নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি মানুষকে আহবান করে, সৎকাজ করে এবং বলে, ‘আমি তো আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম)’ তার অপেক্ষা কথায় উত্তম আর কোন্ ব্যক্তি (৪১ : ৩৩)

ইসলাম হাউস

তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন।তিনি কাউকে জন্ম দেন না, আর তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি।তাঁর সমকক্ষ কেউ নয়।

ইসলাম হাউস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যূর পর কি হবে আপনার

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

মৃত্যূর পর কি হবে আপনার

একদিন একজন সাহাবী মা*রা গেলেন। রাসূল পাক (সাঃ) উনার জানাজা পড়ালেন। তারপর একদল সাহাবী মৃ*তদেহ কবর দেয়ার জন্য কবরস্থানে নিয়ে আসলেন। তাদের সাথে আসলেন নবী করিম (সাঃ)। ইতিমধ্যে দুই জন সাহাবী কবর খুঁড়তে শুরু করে দিয়েছেনI
নবীজি গভীর মনোযোগ দিয়ে কবর খোঁড়া দেখছিলেন। একটু পর সবার দিকে তাঁকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- "তোমরা কি জানো, মানুষ মা*রা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয়?"
সাহাবাদের আদব ছিলো, রাসূল (সাঃ) কিছু জিজ্ঞেস করলে তারা আগ বাড়িয়ে কিছু না বলে বরং বলতেন-’আল্লাহ এবং তার রাসূলই ভালো জানেন’I এখানেও তারা তাই বললেন।
তখন নবীজি বললেন- "শুনো, যখন মানুষ একেবারেই মৃত্যু শয্যায়, তখন সে ফেরেস্তাকে দেখে ভয় পায়। কিন্তু যে বিশ্বাসী ও ভালো মানুষ তাকে মৃত্যুর ফেরেস্তা হাসি মুখে সালাম দেনI তাকে অভয় দেন এবং মাথার পাশে এসে ধীরে ও যত্ন করে বসেনI তারপর মৃত প্রায় মানুষটির দিকে তাকিয়ে বলেন- ‘হে পবিত্র আত্মা! তুমি তোমার পালনকর্তার ক্ষমা ও ভালোবাসা গ্রহণ করো এবং এই দেহ থেকে বের হয়ে আসো’I
মুমিনের আত্মা যখন বের হয়ে আসে তখন সে কোন ধরণের ব্যথা ও বেদনা অনুভব করে না’ I
নবী করিম (সাঃ) আরেকটু ভালো করে উদাহরণ দিয়ে বললেন- ‘মনে করো একটা পানির জগ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর উপর থেকে এক ফোঁটা পানি যেমন নিঃশব্দে নিচে নেমে আসে, ঠিক তেমনি তার আত্মাও তার দেহ থেকে নীরবে বের হয়ে আসে’I
সেই সময় অন্য দুই জন ফেরেস্তা বেহেস্ত থেকে খুব সুগন্ধি মাখানো একটা নরম সুতার সাদা চাদর নিয়ে আসেন এবং তারা আত্মাটিকে সেই চাদরে আবৃত করে আকাশের দিকে নিয়ে যানI তারা যখন আকাশে পৌঁছেন তখন অন্য ফেরেস্তারা সেই আত্মাটিকে দেখার জন্য এগিয়ে আসেনI
কাছে এসে সবাই বলেন- ‘সুবহানাল্লাহ ! কত সুন্দর আত্মা, কি সুন্দর তার ঘ্রান’! এই বলে তারা সবাই জানতে চান- ‘এই আত্মাটি কার’?
উত্তরে আত্মা বহনকারী ফেরেস্তারা বলেন- ‘উনি হলেন "অমুকের সন্তান অমুক"।’
বাকি ফেরেস্তাগণ তখন আত্মাটিকে সালাম দেন। তারপর আবার জিজ্ঞেস করেন- ‘উনি কি করেছেন? উনার আত্মায় এতো সুঘ্রাণ কেন’?
আত্মা বহন কারী ফেরেস্তা গন তখন বলেন- ‘আমরা শুনেছি, দুনিয়ায় মানুষজন বলা-বলি করছে, “উনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন, আল্লাহর ভালো বান্দা, অনেক দয়ালু, মানুষের অনেক উপকার করেছেন’I
এতটুকু বলার পর নবী করিম (সাঃ) একটু থামলেনI তারপর সবার দিকে ভালো করে দৃষ্টি দিয়ে, উনার কণ্ঠটা একটু বাড়িয়ে বললেন- ‘এই কারণেই বলছি, সাবধান ! তোমরা কিন্তু মানুষের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করবে নাI তুমি মারা যাওয়ার পর মানুষ তোমার সম্পর্কে যা যা বলবে, এই আত্মা বহন কারী ফেরেস্তারাও আকাশে গিয়ে ঠিক একই কথা অন্যদেরকে বলবেI’
কি সুন্দর শিক্ষা দিলেন মহানবী (সাঃ)। আমাদেরও এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে, দয়াবান হতে হবে। কারো সাথে খারাপ আচরণ, ঝগড়া বিবাদ করা যাবে না। তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে দুনিয়া এবং আখেরাতে সম্মানিত করবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.