনদে পাওয়া যায়নি।তবে এতটুকু সত্য যে, সত্য কথা বলার অপরাধে সমকালীন জালীম শাসক খাকান উনাকে কুপের মত একটি গর্তে বন্দি করে রেখেছিল।ফলে বছরের পর বছর উনাকে সেখানে বন্দি থাকতে হয়েছিল।যেখানে হাঁটা- চলার মত কোন উপায় ছিল না।

মাবসুত এর কিতাবুস সিয়ারের শেষে তিনি লিখেছেন যে, ' একটি সত্য কথা বলার অপরাধে উনাকে বন্দি করা হয়েছিল। তবে তিনি এর ব্যাখ্যা দেননি। ( দেশে- দেশেঃ২৫৭)

#লেখা- লেখিঃ

গর্তে বন্দি অবস্থায় তিনি ইলমের ইতিহাসের সমুজ্জল মহান শ্রেষ্ঠ ও বিরল গ্রন্থ ' আল- মাবসুত ' রচনা করেন।তিরিশ খন্ডে সমাপ্ত এই বিরল গ্রন্থটি তিনি কুপে বসে- বসে বলতেন আর উনার ছাত্ররা কুপের পাড়ে বসে তা লিখত।এভাবেই তা ইলমের বিরল ইতিহাস বনে যায়। মাবসুতের ভূমিকায় যা তিনি নিজেই লিখেছেন।

এ ছাড়া তিনি যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের ইসলামী কিতাব ' সিয়ারুল কাবীরের(লিখকঃ ইমাম মুহাম্মদ রহঃ) ব্যাখ্যা গ্রন্থও লিখেছেন।যা পাঁচ খন্ডে প্রকাশিত হয়।এবং এ বিষয়ে একটি নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ।বন্দি অবস্থায় তিনি উসূলুস সারাখসীও লিখেছেন।

বন্দি অবস্থায় তিনি ছাত্রদের সাথে দ্বারায় যে সব কিতাব গ্রন্থনা করাতেন তা কেবল উনার স্মৃতিনির্ভর ছিল।সেখানে সাহায্য নেয়ার মত অন্য কোন কিতাবের ব্যাবস্থা ছিল না।এর দ্বারায় বুঝা যায় যে, উনার স্মৃতিশক্তি কত প্রখর ছিল।

#..…।

শায়্খুল ইসলাম আল্লামা তকী উসমানী দা,বা, হযরতের ' তাজিকিস্তান ' সফরনামায় লিখেছেন,' আমি আজ সেই শহরে দাড়িয়ে আছি- যেখানে তিনি এই বিস্ময়কর কীর্তি সম্পাদন করেছিলেন। এটাকে হযরত রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলিহি ওয়াসাল্লামের দ্বীনের মোজেজা ছাড়া আর কী বলা যায়! আজ এখানে সেই গর্ত নেই।কূপের নাম নিশানাও নেই।যেখানে তিনি বছরের পর বছর দুবির্ষহ বন্দিজীবন যাপন করেছেন সেই কারাগার আর নেই।সেই শাসক নেই।সেই শাসক সম্প্রকে জানে এমন কোন ব্যক্তিও নেই।যেই জালেম একদা এমন পুতঃপবিত্র একজন ব্যক্তিকে অহংকারবশত এমন বর্বর শাস্তি দিয়েছিলেন।কিন্তু ইমাম সারাখসী রহঃ এর নাম আজো বেঁচে আছে।অমর হয়ে আছে।কেয়ামত পর্যন্ত ইনশাল্লাহ মানুষ তার এই কীর্তির জন্য প্রশংসা করে যাবে।তার জন্য মানুষ রহমতের দো'আ করে যাবে..……

রাহিমাহু ল্লাহ…

( আল্লাহু আ'লামু বিস- সওয়াব…)

সংক্ষেপিত এবং সংকলিত

' দেশে দেশে পৃঃ ২৫৬-২৬৬্ִ

--- ইসহাক বিন ওমর

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

বদলে যাই বলেছেন: পড়ে খুব ভাল লাগলো, ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

হেজাজের কাফেলা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.