নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন যদি মানুষের উপকারে না আসে, সেই জীবনের মূল্য নেই। সবার মাঝে বিলিন হতে পারাই জীবনের স্বার্থকতা। কান্না নিজের জন্য আর হাসি সবার জন্য।

ইসমাঈল আযহার

মেইল[email protected], স্বপ্ন দেখি শুদ্ধ মানুষ হওয়ার, সোনার বাংলা গড়ার। শখ, লেখালেখি, ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গি বই। ভালবাসি মাকে, নিজেকে, আমার বাবাকে।

ইসমাঈল আযহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসদে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)- এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি সমমান বিল পাস হল।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭


কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।এর আগে জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন (সোমবার) বিলটি উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। বিলটি উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, আমি আশা করছি, আমরা সকলে এই বিলের ঐতিহাসিক পটভূমি গুরুত্ব ও তাৎপর্যন আমরা উপলব্ধি করতে পারছি। ২০০ বছরের অধিক সময় ধরে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন করে আসছে। ১৫ লক্ষ শিক্ষার্থী এ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শিক্ষা হ্রহণ করে থাকে। ৬টি বোর্ড রয়েছে। প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ শিক্ষার্থী প্রতি বছর শিক্ষা সমাপ্ত করছে। এখন তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির প্রয়োজন রয়েছে।

জনমত যাচাই ও বাছাইয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, অন্যান্য বিলের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ জনমত যাচাই ও বাছাই করা হয় তার চাইতে বেশি এ বিলের ক্ষেত্রে হয়েছে। দীর্ঘ নয় বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদরাসার বোর্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা কেরে আসছেন। এখন আর নতুন করে কোন যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন আসে না।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমি ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে এ স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। আমি মনে করি, বিলটি পাস হলে ঐতিহাসিকভাবে তা লিখিত থাকবে। যেমনটা সাংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, বিলটি এখনই পাশ করে দেওয়া হোক। এখন আর জনমত যাচাই-বাছাইয়ের দরকার নেই।

এর আগে, কওমি মাদরাসা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে সাংসদ ফখরুল ইমাম বলেন, সরকারি স্বীকৃতি ও কওমি মাদরাসার সুশাসনের মাধ্যমে সমাজের বুকে কওমি মাদরাসা নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। তবে মাস্টার্স ডিগ্রি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আবারো বিলটি যাচাই করার জন্য অনুরোধ জানান।

সাংসদে নুরুল ইসলাম ওমর বগুড়া বলেন, ‘কওমি মাদরাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিলটি জনমত যাচাই-বাছাই করার ব্যাপারে অনুরোধ জানান।

শামীম হায়দার গায়বান্দা-১ বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল। বেসরকারী বা সরকারী যেকোনো বিদ্যালয়ে কোনো কিছু পরিবর্তন করতে হলে তাদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেখান থেকে মনে হয় বাস্তবতার নিরিখে তাদেরকে একটি ব্লাঙ্কচেক দেয়া হয়েছে। তবে আমি জানি, তাদের অনেকগুলো ভাষা জানা থাকে। তারা আজীবন জ্ঞান সাধনা করে যায়। তাই আমি চাই, জনমত যচাই করে বিলটি পাশ করা হোক।

পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিগুলোকে ভিত্তি করে এই সমমান দেয়া হলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.