নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন যদি মানুষের উপকারে না আসে, সেই জীবনের মূল্য নেই। সবার মাঝে বিলিন হতে পারাই জীবনের স্বার্থকতা। কান্না নিজের জন্য আর হাসি সবার জন্য।

ইসমাঈল আযহার

মেইল[email protected], স্বপ্ন দেখি শুদ্ধ মানুষ হওয়ার, সোনার বাংলা গড়ার। শখ, লেখালেখি, ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গি বই। ভালবাসি মাকে, নিজেকে, আমার বাবাকে।

ইসমাঈল আযহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাল্য বিবাহ নিয়ে তুলকালাম কান্ড

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬


বাল্য বিবাহ ভাল না মন্দ এ নিয়ে বিবাদ বেশ পুরোনো। এই পুরোন বিষয় নিয়ে দু’চার কথা না বললে নয়। এক দল বলছে বাল্য বিবাহ ভাল না।(এদের দলটাই ভারি)। তবে বাংলাদের মাটিতে বাল্য বিবাহের সমার্থন না দেয়াটা আমার কাছে ঠিক বলে মনে হয় না। বরং বাল্য বিবাহকে ভাল বলতেই হবে আমাদের দেশের পরিস্থিতি লক্ষ করলে। বাল্য বিবাহের কারণে ক্ষতি যা হচ্ছে, লাভ হচ্ছে তারচে’ বেশি। যে সকল হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েরা না খেয়ে না পরে বড় হত, তারা খেয়ে পরে একরকম স্বচ্ছন্দেই বড় হচ্ছে তারা। প্রেম নামক যে মহামারি আমাদের দেশে শুরু হয়েছে সেটার ব্যাপারে আইন করা যেতে পারে। আর বাবা মায়েরা যদি সন্তানদেরকে একটু আগে বিবাহ প্রদান করেন তাহলে সমস্যাটা কম হলেও ঘুচবে আশা করা যায়।

এইযে একটু আগে বিয়ে দেয়ার কথা বললাম। তার মানে আমি একেবাবে কম বয়সে বিয়ে দেয়ার কথা বলছি না। যেমন মেয়েদের বিয়ের বয়স সরকারিভাবে ১৮ ছিল। এখন ১৬। ষোল বছর আইন করাতে অনেকেই এর বিরোধিতা করেছে। আমি বলছি না ষোল বছরের আগে মেয়েদের বিবাহ দেয়া হোক। বরং আমি বলব ষোল বছরই ঠিক আছে। এবং সরকারের এই আইনকে আমি সম্মান জানায়। বাল্য বিবাহের কারণে অনেক মেয়ে কষ্টে আছে। শান্তিতে আছে এমন মেয়ের সংখ্যাও কম নয়।

কিন্তু জরিপ শুধু খারাপটার হয়, ভালটার না। বাল্য বিবাহ হয়নি এমন মেয়েদের নিয়ে আমাদের সমাজে সংঘটিত ফ্যাসাদ কী কম? না। কিন্তু তাদের নিয়েও কোনো মাথা ব্যথা নেই। আচ্ছা একটু পেছন থেকে ঘুড়ে আসি। আমাদের বাপ দাদাদের আমলে বাল্য বিবাহের রেওয়াজ ছিল। মেয়ের ১৫ বছর বয়স হলে মা বাবা চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়ত। তখন কিন্তু কোন সমস্যা ছিল না। যতসব সমস্যা এখন দেখা দিয়েছে। আসলে সমাজে সমস্যা অসমস্যা থাকবে। একেবারে সমাস্যা মুক্ত সমাজ গড়া যাবে না বা যায় না। সুখ দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বাল্য বিবাহ আমাদের দেশের জন্য ভালো নয় ভাইয়া। আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ফ্যামিলিগুলো মেয়ের বয়স ১৫ হতে না হতেই বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লাগে। এর ফলে যা হয়।
প্রথমত, ধরুন ১৭ বছরের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলো ২৭-৩৭ বছরের ছেলের সাথে। দুজনের মধ্যে বয়সের গ্যাপ ১০- ২০ বছর। বয়সের এই পার্থক্য পরবর্তীতে ফ্যামিলির অশান্তির কারণ হয়ে ওঠে। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির মেয়েরা এসব অশান্তি, ঝামেলা চোখমুখ বন্ধ করে সহ্য করে।
দ্বিতীয়ত, ৩০+ মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির ছেলে বিয়ে করেই (বউকে সংসারী করার লক্ষে হোক আর নিজের বয়সের চিন্তা থেকেই হোক) বাচ্চা নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে। ফলাফল, বছর শেষ হতে না হতেই বাচ্চা। এতে করে দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে।

তাছাড়া ১৮+ মেয়েরা সংসার করার জন্য মানসিকভাবেও পরিপক্ব থাকে। কথাগুলো, আশপাশের সমাজ সংসার চিত্র দেখেই বলা।

ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: তাহলে ভাইয়া আগের জামানায় তো মেয়ের বয়স পনেরো হলে মা বাবারা বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগত। এমনকি অধিকাংশ মেয়ের বিয়ে হত ১৩ ১৪ বছর বয়সে। তখন তো এতো সমস্যা হত না ।
আরেকটা কথা বলি, শুধু বাল্যে বিবাহিতা মেয়েদের নিয়ে সমস্যা হয় না । বাল্য বিবাহ হয়নি এমন মেয়েদের নিয়েও কিন্তু বহু সমস্যা হয়, তাদের নিয়ে কেন
চিন্তা ভাবনা হয় না। তাদের সমস্যা কীভাবে দূর হবে, তা নিয়ে কিন্তু কেউ মাথা ঘামায় না।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আগের যুগে কম বয়সে (১২-১৪ বছর) বিয়ে হলে সমস্যা হতো না তা কিন্তু সঠিক নয়। তখনকার সময়ে সন্তান প্রসবকালীন সময়ে নারী মৃত্যু, নারী নির্যাতনসহ অপকর্মগুলো স্বাভাবিক ছিলো। তাছাড়া যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় এসব খবর ভাইরাল হয়নি। মানুষ দিনদিন সভ্য হচ্ছে। নারী মৃত্যু, নির্যাতনের হার কমছে।
সাথে সাথে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে। ফলে যেকোনো খবর সহজেই ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে।

তাছাড়া আগের যুগে জনসংখ্যাও এতো বেশি ছিলো না। ছিলো না আধুনিক এইসব টেকনোলজি। মানুষ ছেলে উপযুক্ত হওয়ার সাথে সাথে দু তিনটে বিয়ে করিয়ে সংসারের শক্তি (লাঠিয়াল, কামলা) বাড়ানোর স্বপ্ন দেখতো।
দিনদিন জনসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু বাসস্থান বা জায়গাজমি বাড়ছে না। যেহেতু মানুষের কাজ এখন যন্ত্রপাতি করতে পারছে। সেহেতু, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখবার ভাবনা ভাবা আমাদের প্রত্যেকের উচিত।

সমাজের প্রচলিত কোনো সিস্টেমইই ফিক্সড নয়। আপেক্ষিক। প্রয়োজনে সম্পাদিত হয় বা নতুন সিস্টেম তৈরি হয়। সরকারের বিয়ের বয়স ১৬ করাটা বর্তমান সময়ের জন্য যথাযথ হয়নি। আমিও এর বিপক্ষে ছিলাম।

প্রেম ভালোবাসা নামক নোংরামোর সমাধান বিয়েতে খুঁজাটা যথাযথ নয়। এতে সামাজিক অশান্তি দিনদিন বাড়ছে।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: আচ্ছা যদি মেয়েদের বিবাহের বয়স ১৮ করে আইন করা হয়, তাহলে কি এ সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার সমাধান
হবে?

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: জনসংখ্যা কিছুটা কমবে। প্রেম সংক্রান্ত সমস্যা (পরকিয়া, সাংসারিক অশান্তি) কমাতে হলে বেকারত্ব কামানো সহ শিক্ষাব্যবস্থা, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়াটা জরুরী। বেকারত্ব কমলে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
আর ছেলেরা কম বয়সে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে এবং তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে পারবে। ফলে, পাত্রী ও পাত্রের বয়সের পার্থক্য কমে আসবে।

সু-শিক্ষার প্রসার বা হার বাড়লে এসব সামাজিক সমস্যা কমবে।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.